কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিকুল ইসলাম ওরফে মামুন (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের মারাক্কাঘোনা এলাকায় তাঁকে গুলি করা হয়। এরপর আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।

নিহত রফিকুল ইসলাম কালারমারছড়া ইউনিয়নের ছামিরাঘোনা এলাকার মনজুর আলমের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, অস্ত্র আইন এবং হত্যার অভিযোগসহ তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত ১১টি মামলা রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে বন্ধুরা রফিকুল ইসলামকে খুন করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

নিহত ব্যক্তির বড় ভাই উকিল আহমদ বলেন, চার দিন আগে একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য তাঁর ভাই কক্সবাজারে যান। সেখান থেকে গতকাল রাতে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় কিছু লোক পরিকল্পিতভাবে তাঁর ভাইকে গুলি করেছেন। একই ব্যক্তিরা পাঁচ বছর আগে তাঁর বাবাকেও হত্যা করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে রফিকুলকে প্রথমে পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রফিকুল মারা যান।

বদরখালী জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিকিৎসক মোহাম্মদ রাকিবুল হোছাইন প্রথম আলোকে বলেন, গুলিতে রফিকুল ইসলামের যকৃৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কাইছার হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, নিহত রফিকুল মৃত্যুর আগে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে পুলিশের কাছে ঘটনার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিন বন্ধুসহ একটি অটোরিকশায় রফিকুল এলাকায় ফিরছিলেন। পথে তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে গুলি করে ওই বন্ধুরা পালিয়ে গেছেন।

ওসি মোহাম্মদ কাইছার হামিদ আরও বলেন, রফিকুলের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা, ৪টি অস্ত্রসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১১টি মামলা রয়েছে। তাঁকে কেন খুন করা হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি খুনিদের ধরতে অভিযান চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মহেশখালীতে ১১ মামলার আসামিকে গুলি করে হত্যা

কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিকুল ইসলাম ওরফে মামুন (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের মারাক্কাঘোনা এলাকায় তাঁকে গুলি করা হয়। এরপর আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।

নিহত রফিকুল ইসলাম কালারমারছড়া ইউনিয়নের ছামিরাঘোনা এলাকার মনজুর আলমের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, অস্ত্র আইন এবং হত্যার অভিযোগসহ তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত ১১টি মামলা রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে বন্ধুরা রফিকুল ইসলামকে খুন করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

নিহত ব্যক্তির বড় ভাই উকিল আহমদ বলেন, চার দিন আগে একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য তাঁর ভাই কক্সবাজারে যান। সেখান থেকে গতকাল রাতে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় কিছু লোক পরিকল্পিতভাবে তাঁর ভাইকে গুলি করেছেন। একই ব্যক্তিরা পাঁচ বছর আগে তাঁর বাবাকেও হত্যা করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে রফিকুলকে প্রথমে পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রফিকুল মারা যান।

বদরখালী জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিকিৎসক মোহাম্মদ রাকিবুল হোছাইন প্রথম আলোকে বলেন, গুলিতে রফিকুল ইসলামের যকৃৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কাইছার হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, নিহত রফিকুল মৃত্যুর আগে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে পুলিশের কাছে ঘটনার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিন বন্ধুসহ একটি অটোরিকশায় রফিকুল এলাকায় ফিরছিলেন। পথে তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে গুলি করে ওই বন্ধুরা পালিয়ে গেছেন।

ওসি মোহাম্মদ কাইছার হামিদ আরও বলেন, রফিকুলের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা, ৪টি অস্ত্রসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১১টি মামলা রয়েছে। তাঁকে কেন খুন করা হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি খুনিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ