সরকারের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে চান বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান।

তিনি বলেছেন, “আমরা সরকারের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে চাই। এজন্য অ্যালামনাইদের এগিয়ে আসতে হবে। ইতোমধ্যেই আমরা তাদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়াও পাচ্ছি। সরকারের ওপর নির্ভরতা না কমালে নানা চাপে আমাদের কোমর বাঁকা হয়ে যাবে।”

বৃহস্পতিবার (৮ মে) উপাচার্যের অফিস সংলগ্ন লাউঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ‘ফ্লোর বর্ধিতকরণ প্রকল্পে’ ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পরিসংখ্যান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ড.

বশির উদ্দিন আহমেদ এই অর্থ প্রদান করেন।  

আরো পড়ুন:

প্রথমবারের মতো ঢাবিতে বৃক্ষশুমারি শুরু

পিএসসি সংস্কারে ৮ দফা বাস্তবায়নে বিক্ষোভের ডাক

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য ন র ভরত সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশে জোর দেওয়ার আহ্বান সেনাপ্রধানের

‘ক্যাপস্টোন কোর্স-২০২৫/১’ এ প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ফেলোদের প্রতি কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে আয়োজিত ক্যাপস্টোন কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) আওতায় গত ২০ এপ্রিল এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়। তিন সপ্তাহব্যাপী এ কোর্সে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সরকারি-বেসরকারি খাতের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি, কূটনীতিক, সাংবাদিক ও করপোরেট খাতের মোট ৩২ জন ফেলো অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে কৌশলগত নেতৃত্ব অপরিহার্য। দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দক্ষ ও স্বনির্ভর জাতি গঠনে এ ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ক্যাপস্টোন ফেলোরা সৃজনশীল চিন্তাধারা, সংস্কারমুখী দৃষ্টিভঙ্গি ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে জনস্বার্থে কাজ করবেন।

প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে এনডিসির কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক বলেন, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংলাপ ও একীভূত চিন্তাধারা বিকাশে এই কোর্স একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম। ফেলোদের অংশগ্রহণ কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশে শক্ত সেতুবন্ধ গড়ে তুলেছে। তিনি বলেন, এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি কৌশলগত সচেতনতা বৃদ্ধি, মননশীল চিন্তাভাবনার বিকাশ, পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও উন্নয়ন–সংক্রান্ত বিষয়ে সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সাহায্য করছে।

পরে সেনাপ্রধান কোর্সে অংশগ্রহণকারী ফেলোদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, কলেজের অনুষদ সদস্য, স্টাফ অফিসার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ