শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’ এ অভিনয় করছেন আফজাল হোসেন
Published: 8th, May 2025 GMT
চলছে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার শুটিং। ছবিটির ৭০ শতাংশ শুটিং ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। নির্মাতা রায়হান রাফী জানালেন, ‘তুফান’-এর তুলনায় এবার অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছেন তিনি।
চিত্রনাট্যের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শুটিং ইউনিটে মোবাইল নিষিদ্ধসহ বহিরাগতদের প্রবেশেও রয়েছে কড়াকড়ি। তবুও সিনেমাটি ঘিরে কিছু তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। যেমন, জানা গেছে শাকিবের বিপরীতে এবার পর্দায় আসছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর।
রবীন্দ্রজয়ন্তীতে নাটক ‘সম্পত্তি সমর্পণ’রবীন্দ্রজয়ন্তীতে নাটক ‘সম্পত্তি সমর্পণ’ সবচেয়ে বড় চমক হলো—তাণ্ডব সিনেমায় থাকছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন। এ সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো শাকিব খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করছেন তিনি। পুলিশের স্পেশাল ফোর্স ‘সোয়াট’-এর প্রধানের ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে।
রাজধানীর এফডিসি ছাড়াও রাজশাহীর বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং করছেন শিল্পীরা। সিনেমাটিতে বিদেশি ফাইট ডিরেক্টর ও টেকনিশিয়ানদের যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা রাফী। তিনি বলেন, ‘এখনই কিছু বলতে চাই না। আগে কাজটা শেষ হোক। অনেক চমক থাকছে সিনেমাটিতে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আফজ ল হ স ন করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে
২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে। তবে এরপরেও কিছু উদ্বেগ অব্যাহত ছিল। মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে ছাত্র বিক্ষোভ এবং পুলিশ ও আওয়ামী লীগ দলের যুব সংগঠনের সাথে সংঘর্ষে শত শত মানুষ নিহত হওয়ার পরে ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ‘প্রধান উপদেষ্টা’ (প্রধানমন্ত্রীর সমতুল্য) ভূমিকায় একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়।
পূর্ববর্তী সরকার বেআইনি হত্যাকাণ্ড; গুম; নির্যাতন বা নিষ্ঠুর, অমানবিক, বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি; স্বেচ্ছাচারী গ্রেপ্তার বা আটক; পূর্ববর্তী সরকারের অন্য দেশে ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দমন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমে স্বাধীনতার উপর গুরুতর বিধিনিষেধ আরোপের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিল, যার বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন রয়েছে। সাবেক সরকারের আমলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি, সাংবাদিকদের অযৌক্তিক গ্রেপ্তার বা বিচার ও সেন্সরশিপ আরোপ, শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার উপর উল্লেখযোগ্য বিধিনিষেধ; শ্রমিক কর্মী বা ইউনিয়ন সদস্যদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা হুমকি এবং শিশুশ্রমের সবচেয়ে খারাপ রূপের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ছিল।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যাপকভাবে দায়মুক্তির অসংখ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সনাক্ত ও শাস্তি দেওয়ার জন্য খুব কমই বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছিল। পূর্ববর্তী সরকারের পতনের পর, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে পূর্ববর্তী সরকারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে।
মানবাধিকার সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদনে জুলাই এবং আগস্ট মাসে সাবেক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো নথিভুক্ত করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতিসংঘের সাথে কাজ করেছে এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করার জন্য তার সাধারণ বিচার ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল উভয়কেই ব্যবহার করেছে।
ঢাকা/শাহেদ