গাজার শিশুদের পোপ ফ্রান্সিসের শেষ উপহার ‘পোপমোবাইল’ গাড়ি
Published: 5th, May 2025 GMT
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার শিশুদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উপহার দিয়ে গেলেন পোপ ফ্রান্সিস। মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর ব্যবহৃত একটি ‘পোপমোবাইল’ গাড়ি গাজার শিশুদের চিকিৎসার জন্য ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালে রূপান্তর করতে দান করেন।
২০১৪ সালে বেথেলহেম সফরে তিনি এই গাড়িটি ব্যবহার করেছিলেন। পরে গাড়িটি তার সফরের স্মৃতি হিসেবে দীর্ঘদিন সংরক্ষিত ছিল। এখন সেটি মেরামত করে চিকিৎসা সরঞ্জামসহ প্রস্তুত করা হয়েছে। গাড়িটিতে ওষুধ রাখার ফ্রিজ ও চিকিৎসক দলের সঙ্গে থাকবেন একজন ড্রাইভার। ইসরায়েল মানবিক করিডোর খুলে দিলে মোবাইল ক্লিনিকটি গাজায় পৌঁছাবে।
মোবাইল ক্লিনিকটিকে পোপের ‘শেষ উপহার’ বলে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, ‘ফিলিস্তিন একজন বিশ্বস্ত বন্ধু ও মানবাধিকারের এক অনড় সমর্থককে হারিয়েছে। বিশ্ব যখন গাজার শিশুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ, তখন পোপ ফ্রান্সিস এই উপহারের মাধ্যমে শান্তি ও মানবতার বার্তা দিয়ে গেছেন’।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপহ র
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, নিহত ১
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সেজাউল ইসলাম কালা মিয়া (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জামালগঞ্জের সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে সংঘর্ষ হয়। নিহত সেজাউল ইসলাম কালা মিয়া লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কামরুল ইসলামের ছোট ভাই।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে সালিশে ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২০
আফগান সীমান্তে তীব্র সংঘর্ষ, পাকিস্তানের ১৯ সেনাসহ নিহত ৬৪
জামালগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল হোসেন জানান, বিএনপির কমিটি নিয়ে পূর্ববিরোধ ছিল। এর জের ধরে আজ শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। বর্তমানে গ্রামের পরিবেশ শান্ত আছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছু দিন আগে জামালগঞ্জের সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি কমিটি নিয়ে লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম ও আব্দুল মতিন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে আগেও সংঘর্ষ হয়েছে। পরে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে জামালগঞ্জ থানার ওসি মীমাংসা করেন। আবার সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিলে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্রামবাসী সালিশে মীমাংসার চেষ্টা করে। দুপুরে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে ধারালো সুলফির আঘাতে কামরুল ইসলামের ছোট ভাই সেজাউল ইসলাম কালা মিয়া গুরুতর আহত হলে জামালগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের সেজাউল ইসলাম কালা মিয়ার ভাগ্নে আলী নেওয়াজ বলেন, ‘‘আজ (শুক্রবার) সকাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল, সংঘর্ষ হবে হবে ভাব। দুপুরে ৫ গ্রামের মানুষ বিচারের আয়োজন করে। এ বিচার থেকে যাওয়ার পথে আমার মামার উপর হামলা করে। তখন তাদের ও আমাদের লোকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মামা মারা যায়। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।’’
জালামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ শফিকুল রহমান বলেন, ‘‘দুই মাস আগে কমিটি নিয়ে ছোট ঘটনা ঘটেছিল। পরে আমরা ও জামালগঞ্জ থানার সহযোগিতায় তাদের নিয়ে বসে শেষ করেছি। আহতদের চিকিৎসার জন্য টাকা দুইপক্ষের লোকজনের থেকে নিয়ে দিয়েছি। আজ যে ঘটনা হয়েছে, এখনো পর্যন্ত জেনেছি, সেটা দলীয় ঘটনা না।’’
ঢাকা/মনোয়ার/বকুল