স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন বলেছেন, চিকিৎসক-ফার্মাসিউটিক্যাল-সংক্রান্ত নীতি সস্পর্কিত সুপারিশে কমিশন সুপারিশ করেছে, ওষুধের নমুনা বা উপহার দিয়ে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। অর্থাৎ, উপহার দিয়ে চিকিৎসকদের প্রভাবিত করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও ক্যান্সার, ডায়াবেটিসের ওষুধের ভ্যাট-কর মওকুফ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সুপারিশ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন। আজ সোমবার সকাল ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

প্রতিবেদন জমা শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন বলেন, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের সংখ্যা বাড়ানো এবং দুই বছর পর পর এই ওষুধের তালিকা আপডেট করার সুপারিশ করেছে কমিশন। এছাড়াও অত্যাবশ্যকীয় ঔষধ প্রাথমিক পর্যায়ে বিনামূল্যে ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ভর্তুকিমূল্যে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

সংবিধান সংশোধনপূর্বক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বিনামূল্যে দেওয়ার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন। এছাড়াও কমিশন স্বতন্ত্র ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সার্ভিস’ গঠনের সুপারিশ করেছে। সরকারি হাসপাতালে জনবল নিয়োগ, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা বৃদ্ধি, রোগীদের বিদেশমুখিতা কমাতে নতুন হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব করেছে কমিশন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স প র শ কর ছ র স প র শ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দ্বিতীয় টেস্টে দলের সঙ্গে গুয়াহাটি যাবেন গিল

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের অধিনায়ক শুভমন গিল খেলতে পারবেন কি না- এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। ২২ নভেম্বর গুয়াহাটির বারসাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচকে সামনে রেখে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় ছিল গিলের চোটের অবস্থা।

কলকাতায় প্রথম টেস্ট চলাকালেই গিল ঘাড়ে আঘাত পান। দ্বিতীয় দিনের খেলাশেষে তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে। চোটের ধাক্কায় তৃতীয় দিনে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ব্যাট করতে পারেননি। ১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করেও শেষ পর্যন্ত ৩০ রানে ম্যাচ হারে ভারত।

আরো পড়ুন:

‘একশটা টেস্টই যেন শেষ না হয়’

টি-টেন লিগে তাসকিন

চোট কাটিয়ে উঠছেন গিল:
সবচেয়ে আশার কথা- গিলের অবস্থা এখন অনেকটাই ভালো। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, তিনি এখন স্থিতিশীল, স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারছেন এবং ঘাড়ে আগের তুলনায় অনেক কম ব্যথা অনুভব করছেন। তার মাঠ ছাড়ার পর ভারতীয় দল যে বিপাকে পড়েছিল, এই উন্নতি তাদের জন্য নিঃসন্দেহে স্বস্তির খবর।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গিল সম্ভবত দলের সঙ্গে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের জন্য গুয়াহাটি সফরে যেতে পারেন। তিনি রাতভর চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন, এবং চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উন্নতির গতি বেশ ইতিবাচক।

প্রথম টেস্ট মাত্র তিন দিনেই শেষ হওয়ায় ভারতীয় দল আপাতত কলকাতাতেই অবস্থান করছে। মঙ্গলবার ইডেন গার্ডেনে দলের একটি ঐচ্ছিক অনুশীলন সেশন থাকার কথা।

গুয়াহাটি যাত্রা নিয়ে সিদ্ধান্ত শিগগিরই:
আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী, বুধবার ভারতীয় দল উড়াল দেবে গুয়াহাটির উদ্দেশে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি, সম্ভাবনা রয়েছে যে গিল তাদের সঙ্গেই ভ্রমণ করবেন। যদি ততটা প্রস্তুত না থাকেন, তবে একদিন পর বৃহস্পতিবার তিনি দলে যোগ দিতে পারেন।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আরেক দফা মেডিক্যাল পরীক্ষা শেষে। আপাতত চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো- পূর্ণ বিশ্রাম। দ্বিতীয় টেস্টে তাকে পাওয়া যাবে কি না, তার সম্ভাবনা এখন “ফিফটি ফিফটি”।

প্রথম টেস্টে গিলের ব্যাটিং ছিল একদম ক্ষণিকের। ওয়াশিংটন সুন্দর আউট হওয়ার পর তিনি নামলেও মাত্র তিন বল খেলেই ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করেন এবং দ্রুত মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। তার অনুপস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতকে নেতৃত্ব দেন সহ-অধিনায়ক ঋষভ পন্ত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দ্বিতীয় টেস্টে দলের সঙ্গে গুয়াহাটি যাবেন গিল