বকেয়া বেতনের দাবিতে ২ কারখানার পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
Published: 8th, May 2025 GMT
চট্টগ্রামে একই মালিকের দুইটি পোশাক কারখানায় বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন কয়েকশ’ শ্রমিক। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর ইপিজেড ও নগরের খুলশী বেবি সুপার মার্কেট এলাকায় এ বিক্ষোভ করেন তারা। সকাল পৌনে ৯টার দিকে নগরীর দুই নম্বর গেট-অক্সিজেন সড়কের ফ্লাইওভারের মুখে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে রহিমা গার্মেন্টেসের শ্রমিকরা। এতে অফিস-গামী লোকজন ও এসএসসি পরীক্ষার্থীরা আটকা পড়েন।
দুই নম্বর গেট থেকে শুরু করে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী পর্যন্ত যানজট শুরু হয়ে যায়। এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ইপিজেডের প্রধান ফটকে বিক্ষোভ করে থিআনিস অ্যাপারেলস লিমিটেডের কয়েক শ’ শ্রমিক। তবে তারা সড়ক অবরোধ করেনি। পোশাক কারখানা দুইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুর রহমান খান। রহিমা গার্মেন্টস নগরীর ষোলশহর হালকা শিল্প এলাকায় অবস্থিত। থিআনিস অ্যাপারেলস নগরীর ইপিজেডে অবস্থিত।
নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী সড়কে অবস্থান নেওয়া রহিমা গার্মেন্টসের শ্রমিকরা জানান, তাদের তিন মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বারবার বেতন পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরিশোধ করা হচ্ছে না। বুধবার রাতে তারা জানতে পারেন; কারখানা থেকে মালামাল সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে তারা রাস্তায় নেমেছেন।
জানতে চাইলে খুলশী থানার এসআই এনামুল হক বলেন, ‘সকালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিল শ্রমিকরা। তাদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে তারা কারখানার ভেতরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।’
এদিকে আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে চট্টগ্রাম ইপিজেডের মূল ফটক বন্ধ করে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন থিআনিস অ্যাপারেলস কারখানার শ্রমিকরা। তবে তারা মূল সড়ক অবরোধ করেনি।
চট্টগ্রাম ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশীদ বলেন, ‘থিআনিস অ্যাপারেলসের কয়েকশ’ শ্রমিক মার্চ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আগামী সোমবার নাগাদ বকেয়া বেতন পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
ইপিজেড থানার ওসি মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘শ্রমিকরা ইপিজেডের ভেতরে মূল ফটকে কাছে অবস্থান নিয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছে। তারা মূল সড়কে আসেনি। তাই যান চলাচলে কোনো ধরণের ব্যাঘাত ঘটেনি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ক ষ ভ কর ছ ন অবস থ ন ন নগর র
এছাড়াও পড়ুন:
‘হারানো দিন’ থেকে ‘আম্মাজান’—শবনমের পূর্ণতার যাত্রা
মাত্র ১৫ বছর বয়সে অভিনয় শুরু শবনমের। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মিলিয়ে টানা চার দশকের অভিনয়জীবন তাঁর। ২৬ বছর ধরে অভিনয়ে নেই তিনি। এরপরও চলচ্চিত্রের বিভিন্ন আড্ডায় প্রাসঙ্গিক। আজ তাঁর জন্মদিন। শবনমকে নিয়ে লিখেছেন মনজুর কাদের
‘হারানো দিন’ সিনেমা দিয়েই শবনম সাড়া ফেলেন। এ সিনেমার ‘আমি রূপনগরের রাজকন্যা রূপের জাদু এনেছি, ইরান-তুরান পার হয়ে আজ তোমার দেশে এসেছি’ গানটি আজও যেন দর্শকের মুখে মুখে। গানটিতে পর্দায় ঠোঁট মিলিয়েছিলেন শবনম। অভিষেক সিনেমাই সুপারহিট। এরপর শুধুই এগিয়ে যাওয়া। মুস্তাফিজ পরিচালিত সিনেমাটি ১৯৬১ সালে মুক্তি পায়।
ষাট থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত বাংলাদেশ আর পাকিস্তান মিলিয়ে প্রায় ১৮৫টি সিনেমায় অভিনয় করেন শবনম। তিনিই একমাত্র অভিনেত্রী, যিনি পাকিস্তানি সিনেমার সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘নিগার অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন মোট ১৬ বার। তাঁর এ রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারেনি। এক বছর আগে পাকিস্তান সরকার দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার সিতারা-ই-ইমতিয়াজ দেন শবনমকে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মিলিয়ে বহু সম্মাননায় সমৃদ্ধ হয় তাঁর অর্জনের ঝুলি।
বরেণ্য অভিনয়শিল্পী শবনমের আসল নাম ঝর্ণা বসাক। ১৯৪৬ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার নবাবপুরে জন্ম। পরিচালক এহতেশামের ‘চান্দা’ সিনেমায় ১৯৬২ সালে অভিনয় করেন তিনি। এই নির্মাতা ‘হারানো দিন’ সিনেমায় তাঁকে শবনম নামটি দেন। ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে স্থায়ীভাবে বাস করতে থাকেন শবনম।
সত্তর দশকের শুরুতে শবনম পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা হিসেবে নিজের স্থান পাকাপোক্ত করেন। ১৯৮৮ সালে শবনম ঢাকা ও লাহোরের সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করতে থাকেন। নব্বই দশকের শেষভাগে ঢাকায় এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সর্বশেষ তিনি অভিনয় করেন ‘আম্মাজান’ সিনেমায়। এ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করে সব বয়সী দর্শকের কাছে ‘আম্মাজান’ হিসেবে নতুন করে পরিচিতি পান।
শবনম বলেন, ‘ভাগ্য আমার এতটাই ভালো, আমার অভিনীত প্রথম ও শেষ সিনেমা ছিল আমার ক্যারিয়ারের সেরা ও হিট সিনেমা।’
শবনম