কাশ্মীরের পেহেলগেম হামলার জবাবে মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালিয়েছে ভারত। যেটির নাম তারা দিয়েছেন ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই সামরিক অভিযানে পাকিস্তানের ৭০ জনের বেশি নিহতের দাবি করেছে ভারত। যদিও পাকিস্তানের দাবি বেসামরিক ২৬ জন মারা গেছে।

এর পাল্টা জবাবে রাতেই পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা হামলায় অংশ নেওয়া ভারতের পাঁচটি জঙ্গি বিমান ভূপাতিত করেছে। এই ঘটনার পর ভারতের সাবেক ও বর্তমান তারকা ক্রিকেটাররা প্রকাশ্যে সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে সামাজিক মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার লেখেন, ‘ঐক্যে নির্ভীক, শক্তিতে অসীম। ভারতের রক্ষাকর্তা হলো তার জনগণ। এই পৃথিবীতে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। জয় হিন্দ।’

সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ লেখেন, ‘ধর্মো রক্ষতি রক্ষিতঃ (যে ধর্মের রক্ষা করে, ধর্ম তাকে রক্ষা করে)। জয় হিন্দ কি সেনা।’

আরেক সাবেক ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান ইনস্টাগ্রামে বলেন, ‘যা বলা হয়েছিল, তা করে দেখানো হয়েছে। ন্যায় প্রতিষ্ঠিত। ভারত মাতা কি জয়!’

এছাড়া সাবেক ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া, প্রজ্ঞান ওঝা এবং আইপিএলে খেলা কেকেআরের ও ভারতের স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পলিটেকনিকের শাটডাউন কর্মসূচি শিথিল

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শাটডাউন কর্মসূচি সাময়িকভাবে শিথিলের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিকেলে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সমকালকে বলেন, শিক্ষকদের অনুরোধ ও কারিগরি শিক্ষার স্বার্থে আমরা সাময়িকভাবে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি শিথিল করেছি।

এর আগে গতকাল সকালে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) উদ্যোগে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে যৌথ বৈঠক হয়। বৈঠকে আইডিইবি, পলিটেকনিক শিক্ষক সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ এবং ছাত্র প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সবাই আন্দোলন শিথিল করে শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান।

১৬ এপ্রিল থেকে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে জোরালো আন্দোলন শুরু করেন। ২৯ এপ্রিল থেকে শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হয় এবং অধিকাংশ ইনস্টিটিউটে তালা ঝুলিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়। এর আগে বিক্ষোভ মিছিল, গণসমাবেশ ও আইডিইবি অফিসে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন আইডিইবির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. কবীর হোসেন। বক্তব্য দেন আইডিইবি ও পলিটেকনিক শিক্ষক ও ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

সরকারের পদক্ষেপের (হাইকোর্টের রায় স্থগিত, অধ্যক্ষ বদলি, উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন) প্রশংসা করেন বক্তারা। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আশা করেন তারা।

সভা শেষে ছাত্র প্রতিনিধিরা নেতাদের সঙ্গে গিয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয়ের তালা খুলে দেন। এতে করে প্রতীকীভাবে শাটডাউন কর্মসূচির শিথিলতা শুরু হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ