ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে নাজমুল (২৮) নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বাড়ির পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে পৌর শহরের বাসিন্দা।

পীরগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে শিশুটির বাবা জানান, গত বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশের দোকান থেকে মিঠাই কিনে বাড়ি ফিরছিল শিশুটি। এ সময় স্থানীয় পুকুর পাড়ে শিশুটির মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে নাজমুল। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন শিশুটি। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্রী বলে জানা গেছে। আসামি নাজমুলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হামিদুল ইসলাম।

পীরগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশুটির বাবা ধর্ষণ মামলা করেন। এর ২০ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, ভূমি কর্মকর্তাসহ বরখাস্ত ২

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় ভূমি কর্মকর্তাসহ দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সরওয়ার লিমা সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা কাজী মো. ইউসুফ ও অফিস সহায়ক মো. মনিরুজ্জামান।

সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ভূমি অফিসের এ দুই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের বিরুদ্ধে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সরওয়ার লিমার দৃষ্টিগোচর হলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত ৭ মে দুই জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এ বিষয়ে জাকিয়া সরওয়ার লিমা সমকালকে বলেন, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাজী মো. ইউসুফ ও মো. মনিরুজ্জামানকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। একটি ভিডিও চিত্রে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ