চলতি বছরেই পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান।

শনিবার (১০ মে) রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন এবং পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৪ দেওয়া হয়। এবার শিক্ষা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য—‘মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করি; বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি’।

শনিবারে স্কুল খোলা রাখা যায় কি না, সে বিষয়টিও ভেবে দেখার জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা.

বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের প্রতি অনুরোধ জানান মহাপরিচালক। প্রতি বছর ১৩ শতাংশ শিশু শিক্ষার্থীর ঝরে পড়াকে উদ্বেগজনক বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক আরো জানান, বর্তমানে দেশে ১ লাখ ১৪ হাজারের বেশি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১ কোটি ৯৭ লাখের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও যেকোনো মূল্যে শিক্ষকদের সম্মান ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সরকার সংকল্পবদ্ধ। 

মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৃত্তি পরীক্ষা ফের চালু করা যায় কি না, সেটাও সরকার বিবেচনা করছে বলেও জানান শিক্ষা উপদেষ্টা।  

শিক্ষাব্যবস্থায় সর্বক্ষেত্রে মুনাফার চিত্র ফুটে উঠছে, এ কথা উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, মামলা থাকায় সারা দেশে ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগ দিতে পারছে না সরকার।

ঢাকা/হাসান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

নরসিংদীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ ‍উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ফলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে, দেখা দিচ্ছে শয্যা সংকট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তার মশা নিধনে ড্রেনগুলো দ্রুত পরিষ্কারের জন্য পৌরসভার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসেই প্রায় ১০০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। অক্টোবর মাসের প্রথম তিনদিনে ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রতিদিনই জ্বর, শরীর ব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে আসছেন রোগীরা। যাদের অবস্থা গুরুতর, তাদেরকেই ভর্তি করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার

বাঁশবাগানে পাওয়া সেই নবজাতক মারা গেছে

রোগীর স্বজন নাসরিন আক্তার বলেন, “আমার ভাই পাঁচদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। প্রথমে বুঝতেই পারিনি তার ডেঙ্গু হয়েছে। এখন প্লাটিলেট কমে গেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, অবস্থা গুরুতর। খুব দুশ্চিন্তায় আছি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা যথাসাধ্য করছেন, শয্যার সংকট আর ওষুধের জোগান সবসময় মেলে না।”

আরেক রোগীর বাবা মো. সাহেব আলী বলেন, “আমার ছোট ছেলের বয়স ১০ বছর। জ্বর নিয়ে ভর্তি করাতে হয়েছিল তাকে। ওর ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। হাসপাতালে জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। আমরা গরিব মানুষ, ছেলেকে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সমর্থ্য নেই।”

হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমাণ এক রোগীর চাচা মাহবুব হোসেন বলেন, “হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না। ডেঙ্গু যে এত ভয়াবহ হবে বুঝতে পারিনি। প্রশাসন যদি আগে ব্যবস্থা নিত, তাহলে এমন অবস্থা হতো না।”

স্থানীয় কলেজছাত্র জুবায়ের হোসেন বলেন, “জুলাইয়ের শেষ দিক থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে, অথচ পৌরসভা থেকে মশা নিধনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়নি অনেকদিন। আমরা খুব চিন্তায় আছি। শুধু ওষুধ আর হাসপাতাল দিয়ে এই রোগ ঠেকানো যাবে না। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, “বিভিন্ন কারণে এডিস মশার প্রজনন বাড়ছে। প্রতিদিন প্রচুর রোগী আসছেন জ্বর নিয়ে। অনেকেরই অবস্থা গুরুতর। সীমিত সামর্থ্যে আমরা চেষ্টা করছি সাধ্যমতো সেবা দিতে। রোগীর চাপ ক্রমেই বাড়ছে।”

ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ