ভারত-পাকিস্তানকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান বাংলাদেশের
Published: 7th, May 2025 GMT
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
বুধবার (৭ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শন ও এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার চেতনায় বাংলাদেশ আশা করে যে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই উত্তেজনা প্রশমিত হবে এবং এ অঞ্চলের জনগণের স্বার্থে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।
ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার জের ধরে মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে ভারত। ভারতের এ হামলায় এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের ২৬ জন নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন। পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারত শাসিত কাশ্মীরে অন্তত ১০ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৩২ জন। ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে পাকিস্তান।
ঢাকা/হাসান/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।