মাদারীপুরে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষ, বোমা বিস্ফোরণ
Published: 10th, May 2025 GMT
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে গিয়ে তোপের মুখে পড়ে জেলা বিএনপির নেতারা। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বোমা বিস্ফোরণ ঘটে।
শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউনিয়নের কালিবাড়ি বাজারে সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
একাধিক বিএনপি নেতাকর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর জেলার পৌরসভা ও ইউনিয়নে বিএনপির কমিটি গঠনের জন্য ২২ জন নেতাকর্মীকে দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। তাদের নিয়ে ৭টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৬টি কমিটিতে ৩ জন করে ও একটি কমিটিতে ৪ জন রয়েছেন। প্রতিটি কমিটিকে তালিকা অনুযায়ী ইউনিয়ন ও পৌরসভায় বিএনপির কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়। এর মধ্যে হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়া, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বজলু হাওলাদার ও এইচ এম মিজানুর রহমান। তাদের অনুমতিতে শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করেন ওই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা.
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
খুলনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫
এ সময় মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়া, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিল্টন বৈদ্য, রাজৈর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান লেবু কাজী, লন্ডন বিএনপি নেতা বাবু হাওলাদার সহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজৈর উপজেলার হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আবুল কালাম শিকদার অভিযোগ করে বলেন, ‘‘জেলা বিএনপির আহ্বায়ক প্রোগ্রাম দিয়েছেন এটা আরিফ হাওলাদার মানেন না। এর আগে প্রোগ্রাম থামানোর জন্য ৫০-৬০ জন নিয়ে এসে আমাকে চার্জ করেছেন। আমি পারবো না বলায় সম্মেলনের মধ্যে তিনি আওয়ামী লীগের কিছু লোক সঙ্গে নিয়া এই গ্যাঞ্জাম লাগিয়েছে। এর মধ্যে আমাদের গ্রামের জিয়া ও রেজাউল শিকদারও ছিলেন। জিয়া উল্টাপাল্টা কথা বলায় মার খেয়েছেন। ওখানে বিএনপির তিন গ্রুপের লোকজন ছিল। এমপি প্রার্থী মিল্টন বৈধ্য গ্রুপ, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওহাব মিয়া গ্রুপ ও আরিফ হাওলাদার গ্রুপ।’’
এ ব্যাপারে পাল্টা অভিযোগ করে আরিফ হাওলাদার বলেন, ‘‘আবুল কালাম শিকদার আওয়ামী লীগের লোকজন দাওয়াত দিয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের লোকজনই ওখানে বোমা ফাটিয়েছে। পুলিশ ধাওয়া করছিল কিন্তু ধরতে পারেনি। এটা পরিকল্পিতভাবে আমাদের বিএনপির অনুষ্ঠান পণ্ড করার জন্য আওয়ামী লীগের লোকজন এ কাজ করছেন।’’
এ বিষয়ে জানতে মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়াকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিল্টন বৈদ্য বলেন, ‘কিছু আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে কমিটি করতে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। আমি চেষ্টা করেছি দুই পক্ষকে থামানোর জন্য।’’
রাজৈর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্চয় কুমার ঘোষ বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।’’
ঢাকা/বেলাল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ব এনপ ল গ র ল কজন র জ র উপজ ল ব এনপ র স ন ব এনপ র ন ত কর ম স ঘর ষ র জন য আওয় ম সদস য এ সময়
এছাড়াও পড়ুন:
রাস্তার গর্ত ভরাটের নাম করে অবৈধ বালু ব্যবসা
কলমাকান্দা উপজেলার পাহাড়ি নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু রাস্তার পাশে ফেলে গর্ত ভরাটের নাম করে এখন তা প্রকাশ্যে বিক্রি করছে একটি চক্র। খারনৈ ইউনিয়নের গজারমারি এলাকার ভেলুয়াতলিতে এই ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয়রা জানান, কিছু দিন আগে এলাকাবাসীর সামনে রাস্তার গর্ত ভরাটের অজুহাতে পাহাড়ি নদী ডেনকি থেকে উত্তোলিত বালু ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল সেই বালু লুকিয়ে রাখা এবং পরে তা বিক্রি করা। অভিযোগ রয়েছে, এই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাদেক মিয়া নামে এক ব্যক্তি, যার সঙ্গে আরও অন্তত চারজন জড়িত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সরাসরি ভেকু দিয়ে বালু তুলে ট্রলিতে করে বিক্রি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব দৃশ্য ক্যামেরাবন্দিও হয়েছে। এমন কর্মকাণ্ডে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় একজন বলেন, প্রথমে বলেছিল রাস্তার গর্ত ভরাট করবে। এখন দেখা যাচ্ছে সেই বালুই বিক্রি করছে ট্রলিতে করে। প্রশাসন যেন দেখেও না দেখার ভান করছে।
বালু বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাদেক মিয়া। তিনি বলেন, ‘রাস্তার পাশে আমাদের নিজ নামে জমি রয়েছে। অনেক আগেই আমরা সেই গর্তে ডেনকি নদীর বালু ফেলেছিলাম। এখন এলাকার উন্নয়নের কাজে সেই বালু নেওয়া হচ্ছে।’
তবে সাদেক মিয়ার দাবি মানতে নারাজ স্থানীয়রা। তাদের ভাষ্য, এটি অবৈধ বালু ব্যবসার একটি কৌশল। তারা দ্রুত তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, ‘খবর পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’