হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফেরার পথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাহদী হাসানসহ ৪ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত অবস্থায় তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হবিগঞ্জের সদস্য সচিব মাহদী হাসান, রকি, সাইদুর ও অন্তর।

চারজন আহত হওয়ার বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হবিগঞ্জ আহ্বায়ক আরিফ তালুকদার।

স্থানীয়রা জানান, আজ শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন। অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যা ৭টায় রিকশাযোগে ফেরার পথে শহরের পুরাতন হাসপাতালের সামনে একদল দুর্বৃত্তরা তাদেরকে পিটিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থা তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হবিগঞ্জ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরিফ তালুকদার জানান, বিভিন্ন অভিযোগে সংগঠনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাবিককে সম্প্রতি বহিষ্কার করা হয়েছে। তার নেতৃত্বে আজ হামলা করা হয়েছে।

হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি সজল সরকার জানান, তাদের যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক সাকিব হামলা করেছে বলে জানতে পেরেছি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আহত

এছাড়াও পড়ুন:

শত কোটি টাকার নদী খনন কাজ বন্ধ

নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পর তা বন্ধ চলে যায় চুক্তি করা টিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দ্রুত পুনরায় খনন কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে সংরক্ষণ প্রকল্পের আওয়াতায় ২৫০ কোটি ব্যয়ে নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর ৫৮ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্প অনুযায়ি, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ এবং মাইনি নদীর ইয়ারাংছড়ি থেকে লংগদু মুখ পর্যন্ত খনন করার কথা।

আরো পড়ুন:

ঢাকার ৪৪ খাস পুকুর-জলাশয় সংস্কার শুরু

মাদারীপুরে নদীর মাটি চুরি, ভাঙন আতঙ্ক

কিন্ত মাইনি নদীর খনন কাজ চললেও চেঙ্গী নদীর কাজ কিছুদিন করার পর বন্ধ করে চলে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর অংশে কাজ নতুন করে শুরু হলেও রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থেকে বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ পর্যন্ত অংশের খনন কাজ ৩-৪ মাস ধরে একেবারে বন্ধ।

এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

নানিয়ারচর পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. খোরশেদ আলম, মো. আনসার আলী ও হাসাপতাল এলাকা বাসিন্দা মো. নুরুল হক জানান, নদীর খনন কাজ শেষ হলে তারা উপকৃত হতেন। বিশেষ করে কাপ্তাই হ্রদের পানি যখন কমে যায়, শুকনা মৌসুমে নদী পথে তাদের মালামাল আনা-নেওয়া করতে সুবিধা হত। আর সেই মাটিগুলো দিয়ে যদি নিচু রাস্তাগুলো উচু করা যেত তাহলে তারা উপকৃত হতেন। তাদের দাবি আবার যেন দ্রুত খনন কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এনিয়ে কথা বলতে নানিয়ারচর অংশের টিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েল এডব্লিউআর (জেভি) এর ম্যানেজার মো. মাহবুবের ও মহালছড়ি অংশের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এআরকেএল-এসএমআইএল (জেবি) এর ম্যানেজার মো. সোয়েবের মোবাইল নাম্বারে কল দেওয়া হলে তারা রিসিভ করেননি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ার এর কাজ মাঝখানে বন্ধ হয়েছিল, ড্রেজার নিয়ে গিয়েছিল কন্ট্রাকটর। তখন কাজ বাতিলের নোটিশ করেছিলেন। তবে মহালছড়ি অংশের ঠিকাদার আবার নতুন করে ড্রেজার নিয়ে এসেছে। এখন থেকে নিয়মিত কাজ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি জানান, নানিয়াচরে ঠিকাদার নিজস্ব ব্যবস্থাপনার কারণে কাজ করতে পারেনি। ফলে উপরের নির্দেশে কাজ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। আর মাইনী নদীর খনন কাজ চলমান আছে, আগামী জুন মাসে শেষ হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ