স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া
Published: 8th, May 2025 GMT
উত্তর কোরিয়া তাদের পূর্ব উপকূল থেকে একাধিক স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলীয় শহর ওনসান থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১০ মিনিট নাগাদ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল এবং সমুদ্রে পড়ার আগে ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের মুখপাত্র লি সুং-জুন সনাক্ত করা ক্ষেপণাস্ত্রের সঠিক সংখ্যা বা তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে উৎক্ষেপণটি রপ্তানির উদ্দেশ্যে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রের কর্মক্ষমতা এবং উড়ানের স্থিতিশীলতা পরীক্ষা করার জন্য হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
জাপান সরকার জানিয়েছে, তারা উত্তর কোরিয়ার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ সনাক্ত করেছে, যা অনিয়মিত গতিপথে উড়েছিল।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুসারে পারমাণবিক অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিষিদ্ধ। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পিয়ংইয়ং সব পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় হামলার পরদিন রোববার রাতেই যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে তেলের ফিউচার দাম বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্য ৩ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি ব্যারেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৭৬ দশমিক ৪৭ ডলার। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হিসেবে পরিচিত ব্রেন্ট তেলের দাম ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৪ দশমিক ৫৯ ডলার।
তবে শেয়ারবাজারে সার্বিকভাবে বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। ডাও ফিউচারস সূচক ২৫০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ফিউচারস এবং নাসডাক ফিউচারস— উভয় সূচকই প্রায় শূন্য দশমিক ৬ থেকে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।
এদিকে বিশ্ববাজারে এই অস্থিরতার মধ্যেই মার্কিন ডলারের মান বেড়েছে প্রায় শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। বৈশ্বিক সংকট ও অনিশ্চয়তার সময়ে ডলারের মান সাধারণভাবে বৃদ্ধি পায়। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কারণে এই প্রবণতা এবার কতটা স্থায়ী হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে নতুন মাত্রা ও মার্কিন পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় বাজারে উদ্বেগ বাড়ছে, যার প্রভাব সরাসরি জ্বালানি ও বিনিয়োগ খাতে পড়ছে।
রোববার বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।
এই প্রণালি বন্ধ থাকলে বিশ্ববাজারে তার বড় প্রভাব পড়বে। বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের প্রায় ২০ শতাংশ এই প্রণালি দিয়েই পরিবহন করা হয়।