বৃষ্টিভেজা নাটকীয় ম্যাচে রিশাদের দারুণ বোলিং
Published: 5th, May 2025 GMT
টানা তিন ম্যাচ একাদশের বাইরে থাকার পর অবশেষে ফিরেই আলো ছড়িয়েছেন বাংলাদেশি লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তবে তার সুনিপুণ বোলিং সত্ত্বেও লাহোর কালান্দার্সকে হারের মুখ দেখতে হয়েছে করাচি কিংসের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত এক থ্রিলারে।
১৫ ওভারে সীমিত ম্যাচে ব্যাট হাতে লাহোর তোলে ৫ উইকেটে ১৬০ রান। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে করাচির সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬৮ রান। রানের দৌড় শুরু করেই উদ্বোধনী জুটিতে ৪০ রান যোগ করেন ডেভিড ওয়ার্নার ও টিম সেইফার্ট। দুজনেই ঝড়ো ২৪ রান করে ফিরলে খেলায় উত্তেজনার ছোঁয়া আনেন রিশাদ।
তার প্রথম ওভারে ইংলিশ ব্যাটার জেমস ভিন্সকে ১২ রানে বিদায় করেন সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ বানিয়ে। ওই ওভারে মাত্র ৭ রান খরচ করেন রিশাদ। তবে দ্বিতীয় স্পেলে খানিকটা ব্যয়বহুল ছিলেন, সাদ বেগ এক চার ও এক ছক্কায় ১৩ রান তুলে নেন।
আরো পড়ুন:
খালেদ শরিফুলদের বোলিং তোপে অল্প রানেই গুটিয়ে গেল নিউ জিল্যান্ড
‘এ’ দলে ৩৬ উইকেট পাওয়া পেসার এনামুল
শেষ ওভারে ফিরে আবার নিয়ন্ত্রণে ফেরেন ২২ বছর বয়সী এই লেগি, দেন মাত্র ৮ রান। ম্যাচজুড়ে তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৩ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ১ উইকেট।
সেই মুহূর্তে লাহোর বেশ ভালো অবস্থানে থাকলেও শেষ দিকে হারিস রউফের ১৪তম ওভারে ২০ রান খরচ হয়ে যায়, যা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। যদিও মিচেল নবিকে আউট করে আবার খানিকটা আশার আলো জাগান। শেষ ৫ বলে দরকার ছিল মাত্র ৭ রান, যা সহজেই তুলে নেন ইরফান খান নিয়াজি। ২১ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচ শেষ করেন তিনি।
এর আগে, লাহোরের হয়ে ফখর জামান করেন ৫১, মোহাম্মদ নাইম যোগ করেন ৬৫ এবং আব্দুল্লাহ শফিকের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। করাচির হয়ে আব্বাস আফ্রিদি একাই শিকার করেন ৪টি উইকেট। বাকিদের মধ্যে মীর হামজা, হাসান আলী ও আমের জামাল নেন একটি করে উইকেট।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শত কোটি টাকার নদী খনন কাজ বন্ধ
নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পর তা বন্ধ চলে যায় চুক্তি করা টিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দ্রুত পুনরায় খনন কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে সংরক্ষণ প্রকল্পের আওয়াতায় ২৫০ কোটি ব্যয়ে নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর ৫৮ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্প অনুযায়ি, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ এবং মাইনি নদীর ইয়ারাংছড়ি থেকে লংগদু মুখ পর্যন্ত খনন করার কথা।
আরো পড়ুন:
ঢাকার ৪৪ খাস পুকুর-জলাশয় সংস্কার শুরু
মাদারীপুরে নদীর মাটি চুরি, ভাঙন আতঙ্ক
কিন্ত মাইনি নদীর খনন কাজ চললেও চেঙ্গী নদীর কাজ কিছুদিন করার পর বন্ধ করে চলে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর অংশে কাজ নতুন করে শুরু হলেও রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থেকে বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ পর্যন্ত অংশের খনন কাজ ৩-৪ মাস ধরে একেবারে বন্ধ।
এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
নানিয়ারচর পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. খোরশেদ আলম, মো. আনসার আলী ও হাসাপতাল এলাকা বাসিন্দা মো. নুরুল হক জানান, নদীর খনন কাজ শেষ হলে তারা উপকৃত হতেন। বিশেষ করে কাপ্তাই হ্রদের পানি যখন কমে যায়, শুকনা মৌসুমে নদী পথে তাদের মালামাল আনা-নেওয়া করতে সুবিধা হত। আর সেই মাটিগুলো দিয়ে যদি নিচু রাস্তাগুলো উচু করা যেত তাহলে তারা উপকৃত হতেন। তাদের দাবি আবার যেন দ্রুত খনন কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এনিয়ে কথা বলতে নানিয়ারচর অংশের টিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েল এডব্লিউআর (জেভি) এর ম্যানেজার মো. মাহবুবের ও মহালছড়ি অংশের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এআরকেএল-এসএমআইএল (জেবি) এর ম্যানেজার মো. সোয়েবের মোবাইল নাম্বারে কল দেওয়া হলে তারা রিসিভ করেননি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ার এর কাজ মাঝখানে বন্ধ হয়েছিল, ড্রেজার নিয়ে গিয়েছিল কন্ট্রাকটর। তখন কাজ বাতিলের নোটিশ করেছিলেন। তবে মহালছড়ি অংশের ঠিকাদার আবার নতুন করে ড্রেজার নিয়ে এসেছে। এখন থেকে নিয়মিত কাজ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, নানিয়াচরে ঠিকাদার নিজস্ব ব্যবস্থাপনার কারণে কাজ করতে পারেনি। ফলে উপরের নির্দেশে কাজ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। আর মাইনী নদীর খনন কাজ চলমান আছে, আগামী জুন মাসে শেষ হবে।