মহেশখালীতে ১১ মামলার আসামিকে গুলি করে হত্যা
Published: 6th, May 2025 GMT
কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিকুল ইসলাম ওরফে মামুন (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের মারাক্কাঘোনা এলাকায় তাঁকে গুলি করা হয়। এরপর আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
নিহত রফিকুল ইসলাম কালারমারছড়া ইউনিয়নের ছামিরাঘোনা এলাকার মনজুর আলমের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, অস্ত্র আইন এবং হত্যার অভিযোগসহ তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত ১১টি মামলা রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে বন্ধুরা রফিকুল ইসলামকে খুন করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
নিহত ব্যক্তির বড় ভাই উকিল আহমদ বলেন, চার দিন আগে একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য তাঁর ভাই কক্সবাজারে যান। সেখান থেকে গতকাল রাতে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় কিছু লোক পরিকল্পিতভাবে তাঁর ভাইকে গুলি করেছেন। একই ব্যক্তিরা পাঁচ বছর আগে তাঁর বাবাকেও হত্যা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে রফিকুলকে প্রথমে পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রফিকুল মারা যান।
বদরখালী জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিকিৎসক মোহাম্মদ রাকিবুল হোছাইন প্রথম আলোকে বলেন, গুলিতে রফিকুল ইসলামের যকৃৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কাইছার হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, নিহত রফিকুল মৃত্যুর আগে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে পুলিশের কাছে ঘটনার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিন বন্ধুসহ একটি অটোরিকশায় রফিকুল এলাকায় ফিরছিলেন। পথে তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে গুলি করে ওই বন্ধুরা পালিয়ে গেছেন।
ওসি মোহাম্মদ কাইছার হামিদ আরও বলেন, রফিকুলের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা, ৪টি অস্ত্রসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১১টি মামলা রয়েছে। তাঁকে কেন খুন করা হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি খুনিদের ধরতে অভিযান চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমাদের অনুমতি ছাড়া ওই এলাকায় কেউ এমপি হতে পারেন না’
নতুন বাংলাদেশে জনগণ বিএনপি-জামায়াত কাউকেই ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী নগরীর বাটার মোড়ে এক গণসমাবেশে এই মন্তব্য করেন তিনি।
এই মন্তব্যের একটি ফটো কার্ড নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন অভিনেতা, নির্মাতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। এ পোস্টের ক্যাপশনে নুরকে নিয়ে যেমন কথা বলেছেন, তেমনি দেশের সমকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও জয় তার পারিবারিক রাজনৈতিক ইতিহাসও তুলে ধরেছেন।
নুরকে উদ্দেশ্য করে জয় বলেন, “জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় আমাদের নুর ভাইকে। অবশ্যই উনি যদি ক্ষমতায় আসেন সবচেয়ে খুশি হব আমি। কারণ উনি প্রথম প্রতিবাদী ব্যক্তি তিনি মানুষের কাছে সরল ইমেজ নিয়ে ভালোবাসার মানুষের কন্ঠস্বর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়েছেন। কিন্তু জনগণ সম্পর্কে কারো কোনো আইডিয়া নাই।”
আরো পড়ুন:
ডাকসুর মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু
ক্ষমতা নয়, জনগণের ভোট ফেরত দেওয়ার জন্য নির্বাচনের কথা বলছি: টুকু
আগামী নির্বাচনের পর কারা সরকার গঠন করবে, সে বিষয়ে আলোকপাত করে জয় বলেন, “আগামীবার কে যে ক্ষমতায় আসবে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। সুস্থ নির্বাচন হলে শতভাগ বিএনপি ছাড়া আর কারো কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। আবার ঠিক উল্টাটাও হতে পারে, বিএনপি যা ভাবছে তার উল্টা ঘটনা ফুটে উঠতে পারে এবং এ কথাও বলে দিলাম আমার এলাকায় আমি যদি এমপি প্রার্থী হই তাহলে সব দলের সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। অবশ্যই, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে। আর ১৬ বছরের মতো নির্বাচন হলে আমার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। ভয় পাইয়েন না। কাউকে আন্ডারস্টিমেট কইরেন না।”
জয়ের পরিবারের অনুমতি ছাড়া তাদের এলাকায় কেউ সংসদ সদস্য হতে পারে না বলে দাবি জয়ের। তার ভাষায়, “আমার দাদা ওই এলাকার তিনবারের এমপি ছিলেন মুসলিম লীগের এবং আমার চাচা ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে তিনি শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। আওয়ামী লীগের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ভোটে দাঁড়াবার আগে আমার দাদিকে সালাম করতেন। আব্দুর রাজ্জাকও সালাম করতেন। বিএনপির কিরণও সালাম করতেন। এই সালাম ছাড়া কেউ আগাতে পারতেন না। আমাদের অনুমতি ছাড়া ওই এলাকায় কেউ এমপি হতে পারেন না। এটাই বাস্তবতা। হা হা হা হা হা হা।”
জয়ের এই বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা চলছে। আগামী নির্বাচন নিয়ে জয়ের মতো অনেকে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। অনেকে জয়কে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আহসান হাবিব নামে একজন লেখেন, “আপনি ভোটে দাঁড়ান। আমরা আপনার পাশে আছি!” ইউসুফ মীর খানিকটা সমালোচনা করে লেখেন, “হা নাজিম ভাই সেটাই, সব আপনাদের আমরা শুধু এই দেশে বাতের….আইছি। এজন্যই এখন নতুনদের প্রয়োজন।”
আরেকজন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লেখেন, “আপনাকে কেউ চায় কি না সেটা কি জানেন?” এ প্রশ্ন জয়ের নজরে এসেছে। জবাবে বিতর্কিত এই সঞ্চালক লেখেন, “কে চায় কে না চায়, তাতে আমার কি যায় আসে। মানুষ তো আমাকে চায় এলাকার।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে।
ঢাকা/শান্ত