টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় মুখ অহনা রহমানের প্রেমজীবন যেন রীতিমতো রহস্য-উপন্যাসের প্লট! পুরোনো এক সাক্ষাৎকারে নিজের প্রাক্তনকে ‘জানোয়ার’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। এরপর নেট দুনিয়ায় শুরু হয়েছিল একপ্রকার ‘ডিটেকটিভ গেম’। প্রশ্ন উঠেছিল— কে সেই ভিলেন? কে সেই জানোয়ার?

অনেকে সরাসরি আঙুল তুলেছিলেন অভিনেতা শামীম হাসান সরকারের দিকে। এমনকি বেচারা শামীম বিয়ের পরও ইনবক্সে ‘জানোয়ার’ ট্যাগ পেতে পেতে বিরক্ত হন! এবার আর ধোঁয়াশা রাখলেন না এই অভিনেতা। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে শামীম হেসেই বলে ফেললেন, “ভাই, আমি না। আমি জানোয়ার না। জানোয়ার আলাদা, আমি আলাদা।”

আর নাম? সেটাও বলে দিলেন! শামীম জানালেন, “অহনার সেই প্রাক্তন আর কেউ নন, ‘বরবাদ’ সিনেমার পরিচালক মেহেদী হাসান হৃদয়। শামীমের ভাষায়, ‘ওর (অহনার) সাথে ৬-৭ বছরের সম্পর্ক ছিল হৃদয়ের। আমি তো স্রেফ বন্ধু ছিলাম, তাই সম্পর্ক টেকেনি।”

আরো পড়ুন:

সিদ্দিককে মারধর, পোশাক বিতর্ক নিয়ে যা বললেন মিম

সুগার ড্যাডি ছাড়া এত টাকা কামানো সম্ভব না: ফারিয়া

এতদিনে রহস্য ফাঁস হলো বটে, তবে নেটিজেনরা কি থামবেন? এখন তারই অপেক্ষার পালা!

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে জনগণ, অংশ নিলেন প্রেসিডেন্টও

ইরানের তেহরানে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলার প্রতিবাদে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। দেশটির রাজধানীজুড়ে রোববার সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সেখানে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।

বিক্ষোভ ‘আমেরিকার আগ্রাসনের জবাব চাই’, ‘আমেরিকা নিপাত যাক’, ‘ইসরায়েল ধ্বংস হোক’- ইত্যাদি নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।

প্রতিবাদকারীদের হাতে ছিল ইরানি পতাকা, নিহতদের ছবি এবং ট্রাম্প ও ইসরায়েলি নেতাদের কুশপুতুল। অনেকে হাতে ধরে রেখেছিলেন ব্যানার যাতে লেখা ছিল:

‘আমরা প্রতিরোধ করবো, আত্মসমর্পণ নয়’, ‘হামলা হলে জবাব আসবেই’, ‘পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের রক্ত বৃথা যাবে না’

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই হামলা কেবল ইরানের নয়, সমস্ত মুসলিম বিশ্বের ওপর আঘাত। আমেরিকা জানে না, ইরান কখনও মাথানত করে না।’

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বিক্ষোভের লাইভ সম্প্রচার করে। অনেক জায়গায় ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত থেকে জনগণকে ‍উদ্বুদ্ধ করেন প্রতিরোধে সক্রিয় থাকতে।

তেহরানের আজাদি স্কয়ার, ফার্দৌসি স্কয়ার, ইমাম হোমেইনি মসজিদের সামনে এবং পার্লামেন্ট ভবনের সামনে ছিল প্রধান বিক্ষোভস্থল। তবে দেশটির বিভিন্ন স্থানেও ছোটখাটো করে বিক্ষোভ হয়। তেহরানের আজাদি স্কয়ারে আসেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। পরে তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে অংশ নেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই বিক্ষোভগুলো শুধু সরকার সমর্থিত নয়—বিশেষ করে ইরানে পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের ওপর হামলার পর সাধারণ জনগণের মধ্যেও জাতীয় ঐক্য ও ক্ষোভ উভয়ই দৃশ্যমান।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামে সামরিক অভিযানে ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। এর পরই দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ