শাকিব খানের আসন্ন সিনেমা ‘তাণ্ডব’-এ অভিনয়ের কথা ছিল নিদ্রা দে নেহার। কিন্তু হঠাৎ শোনা যায়, এই ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাকে। বাদ পড়ার পর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে যোগ্যতার অবমূল্যায়ন, ইন্ডাস্ট্রিতে সিন্ডিকেটসহ নানা অসঙ্গতির কথা তুলে ধরেন নেহা। সেই সঙ্গে জানান, অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছে তার মরে গেছে, তাই তিনি আর নোংরা পরিবেশের অংশ হতে চান না।

সেই বক্তব্যের পর অনেকেই মানে করেছিল তিনি হয়ত অভিনয় থেকে দূরে চলে যাচ্ছেন। সেই বিষয়টি নিয়ে এবার খোলামেলা কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।

নিদ্রা দে নেহা সমকালকে বলেন, ‘প্রথম পোস্টটি করার পর অনেকেই আমার কাছে ফোন করেছিল। তারা বলেছেন, এগুলো নিয়ে কথা বললে, অনেক কিছু হবে। তবে সেটা সত্য আমি সেটাই বলেছি। একবারের জন্যও মনে হয়, আমি ভুল কিছু করছি।’

অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে এসেছেন কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অভিনয় ছাড়ার বিষয়ে আমি কোথাও কিছু বলিনি। আমি যেহেতু পাবলিক ফিগার, তাই আমাকে নিয়ে অনেক কিছুই বলবে। এখানে আমার কিছু বলার নেই। তবে আপাতত কাজ থেকে দূরে আছি। আমি যে কাজগুলোতে যুক্ত ছিলাম সেগুলো তো শেষ করতে হবে। এটা তো আমার দায়বদ্ধের জায়গা। এখনো নতুন কোনো কাজে যুক্ত হইনি।’
  
তিনি বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ার মাত্র ৫ বছরের। এই সময় আমি কোয়ালিটিফুল কাজগুলো বেশি করার চেষ্টা করেছি। অনেকের কাছে সেটা কোয়ালিটিফুল নাও হতে পারে। তবে একটা কাজ হাতছাড়া হওয়ার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না বলে আমি মনে করি। কারণ, আমি অভিনয়টাকে ভালোবেসে এখানে এসেছি।’

সিন্ডিকেট নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এখনো সিন্ডিকেটের মধ্যে ঢুকতে পারিনি। সুতরাং সিন্ডিকেট বিষয়টা নিয়ে আমি সেরকম জানিও না। এটা নিয়ে ভাবিও না। কারণ, আমি একজন শিল্পী। আমাকে যারা ডাকবে তাদের সঙ্গেহ আমি কাজ করবো।’

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে নিদ্রা দে নেহা অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘ফ্যাঁকড়া’। এতে গোলাপি চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। 

নতুন কাজ নিয়ে নেহা বলেন, ‘‘ফ্যাঁকড়া’ওয়েব সিরিজটির গল্প অসাধারণ। এখানে আমি গোলাপি চরিত্রে অভিনয় করেছি। চরিত্রটা দারুণ। প্রেমের জন্য অপরাধ এবং ভুলের পরিণতি, সেখানে কতগুলো মানুষ জড়িয়ে পড়ে সেই গল্প পর্দায় দেখাবেন নির্মাতা। এছাড়া একটি অনুদানের সিনেমা ও ফিচার সিনেমার নিয়ে কথা চলছে। সেই সঙ্গে একটি হিন্দি সিনেমায় কাজ নিয়েও কথা চলছে।”

২০২০ সালের ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’- প্রতিযোগী নিদ্রা দে নেহা মডেলিং দিয়েই ক্যারিয়ার শুরু করেন। বিজ্ঞাপন, নাটক, ওটিটির গণ্ডি পেরিয়ে নাম লিখিয়েছেন সিনেমায়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটির দিনে বরখাস্ত করায় ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন তিনি

যুক্তরাজ্যের স্কিনকেয়ার প্রতিষ্ঠান ডার্মালোজিকা ইউকেতে খণ্ডকালীন কর্মী ছিলেন জোয়ান নিল। তিনি সেখানে পরামর্শক হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু তাঁর এক ছুটির দিনে তাঁকে বরখাস্ত করে প্রতিষ্ঠানটি। এ কারণে তিনি আদালতে যান। ছুটির দিনে চাকরিচ্যুত করায় শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলায় তিনি জিতেছেন। এতে ২৫ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন নিল।

দ্য টেলিগ্রাফ-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাজে না থাকাকালে ‘ক্যাচ আপ’ শিরোনামের এক ভিডিও কলে জোয়ান নিলকে চাকরিচ্যুত করে ডার্মালোজিকা ইউকে। ট্রাইব্যুনাল রায়ে বলেছেন, আগেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন জোয়ান নিল। বরখাস্তের ঘটনা তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুতরভাবে আরও খারাপ করে তোলে। এ জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাঁকে প্রায় ২৫ হাজার পাউন্ড দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

রায়ে আরও বলা হয়েছে, খণ্ডকালীন কাজ করার কারণে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, যা লিঙ্গবৈষম্যের শামিল।

কর্মসংস্থান ট্রাইব্যুনালের বিচারক লিজ অর্ড ডার্মালোজিকাকে সমালোচনা করে বলেন, মিটিংয়ের জন্য লিজকে খুব স্বল্প নোটিশে ডাকা হয়েছিল। আর আমন্ত্রণে ‘ক্যাচ আপ’ লেখা থাকায় তিনি বিভ্রান্ত হন, ফলে কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই তিনি পুরোপুরি হতভম্ব হয়ে পড়েন। ঘোষণাটি তাঁকে হতাশায় নিমজ্জিত করে, যা তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থাকে উল্লেখযোগ্যভাবে আরও খারাপ করে তোলে।

বিচারক লিজ অর্ড আরও বলেন, মাইক্রোসফট টিমসের মাধ্যমে বৈঠক করায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। পাশে কোনো সহকর্মী ছিলেন না, এমনকি এইচআর-এর কাছে কিছু জিজ্ঞেস করার সুযোগও পাননি। লন্ডনের ক্রয়ডন ট্রাইব্যুনাল জানান, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জোয়ান মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। সপ্তাহে মাত্র দুই দিন কাজ করলেও তাঁকে বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ