অ্যালার্জি এমন একটি রোগ যা রোগীর শরীরে নানা রকম পরিবর্তন ঘটায়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বকে চাকা, ত্বক লাল, চুলকানি দেখা দিতে পারে। এ ছাড়াও হতে পারে চোখ লাল, চোখে চুলকানি, শ্বাসকষ্ট কিংবা হাঁপানি। অ্যালার্জি থেকে নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা তৈরি হতে পারে। অ্যালার্জির মাত্রাতিরিক্ত প্রভাবে রোগী অচেতন হয়ে পড়তে পারেন। এই রোগ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবণ করা জরুরি। এ ছাড়া ঘরোয়া উপায়ে অ্যালার্জি কমানো সম্ভব।

ডা.

সৈয়দ গোলাম গাউস আশরাফী, হোমিওপ্যাথিক ফিজিশিয়ান একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘দারুচিনি দিয়ে অ্যালার্জির একটা সহজ সমাধান করতে পারেন। দারুচিনি গুঁড়া কিনে অথবা দারুচিনি গুঁড়া করে নিয়ে নিজেরাই তৈরি করে নিতে পারেন একটি পানীয়। এজন্য চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ দারুচিনি গুঁড়া এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এই মিশ্রণ ২ মিনিটের মতো গরম করে, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে পান করতে হবে।’’

কখন খাবেন?
সকাল বেলায় ভরা পেটে এই পানীয়টি পান করতে হবে। 

আরো পড়ুন:

ক্ষত থেকে যাদের শরীরে ‘ইনফেকশন’ হওয়ার ঝুঁকি বেশি

স্ক্যাবিস দীর্ঘস্থায়ী হলে শরীরে যেসব জটিলতা দেখা দিতে পারে

ডা. সৈয়দ গোলাম গাউস আশরাফী আরও বলেন, ‘‘এই পানীয়টি প্রতিদিন সকালে পান করলে এক সপ্তাহের মধ্যে এলার্জিজনিত চুলকানির মাত্রা কমে আসবে। ’’

উল্লেখ্য, অ্যালার্জি থেকে মুক্ত থাকার জন্য প্রতিরোধমূলক কিছু কাজ করতে হবে।  যেসব বস্তুতে অ্যালার্জি রয়েছে, সেগুলোর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন—রোগীর সাবানে অ্যালার্জি থাকলে বাসনকোসন, কাপড়চোপড় ধোয়ার সময় তিনি হাতে গ্লাভস পরে নেবেন। যার অলংকারে অ্যালার্জি, তিনি অলংকার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। আরও ভালো উপায় হলো যেসব বস্তুতে অ্যালার্জি, সেগুলোর তালিকা করে আপনি আপনার চিকিৎসককে জানাতে পারেন।

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আগামী নির্বাচন হবে মাইনাস আওয়ামী লীগ: অলি আহমদ

আওয়ামী লীগ চিরদিনের জন্য বিতাড়িত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাইনাস আওয়ামী লীগ হবে। এখন একমাত্র লক্ষ্য হলো সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, নট ইনক্লুসিভ। দেশদ্রোহীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। ইনক্লুসিভ মানে হলো দেশদ্রোহীদেরও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মগবাজারের এলডিপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন অলি আহমদ।

বর্তমান সরকার সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকারের মতো কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন অলি আহমদ। তিনি বলেন, নিগৃহীত নেতা–কর্মীরা বিগত এক বছরে যেসব মামলা করেছেন, সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে নীরব ভূমিকা পালন করা হচ্ছে। এভাবে একটা সরকার চলতে পারে না। এটা হলো আবু হোসেন সরকার। ১৯৫৮ সালে আবু হোসেন সরকারে সকালে একজন প্রধানমন্ত্রী, বিকেলে একজন প্রধানমন্ত্রী হতো। বর্তমান সরকারও আবু হোসেন সরকারের মতো কাজ করছে, এভাবে না থেকে জনগণের সরকারের মতো কাজ করুন।

অলি আহমদ বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া মিথ্যা মামলা এখনো পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়নি। আইন উপদেষ্টাকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সমগ্র দেশে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে উল্লেখ করে অলি আহমদ বলেন, কিছু কিছু মন্ত্রণালয় দেউলিয়াপনায় ভুগছে। কারণ, এখনো স্বৈরাচারী সরকারের মদদপুষ্ট অনেক কর্মকর্তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঘাপটি মেরে বসে আছেন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে দেশদ্রোহীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার ও শাস্তির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়ে অলি আহমদ বলেন, অন্যথায় কখনো সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। কারণ, শেখ হাসিনা ভারতে বসে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছেন।

নির্বাচনের আগে লটারির মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বদলি করার প্রসঙ্গে অলি আহমদ বলেন, মনে হয় অনেকে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন। বদলির জন্য লটারি কোনো সমাধান হতে পারে না। বরং বদলি করা হবে নির্দিষ্ট এলাকার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে। লক্ষ্য হওয়া উচিত অস্ত্রধারী এবং গুন্ডারা যেন নির্বাচন প্রভাবিত করতে না পারেন।

অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুততম সময়ে দুর্নীতিবাজ ও দেশদ্রোহীদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়ে অলি আহমদ বলেন, তাদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যারা স্বৈরাচারদের সাহায্য করবে, তারা পরাজিত হবে এবং ভারতের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ফার্মেসিগুলোতে বিভিন্ন ধরনের জরুরি ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন অলি আহমদ। তিনি বলেন, দেশে সঠিক চিকিৎসাও নেই। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের অবস্থা কী হবে, কোথায় যাবেন তাঁরা? এর সমাধান বা কোথায়? এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল আলম তালুকদার, চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, নেয়ামুল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল, হামিদুর রহমান খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরী প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ