বন্দর ছিনতাইকারীদের হামলায় খোরশেদ (২৮) নামে এক সিএনজি চালক মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছে। ওই সময় হামলাকারিরা আহতের কাছ থেকে নগদ টাকা ও ১টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছে  আহত চালক খোরশেদ বন্দর থানার ১৯ নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা। 

বর্তমানে সে সৈয়দপুরস্থ তার শ্বশুড় বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। পথচারিরা আহতকে  রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে খানপুর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

গত বুধবার (৭ মে) রাত ১১টায় বন্দর উপজেলার ৩য় শীতলক্ষ্যা ব্রীজের উপরে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চালাচ্ছে।

বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে , খোরশেদ পেশায় একজন সিএনজি চালক। সে দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর ১নং খেয়াঘাটে সিএনজি চালিয়ে জীবন যাপন করে আসছে। 

প্রতিদিনের ন্যায় গত বুধবার রাত ১১টায় সিএনজি চালক খোরশেদ তার ব্যবহৃত  সিএনজি বন্ধ করে বাড়িতে ফেরার জন্য ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতুর উপরে  গাড়ি জন্য অপেক্ষা করছিল। ওই সময় মুহুর্তের মধ্যে অজ্ঞাত নামা ছিনতাইকারীরা হত্যার উদ্দেশ্য  ধারলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, বন্দর উপজেলার ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতুটি  একটি ক্রাইম জোন স্পট  হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। পুলিশি নজরধারী না থাকার কারনে প্রতিনিয়ত উল্লেখিত ব্রীজের উপরে এবং নিচে চলছে প্রকাশ্যে ছিনতাইয়ের মত ঘটনা।  এতে করে জানমালসহ বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বিভিন্ন পেশার সাধারণ জনগন। 

ছিনতাইকারিদের কবল থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলামের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বন্দরে সচেতন মহল।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স এনজ

এছাড়াও পড়ুন:

যমুনার সামনে এনসিপি, আপ বাংলাদেশ, শিবির, জুলাই ঐক্য, ইনকিলাব মঞ্চ

আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার রাত দশটা থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রাত দেড়টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন। 

এতে জাতীয় নাগরিক পার্টি, জুলাই ঐক্য, শিবির, আপ বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থী, ইনকিলাব মঞ্চ, ছাত্র পক্ষের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন উপস্থিত হচ্ছেন। ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে মিছিল। 

এ দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশ-র‍্যাব অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান করছেন। তারা নানা স্লোগান দিচ্ছেন। তারা 'ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামীলীগ নো মোর', খুনি লীগের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে, ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা' ইত্যাদি স্লোগান দেন। 

কর্মসূচিতে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, আপ বাংলাদেশের আলী আহসান জুনায়েদ, রাফে সালমান রিফাত, মোহাম্মদ হিযবুল্লাহ, শিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, ইনকিলাব মঞ্চের শরীফ ওসমান হাদিসহ কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। 

এ ছাড়া এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তাসনীম জারা, যুগ্ম আহবায়ক মনিরা শারমিন, নুসরাত তাবাসসুম, তাজনূভা জাবীন, সারোয়ার তুষার অংশ নিয়েছেন। 

ছাত্রসংগঠনের মধ্যে সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সদস্যসচিব জাহিদ আহসান, জুলাই ঐক্যের এবি জুবায়ের, মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত আছেন। 

শিক্ষার্থীদের অবস্থানকে কেন্দ্র করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনের সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

কর্মসূচিতে এনসিপির যুব উইংয়ের প্রধান তারিকুল ইসলাম বলেন, আমরা দীর্ঘ সময় এখানে অপেক্ষা করবো। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আগে আমরা যমুনার সামনে থেকে যাচ্ছি না। 

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে ইন্টেরিমকে আর সময় দিতে রাজি নই, লাশ হয়ে ফিরবো না হয় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। 

কর্মসূচিতে এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, নয় মাস কেটে গেছে দৃশ্যমান বিচার কার্যক্রম নেই। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা পালিয়ে যাচ্ছে। আমরা দেখেছি- বিচার না করে ছয়শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাদের পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমরা দাবি জানিয়েছি, আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে। 

এ দিকে বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই প্রসেস করে সব ফরমালিটি শেষ করে এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।

এ দিকে নাহিদ ইসলাম ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন  যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নিষিদ্ধ করার প্রহসন মেনে নেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী ও ফ্যাসিস্ট সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে। আইসিটি আইনে দল হিসেবে বিচার করার বিধান যুক্ত করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ