চলছে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার শুটিং। ছবিটির ৭০ শতাংশ শুটিং ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। নির্মাতা রায়হান রাফী জানালেন, ‘তুফান’-এর তুলনায় এবার অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছেন তিনি।

চিত্রনাট্যের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শুটিং ইউনিটে মোবাইল নিষিদ্ধসহ বহিরাগতদের প্রবেশেও রয়েছে কড়াকড়ি। তবুও সিনেমাটি ঘিরে কিছু তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। যেমন, জানা গেছে শাকিবের বিপরীতে এবার পর্দায় আসছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর।

রবীন্দ্রজয়ন্তীতে নাটক ‘সম্পত্তি সমর্পণ’রবীন্দ্রজয়ন্তীতে নাটক ‘সম্পত্তি সমর্পণ’ সবচেয়ে বড় চমক হলো—তাণ্ডব সিনেমায় থাকছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন। এ সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো শাকিব খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করছেন তিনি। পুলিশের স্পেশাল ফোর্স ‘সোয়াট’-এর প্রধানের ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে।

রাজধানীর এফডিসি ছাড়াও রাজশাহীর বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং করছেন শিল্পীরা। সিনেমাটিতে বিদেশি ফাইট ডিরেক্টর ও টেকনিশিয়ানদের যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা রাফী। তিনি বলেন, ‘এখনই কিছু বলতে চাই না। আগে কাজটা শেষ হোক। অনেক চমক থাকছে সিনেমাটিতে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আফজ ল হ স ন করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

নরসিংদীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ ‍উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ফলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে, দেখা দিচ্ছে শয্যা সংকট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তার মশা নিধনে ড্রেনগুলো দ্রুত পরিষ্কারের জন্য পৌরসভার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসেই প্রায় ১০০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। অক্টোবর মাসের প্রথম তিনদিনে ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রতিদিনই জ্বর, শরীর ব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে আসছেন রোগীরা। যাদের অবস্থা গুরুতর, তাদেরকেই ভর্তি করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার

বাঁশবাগানে পাওয়া সেই নবজাতক মারা গেছে

রোগীর স্বজন নাসরিন আক্তার বলেন, “আমার ভাই পাঁচদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। প্রথমে বুঝতেই পারিনি তার ডেঙ্গু হয়েছে। এখন প্লাটিলেট কমে গেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, অবস্থা গুরুতর। খুব দুশ্চিন্তায় আছি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা যথাসাধ্য করছেন, শয্যার সংকট আর ওষুধের জোগান সবসময় মেলে না।”

আরেক রোগীর বাবা মো. সাহেব আলী বলেন, “আমার ছোট ছেলের বয়স ১০ বছর। জ্বর নিয়ে ভর্তি করাতে হয়েছিল তাকে। ওর ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। হাসপাতালে জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। আমরা গরিব মানুষ, ছেলেকে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সমর্থ্য নেই।”

হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমাণ এক রোগীর চাচা মাহবুব হোসেন বলেন, “হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না। ডেঙ্গু যে এত ভয়াবহ হবে বুঝতে পারিনি। প্রশাসন যদি আগে ব্যবস্থা নিত, তাহলে এমন অবস্থা হতো না।”

স্থানীয় কলেজছাত্র জুবায়ের হোসেন বলেন, “জুলাইয়ের শেষ দিক থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে, অথচ পৌরসভা থেকে মশা নিধনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়নি অনেকদিন। আমরা খুব চিন্তায় আছি। শুধু ওষুধ আর হাসপাতাল দিয়ে এই রোগ ঠেকানো যাবে না। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, “বিভিন্ন কারণে এডিস মশার প্রজনন বাড়ছে। প্রতিদিন প্রচুর রোগী আসছেন জ্বর নিয়ে। অনেকেরই অবস্থা গুরুতর। সীমিত সামর্থ্যে আমরা চেষ্টা করছি সাধ্যমতো সেবা দিতে। রোগীর চাপ ক্রমেই বাড়ছে।”

ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ