সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় সুন্দরবনের গরান কাঠ পাচারের সময় তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সুন্দরবনসংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ এলাকা তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬৫০ টুকরা গরান কাঠ জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার পানিয়া গ্রামের আল আমিন (৩৫), মনিরুল ইসলাম (২৬) ও মীর আলী (৭৫)। এ ছাড়া দুজন কিশোরকে আটক করা হয়। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।  

আরও পড়ুনসুন্দরবনের গরান কাঠ কাটার অনুমতি চেয়ে বাওয়ালিদের সংবাদ সম্মেলন০৬ জানুয়ারি ২০২৫

বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, গতকাল রাত ৯টার দিকে খবর আসে, একটি চক্র সুন্দরবন থেকে গরান কাঠ কেটে পাচার করছে। বন বিভাগ ও কমিউনিটি পেট্রলিং গ্রুপের (সিপিজি) সদস্যরা মুন্সিগঞ্জ এলাকায় রাত ১১টার দিকে দুটি পিকআপ ভ্যান আটক করেন। পরে তল্লাশি চালিয়ে মধু পরিবহনের বাক্স থেকে ৬৫০ টুকরা গরানের কাঁচা কাঠ জব্দ করা হয়। সাধারণত মধুর খামারিরা এ ধরনের বাক্স ব্যবহার করে থাকেন।

জিয়াউর রহমান জানান, আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে আল আমিন, মনিরুল ও মীরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন দরবন

এছাড়াও পড়ুন:

ডিজিটাল পরিচয়পত্র পাচ্ছেন সুন্দরবনের বনজীবীরা, নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকলেই আসবে খুদে বার্তা

সুন্দরবনের বনজীবীদের ডিজিটাল পরিচয়পত্র দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। এর মাধ্যমে বনজীবীদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখাসহ অপরাধ দমন সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বন কর্মকর্তারা বলেন, ডিজিটাল পরিচয়পত্রটির মাধ্যমে কোনো জেলে বা বনজীবী সুন্দরবনের নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করলে বনরক্ষীরা খুদে বার্তার মাধ্যমে সহজেই তা জানতে পারবেন।

আজ বৃহস্পতিবার সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ জেড এম হাছানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বর্তমানে বনজীবীদের ডিজিটাল পরিচয়পত্র তৈরির জন্য পরামর্শক নিয়োগের কার্যক্রম চলছে। আমরা আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে সুন্দরবনের সম্পদ সংগ্রহকারীদের ডেটাবেজ তৈরি শেষে বনজীবীদের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দিতে পারব।’

সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠির মাধ্যমে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বন বিভাগকে। মন্ত্রণালয়টির উপসচিব কামরুল ইসলামের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সুন্দরবন–সংলগ্ন এলাকার স্থানীয় জনসাধারণ বনের মাছ ও কাঁকড়া আহরণ, মধু সংগ্রহ ও গোলপাতা সংগ্রহের ওপর নির্ভরশীল। বনের সুরক্ষার জন্য এই নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে তাঁদের ডিজিটাল পরিচয়পত্র প্রদান করে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। বনজীবী ছাড়াও পর্যটনসংশ্লিষ্ট ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডদের পৃথক ডেটাবেজ তৈরির বিষয়েও বলা হয়েছে।

এই স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে জেলেরা বন বিভাগের কার্যালয়ে না গিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে রাজস্ব জমা দিয়ে সুন্দরবনে ঢুকতে পারবেন। আর কার্ডধারী কোনো জেলে সুন্দরবনের নিষিদ্ধ অভয়ারণ্যে প্রবেশ করলে বনরক্ষীদের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেজ চলে যাবে। সেখানে স্পষ্ট বোঝা যাবে, কোন জেলে নিষিদ্ধ এলাকায় যাচ্ছেন।

স্মার্টকাডটি কীভাবে কাজ করবে, সে বিষয়ে এ জেড এম হাছানুর রহমান বলেন, ওই স্মার্ট কার্ডে একটি কিউআর কোড থাকবে। ওই কিউআর কোড দিয়ে বনজীবীদের পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। তাদের ছবি, ঠিকানা, কবে বনে ঢুকেছেন, কবে বের হবেন, কোন জাল দিয়ে মাছ শিকার করবেন, কত টাকা রাজস্ব দিয়েছেন—সব তথ্য ডিভাইসের মাধ্যমে দেখা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভাঙ্গায় লাইনচ্যুত হওয়ার ১৩ ঘণ্টা পর ছাড়ল জাহানাবাদ এক্সপ্রেস, অন্য ট্রেনেরও সূচি বিপর্যয়
  • ৭৮ জনকে সুন্দরবনে ফেলে গেল বিএসএফ ও ভারতীয় কোস্টগার্ড
  • সুন্দরবনের চরে ৭৮ জনকে রেখে গেছে বিএসএফ, দিনাজপুর সীমান্তে ৯ জনকে হস্তান্তর
  • পথ ভুলে লোকালয়ে আসা হরিণ সুন্দরবনে অবমুক্ত
  • সুন্দরবন থেকে ৪২ কেজি হরিণের মাংস জব্দ
  • সুন্দরবন থেকে নৌকাসহ ৪২ কেজি হরিণের মাংস জব্দ
  • ডিজিটাল পরিচয়পত্র পাচ্ছেন সুন্দরবনের বনজীবীরা, নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকলেই আসবে খুদে বার্তা