বন্দরে ছিনতাইকারীদের হামলায় সিএনজি চালক আহত
Published: 8th, May 2025 GMT
বন্দর ছিনতাইকারীদের হামলায় খোরশেদ (২৮) নামে এক সিএনজি চালক মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছে। ওই সময় হামলাকারিরা আহতের কাছ থেকে নগদ টাকা ও ১টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছে আহত চালক খোরশেদ বন্দর থানার ১৯ নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা।
বর্তমানে সে সৈয়দপুরস্থ তার শ্বশুড় বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। পথচারিরা আহতকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে খানপুর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
গত বুধবার (৭ মে) রাত ১১টায় বন্দর উপজেলার ৩য় শীতলক্ষ্যা ব্রীজের উপরে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চালাচ্ছে।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে , খোরশেদ পেশায় একজন সিএনজি চালক। সে দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর ১নং খেয়াঘাটে সিএনজি চালিয়ে জীবন যাপন করে আসছে।
প্রতিদিনের ন্যায় গত বুধবার রাত ১১টায় সিএনজি চালক খোরশেদ তার ব্যবহৃত সিএনজি বন্ধ করে বাড়িতে ফেরার জন্য ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতুর উপরে গাড়ি জন্য অপেক্ষা করছিল। ওই সময় মুহুর্তের মধ্যে অজ্ঞাত নামা ছিনতাইকারীরা হত্যার উদ্দেশ্য ধারলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, বন্দর উপজেলার ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতুটি একটি ক্রাইম জোন স্পট হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। পুলিশি নজরধারী না থাকার কারনে প্রতিনিয়ত উল্লেখিত ব্রীজের উপরে এবং নিচে চলছে প্রকাশ্যে ছিনতাইয়ের মত ঘটনা। এতে করে জানমালসহ বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বিভিন্ন পেশার সাধারণ জনগন।
ছিনতাইকারিদের কবল থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলামের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বন্দরে সচেতন মহল।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স এনজ
এছাড়াও পড়ুন:
শত কোটি টাকার নদী খনন কাজ বন্ধ
নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পর তা বন্ধ চলে যায় চুক্তি করা টিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দ্রুত পুনরায় খনন কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে সংরক্ষণ প্রকল্পের আওয়াতায় ২৫০ কোটি ব্যয়ে নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর ৫৮ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্প অনুযায়ি, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ এবং মাইনি নদীর ইয়ারাংছড়ি থেকে লংগদু মুখ পর্যন্ত খনন করার কথা।
আরো পড়ুন:
ঢাকার ৪৪ খাস পুকুর-জলাশয় সংস্কার শুরু
মাদারীপুরে নদীর মাটি চুরি, ভাঙন আতঙ্ক
কিন্ত মাইনি নদীর খনন কাজ চললেও চেঙ্গী নদীর কাজ কিছুদিন করার পর বন্ধ করে চলে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর অংশে কাজ নতুন করে শুরু হলেও রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থেকে বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ পর্যন্ত অংশের খনন কাজ ৩-৪ মাস ধরে একেবারে বন্ধ।
এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
নানিয়ারচর পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. খোরশেদ আলম, মো. আনসার আলী ও হাসাপতাল এলাকা বাসিন্দা মো. নুরুল হক জানান, নদীর খনন কাজ শেষ হলে তারা উপকৃত হতেন। বিশেষ করে কাপ্তাই হ্রদের পানি যখন কমে যায়, শুকনা মৌসুমে নদী পথে তাদের মালামাল আনা-নেওয়া করতে সুবিধা হত। আর সেই মাটিগুলো দিয়ে যদি নিচু রাস্তাগুলো উচু করা যেত তাহলে তারা উপকৃত হতেন। তাদের দাবি আবার যেন দ্রুত খনন কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এনিয়ে কথা বলতে নানিয়ারচর অংশের টিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েল এডব্লিউআর (জেভি) এর ম্যানেজার মো. মাহবুবের ও মহালছড়ি অংশের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এআরকেএল-এসএমআইএল (জেবি) এর ম্যানেজার মো. সোয়েবের মোবাইল নাম্বারে কল দেওয়া হলে তারা রিসিভ করেননি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ার এর কাজ মাঝখানে বন্ধ হয়েছিল, ড্রেজার নিয়ে গিয়েছিল কন্ট্রাকটর। তখন কাজ বাতিলের নোটিশ করেছিলেন। তবে মহালছড়ি অংশের ঠিকাদার আবার নতুন করে ড্রেজার নিয়ে এসেছে। এখন থেকে নিয়মিত কাজ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, নানিয়াচরে ঠিকাদার নিজস্ব ব্যবস্থাপনার কারণে কাজ করতে পারেনি। ফলে উপরের নির্দেশে কাজ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। আর মাইনী নদীর খনন কাজ চলমান আছে, আগামী জুন মাসে শেষ হবে।