সমালোচনার মুখে জাবির বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মীর খাতা বাতিল
Published: 5th, May 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার দায়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। তবে বিষয়টি জানাজানি হলে তীব্র সমালোচনার মুখে তার পরীক্ষার খাতা বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী মো. আদনান সাইফ হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
রবিবার (৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ‘নিউক্লিয়ার ফিজিকস’ কোর্সের পরীক্ষায় রিপিটার হিসেবে অংশ নেন তিনি। এর আগে তিনি মৌখিক পরীক্ষায়ও অংশ নিয়েছিলেন।
আরো পড়ুন:
স্বপ্ন দেখা থেমে নেই দৃষ্টিহীন মমিনুরের
জাবিতে মাস্টারপ্ল্যানের গুরুত্ব নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা সভা
এর আগে, গত বছর জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ সাপেক্ষে গত ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২৫৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। ওই তালিকায় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৩ শিক্ষার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে ৮ নাম্বার তালিকায় মো.
তার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে বিভাগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা উল্লেখ করে সোমবার (৫ মে) তার পরীক্ষার খাতা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সালাউদ্দিন বলেন, “বিষয়টি আমাদের অজান্তে হয়েছে। এ বিষয়ে আমি ওই কোর্সের পরীক্ষক ও পরীক্ষা কমিটিকে অবগত করেছি, যাতে তার খাতা বাতিল করা হয় এবং এ রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক সালেহ আহাম্মদ বলেন, “বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। গতকাল (রবিবার) বহিষ্কৃত যে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, তার খাতা মূল্যায়ন করা হবে না।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র পর ক ষ য় অ শ
এছাড়াও পড়ুন:
বিরে শিফা: একটি অলৌকিক কুয়ার গল্প
মদিনা থেকে প্রায় ১০২ কিলোমিটার দূরে বদর যুদ্ধের প্রান্তরের কাছে একটি কুয়া রয়েছে, যার নাম বিরে শিফা বা নিরাময় কুয়া। কুয়ার নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এর মহিমা। আরবি ‘বির’ অর্থ কুয়া এবং ‘শিফা’ অর্থ নিরাময় বা আরোগ্য। এই কুয়ার পানি রোগমুক্তি ও সুস্থতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। বদর যুদ্ধের পর এই কুয়ার পানি মহানবী (সা.)-এর একটি অলৌকিক মুজিজার মাধ্যমে বিষাক্ত ও লবণাক্ত অবস্থা থেকে সুপেয় ও সুস্বাদু পানিতে পরিণত হয়। আজও এই কুয়ার পানি মুসলমানদের জন্য রোগমুক্তির আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচিত হয়।
বিরে শিফা কুয়াটি মদিনা থেকে বদর যাওয়ার পথে মূল সড়ক থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার ভেতরে একেবারে বদর যুদ্ধের প্রান্তরের কাছাকাছি এলাকায় অবস্থিত। বদর যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই যুদ্ধে মুসলমানরা সংখ্যায় কম হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহর সাহায্যে বিজয় লাভ করে। যুদ্ধ শেষে মহানবী (সা.) এবং তাঁর সাহাবিরা মদিনায় ফিরে আসার পথে পানির সংকটে পড়েন। তখন তাঁরা বিরে শিফা কুয়ার কাছে এসে পৌঁছান।
বিরে শিফা কুয়া, মদিনা