আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কিশোরগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

শুক্রবার (৯ মে) জুমার নামাজ শেষে জেলা শহরের শহীদি মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি বের হয়। সেটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গৌরাঙ্গ বাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন- গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অভি চৌধুরী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জের আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন।

আরো পড়ুন:

আ.

লীগ নিষিদ্ধের দাবি: যমুনার সামনে তৈরি হচ্ছে মঞ্চ

যমুনার সামনে স্লোগান: ‘বাহ ইন্টেরিম চমৎকার, খুনিদের পাহারাদার’

বক্তারা বলেন, আজকে রাজপথ থেকে তারা একটাই দাবি জানাচ্ছেন, তা হল আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে কেউ রাজনীতিতে দেখতে চান না।

বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ বিনা ভোটের নির্বাচনের মাধ্যমে এ দেশের কোটি মানুষের অধিকার হরণ করেছে। গুম, খুন, গণহত্যার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগকে এদেশে রাজনীতি করতে দেওয়া যাবে না। দুই হাজার ছাত্র-জনতা হত্যাকারী আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান বক্তারা।

ঢাকা/রুমন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ ক শ রগঞ জ র জন ত আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকরের দাবি শহীদ রাকিবুলের মা-বাবার

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ঝিনাইদহের রাকিবুল হোসেনের মা ও বাবা। 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

আরো পড়ুন:

ফ্যাসিবাদ ও জুলুমের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক রায়: খেলাফত মজলিস

রায়ে খুশি শহীদ আবু সাঈদের বাবা-মা

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন—বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

রায়ের পর সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় শহীদ রাকিবুল হোসেনের বাবা আবুবকর সিদ্দিক ও মা হাফিজা খাতুন সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে উল্লিখিত দাবি জানান।

হাফিজা খাতুন বলেছেন, শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতে আজ সব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। শহীদের মা হিসেবে আমি আজ আংশিক সন্তুষ্ট। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ, আল্লাহ যেন আমাকে হায়াত দেন। আমি যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকর দেখে যেতে পারি।

আবুবকর সিদ্দিক বলেন, শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান খান কামালসহ জুলাই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত সকলের ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। যারা গণহত্যা চালিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের মাটিতে ফিরিয়ে এনে তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। আজ আমরা খুশি। শেখ হাসিনা বহু মায়ের বুক খালি করেছে। একজন নারী হয়েও সে কীভাবে এত মায়ের সন্তানকে হত্যার আদেশ দিয়েছে, তা আমরা ভেবে পাই না।

ঢাকা/সোহাগ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকরের দাবি শহীদ রাকিবুলের মা-বাবার
  • ফ্যাসিবাদ ও জুলুমের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক রায়: খেলাফত মজলিস
  • মৃত্যুদণ্ড শেখ হাসিনার উপযুক্ত বিচার: আখতার হোসেন