মাঠ প্রশাসনের আরও বেশি কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ভাতা দেওয়ার চিন্তা
Published: 5th, May 2025 GMT
মাঠ প্রশাসনের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ভাতা দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। ভাতা দেওয়ার বিষয়ে পর্যালোচনা করতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে এ মন্ত্রণালয়ের (বিধি অধিশাখা) যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ শামীম সোহেলকে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়, মাঠ প্রশাসনের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ভাতা দেওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য চার সদস্য হলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অধিশাখার যুগ্ম সচিব, সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অধিশাখা ৩–এর যুগ্ম সচিব, বাজেট ব্যবস্থাপনা অধিশাখার যুগ্ম সচিব এবং প্রশাসন-২ শাখার উপসচিব। গত ২৯ এপ্রিল এ কমিটি গঠন করা হয়। ১৪ মে কমিটি তাদের প্রথম বৈঠক করবে।
মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ভাতা দেওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া তিন দিনের সম্মেলনে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ভাতা দেওয়ার প্রস্তাবটি দেন গোপালগঞ্জের ডিসি মুহম্মদ কামরুজ্জামান। তাঁর প্রস্তাবের ভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ কমিটি করে দেয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, মাঠ প্রশাসনে বর্তমানে মোবাইল ভাতা পেয়ে থাকেন জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি), ট্রেজারি অফিসার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। সরকারি টেলিফোন ও ইন্টারনেট নীতিমালা ২০১৮–এর আলোকে উল্লিখিত কর্মকর্তারা মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতা পান।
মাঠ প্রশাসনের আর কোন কোন কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন, জানতে চাইলে গোপালগঞ্জের ডিসি মুহম্মদ কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যমান নীতিমালায় যাঁরা এ ভাতা পান, তাঁদের বাইরে মাঠ প্রশাসনে বিভিন্ন দপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের জন্য এ প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অনলাইনে কাজের প্রবণতা বেড়েছে। তাঁদের কাজে উৎসাহ ও সহযোগিতা করতে তিনি এই প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রত্যেক ক্যাডারে কিছু পদ আছে, যাঁরা প্রতিনিয়ত সরকারের কাছে মাঠ প্রশাসনের প্রতিবেদন পাঠান। প্রাসঙ্গিকতা থাকায় তিনি এমন প্রস্তাব দেন। তবে ঢালাওভাবে সবাইকে দেওয়ার কথা বলেননি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, জেলা পর্যায়ে সরকারের অন্তত ২৮টি বিভাগের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি কার্যালয়, পরিসংখ্যান, প্রকৌশলীর কার্যালয়। মাঠ প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে যাঁরা কর্মরত, শুধু তাঁদের ভাতা দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের প্রথম সভায় মাঠ প্রশাসনের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ভাতা দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে আলোচনা হবে। কোন কোন কর্মকর্তাকে ভাতা দেওয়া হবে এবং ভাতার পরিমাণ কত হবে, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর মকর ত দ র য় র কর মকর ত কর মকর ত ক প রস ত ব পর য য় প রথম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে ট্রেনে পাথর ছোড়ার ভিডিও ভাইরাল, ঘটনা বিশ্লেষণ করছে কর্তৃপক্ষ
রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার জন্য সরকারের ভাড়া করা বিশেষ ট্রেন পছন্দ না হওয়ায় এই ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রেনের সামনে গিয়ে পাথর ছুড়ে মারেন এক তরুণ। এর আগে ওই তরুণ নিজেকে জুলাই যোদ্ধা দাবি করে বক্তব্য দেন। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে আজ মঙ্গলবার সকালের এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
আরও পড়ুনরাজশাহীতে ট্রেন পছন্দ হয়নি, ‘জুলাই যোদ্ধারা’ বসে পড়লেন রেললাইনে৭ ঘণ্টা আগেরেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, তাঁরা ঘটনাটি বিশ্লেষণ করছেন। ভিডিওর ঘটনা সত্য হলে ওই তরুণের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জুলাই যোদ্ধাদের আপত্তির মুখেও বিশেষ ট্রেনটি যেতে শুরু করলে সামনে পাথর হাতে দাঁড়িয়ে ওই তরুণ চালককে বার বার বলছেন, ‘ব্রেক ধরেন’। তারপরও ট্রেনটি এগিয়ে যেতে থাকলে হাতের পাথর ট্রেনের ওপর ছুড়ে মারেন ওই তরুণ।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বাবরি চুল-দাড়িওয়ালা চশমা পরা ওই তরুণ পাথর নিক্ষেপের পর ট্রেনটি থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পর ট্রেনটি আবার চলতে শুরু করলে ইঞ্জিনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ওই তরুণ চালককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এই দাঁড়ান। দাঁড়ান, দাঁড়ান, দাঁড়ান’। পরে ট্রেনটি থেমে যায়। এ ঘটনার পর বিশেষ ট্রেনের অন্যান্য যাত্রীরা ওই তরুণকে ঘিরে ধরেন। তাঁর সঙ্গে তাঁরা বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে অন্যদের তোপের মুখে নিজের মতো মাথায় পতাকা বান্ধা আরেক তরুণকে সঙ্গে নিয়ে ভিড় ঠেলে বের হয়ে পাশের প্ল্যাটফর্মে গিয়ে সিল্কসিটি ট্রেনে উঠে বসেন ওই তরুণ।
ট্রেনে পাথর ছোড়ার বিষয়ে ১৮৯০ সালের রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারায় শাস্তির বিধান আছে। চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি ১০ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের কথাও বলা আছে। পাথর নিক্ষেপের কারণে কোনো যাত্রী মারা গেলে ৩০২ ধারায় ফাঁসির বিধান আছে। আর পাথর নিক্ষেপকারী অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে তাঁর অভিভাবকের শাস্তির বিধানও আছে।
সরকারের ভাড়া করা বিশেষ ট্রেন পছন্দ না হওয়ায় একজনকে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়তে দেখা যায়। মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী রেলস্টেশনে