কিশোরগঞ্জের মিষ্টি ও বরিশালের সাকিব দীপ্ত স্টার হান্টে বিজয়ী
Published: 9th, May 2025 GMT
প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অনুষ্ঠিত হলো প্রতিভা অন্বেষণের সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘দীপ্ত স্টার হান্ট’-এর গ্র্যান্ড ফিনালে। আজ শুক্রবার (৯ মে) রাত ১০টায় দীপ্ত টিভিতে সম্প্রচারিত হয় জমকালো এই সমাপনী পর্ব। দেশের নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসা সেরা প্রতিযোগীরা এদিন মঞ্চে তুলে ধরেন তাঁদের স্বপ্নযাত্রার চূড়ান্ত প্রকাশ।
এবারের আসরে চ্যাম্পিয়নের মুকুট অর্জন করেছেন কিশোরগঞ্জের মিষ্টি ঘোষ এবং বরিশালের শাকিব হোসেন। প্রথম রানার্সআপ হয়েছেন যশোরের ফারিহা রহমান ও বরিশালের শফিউল রাজ। দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছেন সিলেটের সানজিদা চৌধুরী ও বরিশালের হাফিজ রহমান।
প্রতিযোগিতার শুরুতে অংশ নেন তিন হাজারের বেশি প্রতিযোগী। বাছাইপর্বের নানা ধাপ পেরিয়ে বিচারকমণ্ডলী বেছে নেন সেরা দশ প্রতিযোগীকে—শফিউল রাজ, হাফিজ রহমান, শাকিব হোসেন, শিমুল বিশ্বাস, এম এস এইচ লাবন, সানজিদা চৌধুরী, নূপুর আহসান, মিষ্টি ঘোষ, ফারিহা রহমান ও শেখ ফারিয়া হোসেন। গ্র্যান্ড ফিনালের কমেডি রাউন্ডে অংশ নেন এই ১০ জন। শীর্ষ ছয় প্রতিযোগীর পরিবেশনায় ছিল নাচ, কমেডি স্কিট এবং মিউজিক ম্যাশআপ। মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করে দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন জনপ্রিয় শিল্পী সন্ধি, সভ্যতা ও কর্নিয়া।
স্টার হান্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ক্রেস্ট হাতে মিষ্টি ঘোষ ও সাকিব হোসেন। ছবি: দীপ্ত টিভির সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শব্দজটের শহরে নিঃশব্দে চলে গেল প্রাণ!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির যাত্রী ছাউনির কোণে থেমে ছিল একটি রিকশা। অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো চালক একটু বিশ্রাম নিচ্ছেন। সারা দিনের ক্লান্তি তো আর কম নয়! কিন্তু না পথচারী গায়ে হাত দিতেই বুঝলেন তিনি আর নেই।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, অনেকক্ষণ আগেই তিনি মারা গেছেন।
এখনও নাম পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ বলছে, চেষ্টা চলছে। অনেকে সিটের আসনে আধা শোয়া অবস্থায় থাকা ছবিটা শেয়ার করছেন পরিচয় শনাক্তের জন্য।
হামিদ হাসান নামে একজন ওই ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, “একজন পথচারী বিকেলে দেখেছিলেন তাকে ঘুমন্ত অবস্থায়। কয়েক ঘণ্টা পর আবার যখন ওই পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখনও একইভাবে বসে আছেন তিনি। কিন্তু এবার মনটা কেমন যেন কেঁপে উঠল। গায়ের ওপর হাত রাখতেই বুঝলেন ঘুমিয়ে নেই তিনি। ফিরে গেছেন না-ফেরার দেশে।”
“রিকশার ওপরেই মৃত্যু হয়েছিল তার। নীরবে, একা। হয়তো স্ট্রোক করেই শেষ নিঃশ্বাসটা ফেলেছিলেন। কোনো শব্দ নেই, কোনো আর্তনাদ নেই শুধু একটুকরো নিঃশব্দ বিদায়। পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম এসে মরদেহের দায়িত্ব নিয়েছে। এখনো তার পরিচয় জানা যায়নি।”
তিনি আরো লেখেন, “মানুষের জীবন কতটা অস্থায়ী, কতটা অনিশ্চিত! হয়তো শুধু একটু বিশ্রাম নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্য তাকে চিরবিশ্রামের দেশে পাঠিয়ে দিল।”
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিঠু জানান, নিহত ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
ঢাকা/বুলবুল/ইভা