১৩ বছর বয়সী শিশু মো. ইয়াসিনকে ঘুম থেকে উঠতে হয় সকাল ৮টার মধ্যে। এরপর ঝটপট প্রস্তুত হয়ে তাকে বাসা থেকে বের হতে হয়।

না, স্কুলের জন্য নয়; রাজধানীর কাফরুলের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে (এসটিএস) যায় শিশুটি। পাশের টংদোকানে চা-রুটি খেয়ে বর্জ্য সংগ্রহের ভ্যানের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ে সে।

এলাকার নির্ধারিত ভবনের প্রতিতলায় গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করে নিচে নামায় ভ্যানচালক ও তার সহকারী ইয়াসিন। এরপর ময়লাসমেত ভারী ভ্যানটি ঠেলে এসটিএসে নিয়ে যাওয়াই মূল কাজ।

ভ্যানের দশা খুবই জরাজীর্ণ। ময়লাবাহী ভ্যান ঠেলে নিয়ে যাওয়া সহজ কাজ নয়। পুরোনো চাকার টিউব ভ্যানের সঙ্গে বেঁধে তা কাঁধের সঙ্গে লাগিয়ে টানতে হয়। এভাবে কখনো ইয়াসিন টানে, কখনো টানেন তার ‘মহাজন’ (ভ্যানচালক)।

সিটি করপোরেশনের ময়লার ট্রাকে বর্জ্য ওঠানোর পর মেলে ছুটি। বাড়তি আয়ের জন্য শিশু কিংবা পূর্ণবয়স্ক—সব কর্মীই আবর্জনা থেকে প্লাস্টিকসহ অন্যান্য জিনিস আলাদা করে বিক্রি করে।

গত ২৫ এপ্রিল কথা হয় ইয়াসিনের সঙ্গে। শিশুটি রাজধানীর ভাষানটেক বস্তি এলাকায় পরিবারসহ থাকে। বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। মা গৃহিণী। প্রায় দুই বছর আগে এক মামার সূত্রে এই কাজের খোঁজ পায় ইয়াসিন। তখন থেকে মাসিক সাত হাজার টাকা বেতনে এই কাজ করছে শিশুটি।

বর্জ্যের সঙ্গে আসা কিছু জিনিস বেছে মাসে অতিরিক্ত কয়েক হাজার টাকা আয়ের সুযোগ থাকে ইয়াসিনের। নিজের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি পরিবারকে সাহায্য করতেই এই কাজে যুক্ত হয় শিশুটি।

এই বয়সে কাজে এসেছে কেন জানতে চাইলে ইয়াসিন বলে, ‘বাপ-মায় তো পড়তে কয়। পড়ছি কমবেশি। স্কুল শ্যাষে হাফ বেলা বইসা থাকতে মন চাইতো না। এ জন্যই কামে আইছিলাম। এহন নিজের যা লাগে, নিজেই কিনতে পারি। সংসারেও টাকা দেই।’

সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বাসাবাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহের কাজে শিশুদের যুক্ত থাকার চিত্র পাওয়া গেল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একেকটি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০টি ময়লার ভ্যান থাকে। মহাখালীর কড়াইল এলাকার কেন্দ্রে এই সংখ্যা ৯০ থেকে ১০০টি। ভ্যানচালককে শিশুশ্রমিকেরা ‘মহাজন’ বলে ডাকে। এসব মহাজনের মহাজন হলেন ভ্যানের মালিকেরা। একেকজন মালিকের অধীন কমপক্ষে ৪ থেকে ৫টি ভ্যান থাকে। ভ্যানচালকেরা নিজেদের কাজের সুবিধার্থে শিশুদের নিয়োগ দেয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই কাজ শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাদের নিয়ে নীতিনির্ধারকদের ভাবনাচিন্তা খুব একটা চোখে পড়ে না।

ঝুঁকিপূর্ণ কাজে লাখো শিশু

গত বছরের মার্চে জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যা ব্যুরো (বিবিএস)। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে শিশুর (৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী) সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। দেশে শিশুশ্রমিক আছে ৩৫ লাখ ৩৭ হাজার। শিশুশ্রমিকদের মধ্যে ১০ লাখ ৭০ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে। ২০ লাখ ১০ হাজার শিশুশ্রমিক পারিশ্রমিক পায় না। আর যারা পারিশ্রমিক পায়, তাদের মাসে গড় আয় ৬ হাজার ৬৭৫ টাকা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুশ্রমিকদের একটা বড় অংশ অনানুষ্ঠানিকভাবে নিযুক্ত হয়, যা খুবই উদ্বেগজনক। কারণ, এর ফলে মালিককে কোনো ধরনের জবাবদিহি করতে হয় না। ঝুঁকিপূর্ণ ও অনানুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ পাওয়া শিশুদের মধ্যে ময়লা টানা শিশুরাও রয়েছে।

স্কুলে ফেরা কঠিন

ঢাকার শেওড়াপাড়ার একটি এসটিএসের সামনে কথা হয় মো.

জাহিদের সঙ্গে। শিশুটির বয়স ১০ বছর। দুই মাস ধরে সে ময়লা টানার ভ্যানে সহকারী হিসেবে কাজ করছে। ভ্যানের চালক তার নিজের বড় ভাই নয়ন। বয়স ১৭। তাদের বাবা ব্যাটারিচালিত রিকশা চালান, মা বাসাবাড়িতে কাজ করেন।

জাহিদ কিছুদিন আগে মাদ্রাসায় পড়ত। তবে পড়াশোনায় তার মন ছিল। উল্টো ‘খারাপ’ ছেলেদের সঙ্গে মিশতে শুরু করেছিল সে। এসব তথ্য জানিয়ে তার ভাই নয়ন বলে, ‘কত কষ্ট কইরা টাকা ইনকাম করা লাগে, সেইটার বুঝ দিতেই ওরে (জাহিদ) কাজে আনছি। কষ্টের ভয়ে লেখাপড়ায় ফেরত গেলে তা-ও ভালো।’

তবে বাস্তবে এমন আশা কঠিন। কারণ, নয়ন নিজেও এই কাজে এসে আর স্কুলমুখী হয়নি। ১০ থেকে ১১ বছর বয়সে ময়লার ভ্যান টানার কাজে যুক্ত হয় নয়ন। এরপর আর এই কাজ ছাড়তে পারেনি। এখন দুই ভাই-ই এ কাজে যুক্ত। বেতন মাসে ১০ হাজার টাকা করে।

একই কাজে যুক্ত আবদুল্লাহর (১৩) গল্পও একই রকম। শিশুটির বাড়ি সিলেটে। সে ৯ মাস ধরে তার ভাইয়ের সহকারী হিসেবে এই কাজ করছে। থাকেও ভাইয়ের সঙ্গে। শিশুটির দাবি, দুই ভাইয়ের বেতন ও প্লাস্টিক-ধাতব ভাঙারি বিক্রি করে তাদের মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকা ছুঁই ছুঁই।

গত তিন সপ্তাহে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বর্জ্য সংগ্রহে জড়িত ১০টি শিশুর সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাদের সবাই বলেছে, তারা মূলত পরিবারের আর্থিক দুরবস্থার কারণেই এ কাজে যুক্ত হয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে কাজ না করে পড়াশোনা করাটা অনেকটা বিলাসিতা। তবে অন্তত চারটি শিশু বলেছে, তাদের অভিভাবক স্কুলে যেতে উৎসাহিত করেছিলেন।

বিবিএসের একই জরিপ অনুযায়ী, জাতীয়ভাবে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৪৪টি শ্রমজীবী শিশুর মধ্যে ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ কখনো স্কুলে যায়নি। কারণ, তারা শিক্ষাকে মূল্যবান বলে মনে করে না। এই প্রবণতা ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুশ্রমিকদের মধ্যে বেশি লক্ষণীয়, যাদের মধ্যে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ একই কারণে স্কুলে যায়নি। এ ছাড়া ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী শ্রমজীবী শিশুদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ঝরে পড়ে শিক্ষার উচ্চ ব্যয় বা আর্থিক অসুবিধার কারণে।

রেস্তোরাঁয় ময়লা পরিষ্কারকর্মী

বাসাবাড়ি ছাড়াও রাজধানীতে বর্জ্য উৎপাদনের একটি বড় উৎস হলো আনাচকানাচে গড়ে ওঠা অসংখ্য রেস্তোরাঁ। গত ৩০ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের এসটিএসে কথা হয় মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে। ১৫ বছর বয়সী শিশুটি ঢাকার একটি রেস্তোরাঁর কর্মী। প্রতিদিন রেস্তোরাঁ পরিষ্কার করা, যাবতীয় ময়লা এসটিএসে পৌঁছে দেওয়া তার কাজ।

ইব্রাহীমের বাবা রিকশাচালক। তাঁর আয়ে সংসার চলছিল না। তাই মাত্র সাত বছর বয়সেই কাজে যোগ দেয় ইব্রাহীম। শিশুটি বলে, ‘প্রথমে বেতন কম আছিল। এখন ১৫ হাজার টাকা পাই। সবার টাকা মিলায়া সংসার চলতাছে আরকি।’

ইব্রাহীমের পড়ালেখা করার কোনো সুযোগ হয়নি। এ নিয়ে তার আফসোসও নেই।

স্বাস্থ্যঝুঁকি

এসটিএসের ময়লার স্তূপে জৈব বর্জ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক, ভাঙা ধাতব-কাচ, ব্লেডের মতো জিনিসপত্র দেখা গেল। একাধিক এসটিএসে ওষুধের খালি বোতল, ব্যবহৃত স্যালাইন ব্যাগ-প্লাস্টিক নল, সিরিঞ্জ-সুইয়ের মতো চিকিৎসাবর্জ্য এই প্রতিবেদকের চোখে পড়ে। শিশুসহ অন্য শ্রমিকেরা কোনোরকমের সুরক্ষা ছাড়াই এসব বর্জ্য হাত দিয়ে ধরছিল।

শিশুস্বাস্থ্যের জন্য এই কাজ কতটা ঝুঁকির? এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার সুমাইয়া লিজা প্রথম আলোকে বলেন, যে শিশুরা এসব বর্জ্য নিয়ে কাজ করে, তারা প্রায়ই হাত বা পা কেটে ফেলে। এতে হেপাটাইটিস বি, এইচআইভি/এইডসের মতো মারাত্মক রোগে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ক্রনিক ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। একটা সময় পর এই শিশুদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ না করতে পারে।

ক্রমাগত ময়লার দুর্গন্ধ শিশুদের স্বাভাবিক ঘ্রাণশক্তিকে নষ্ট করে দেয় বলে জানান সুমাইয়া লিজা। তিনি বলেন, তেমনটা হলে শিশুদের মধ্যে দেখা দেয় ক্ষুধামান্দ্য। ফলে তারা মারাত্মকভাবে শারীরিক অপুষ্টিতে ভোগে। তাদের একটা অংশ তখন মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকার কারণে এই শিশুদের অনেকে বিভিন্ন রকম শ্বাসকষ্ট ও চর্মরোগে ভোগে।

শিশু অধিকার ছাপিয়ে বাণিজ্য

ঢাকায় একসময় শিশুরা পথে পথে বর্জ্য সংগ্রহ করত। এখন বর্জ্যের পুরো ব্যবস্থাই একটা কাঠামোর মধ্যে চলে। এ তথ্য জানিয়ে বেসরকারি সংস্থা ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি আশা করেছিলেন, ব্যবস্থার পরিবর্তনের ফলে শিশুদের এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। তাদের শিক্ষা বা অন্য কোনো উদ্যোগে যুক্ত করা হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলো, বর্জ্য সংগ্রহকারী সংস্থাগুলো শিশুদের যেভাবে ব্যবহার করছে, সেখানে তাদের শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। নেই স্বাস্থ্য সুরক্ষার কোনো উদ্যোগও। বরং আছে লম্বা কর্মঘণ্টা, শ্রেণিবৈষম্য ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতাবোধ। শিশু অধিকারের বিষয়টি ছাপিয়ে এখানে বাণিজ্যিক দিকটি গুরুত্ব পাচ্ছে। শিশু অধিকারনির্ভর কোনো কাজে শিশুদের যুক্ত করার উদ্যোগও চোখে খুব একটা পড়ছে না।

শিশুস্বাস্থ্য ও অধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা বলছেন, প্রকাশ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজে জড়িয়ে পড়ছে শিশু। কিন্তু এই শিশুদের স্বাস্থ্য ও অধিকারের বিষয়ে প্রশাসনের তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। ব্যতিক্রম হিসেবে কিছু এনজিও শিশুদের অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়ে কাজ করছে। তবে সামগ্রিকভাবে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি অবহেলিত থেকে যাচ্ছে।

ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী বলেন, ‘বাণিজ্যিক একটা স্বার্থ এখানে যুক্ত হয়েছে। তাই আমাদের সন্দেহ, সরকার বা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের মানুষ এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করার সময় কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বল্পব্যয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়গুলো মাথায় রাখে। এ খাতে জড়িয়ে পড়লে সামাজিক প্রত্যাখ্যানের একটা ব্যাপার আছে। সে কারণে শিশুরা শিক্ষাবঞ্চিত থাকে। এ ছাড়া সামাজিক বিচ্ছিন্নতাবোধের কারণে এই কাজ থেকে বেরিয়ে পরবর্তী সময়ে (প্রাপ্তবয়স্ককালে) অন্য কাজে তারা খুব কম সুবিধাই করতে পারে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ময়লা সংগ্রহের জন্য ঢাকার এলাকাভেদে মাসে ১৪০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত ‘সার্ভিস চার্জ’ নিয়ে থাকে বর্জ্য সংগ্রহকারী সংস্থাগুলো। সাধারণত ৩০টি ভবনের ময়লা সংগ্রহের দায়িত্বে থাকে একটি ভ্যান। ধরা যাক, প্রতিটি ছয়তলা ভবনে দুটি করে ইউনিট। প্রতি ফ্ল্যাট থেকে গড়ে ১৭০ টাকা করে নিলে ৩০টি ভবন থেকে সংগ্রহ হয় ৬১ হাজার ২০০ টাকা। এর মধ্যে ভ্যানচালককে দেওয়া হয় মাসে ১৫ হাজার টাকা। আর তার সহকারী শিশুশ্রমিক পায় গড়ে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। ফলে আয়ের একটা বড় অংশ মালিকের পকেটে যায়।

আশার কথা হলো, সাম্প্রতিক সময়ে শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজের খাতগুলো চিহ্নিতকরণ ও কাজে যুক্ত শিশুদের নিবন্ধনের কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। কিছু বেসরকারি সংগঠনও এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বর্জ্য সংগ্রহের কাজে নিযুক্ত শিশুদের বিষয়টিকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্রম থেকে সরিয়ে আনা শিশুদের জন্য বাস্তব উপযোগী প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও পূর্ণবয়স্ক হলে তাদের কাজের ব্যবস্থা না করতে পারলে কোনো কার্যক্রম অভিভাবকদের প্রভাবিত করবে না। কারণ, শ্রেণিবৈষম্য, শিক্ষাব্যয় মিলিয়ে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধরে রাখা কঠিন। শিশুশ্রমিকের আয়সহ অনেক পরিবার দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। সে ক্ষেত্রে নিবন্ধিত শিশুশ্রমিকদের কার্ডের মাধ্যমে স্কুলে যাওয়া ও বিনিময়ে একটা অর্থ দিলে পরিবারকে আকৃষ্ট করা সম্ভব হতে পারে। ২০২৫ পর্যন্ত সরকারের একটি জাতীয় পরিকল্পনা হাতে আছে। ২০২৫ সাল-পরবর্তী একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করাও জরুরি। তবে আন্তমন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে কার্যক্রম ছাড়া কোনো কাজ মাঠে গড়ানো দুরূহ হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বছর বয়স য ক ত হয় ব যবস থ ক জ করছ ক জ কর পর ব র এই ক জ র জন য র একট র ময়ল সহক র র বয়স ময়ল র সরক র প রথম বলছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

যমজ সন্তান জন্ম দিয়ে অ্যাম্বার বললেন, ভেবেচিন্তে মাতৃত্ব বেছে নিয়েছি

যমজ সন্তানের মা হয়েছেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। মা দিবসে ইনস্টাগ্রামে সুখবরটি জানান তিনি নিজেই। নতুন সদস্যদের নাম দিয়েছেন অ্যাগনেস ও ওশান। তাদের আগমনে নিজের পরিবারকে ‘সম্পূর্ণ’ মনে করছেন বলে জানালেন এই অভিনেত্রী।

৩৯ বছর বয়সী হার্ড এর আগেও ২০২১ সালে কন্যা সন্তান উনাহ্‌-কে দত্তক নেন। তিনি এবার জানিয়েছেন, মা হওয়ার এই যাত্রা ছিল তার জন্য অনন্য অভিজ্ঞতা।

মা দিবসে ইনস্টাগ্রামে তিন জোড়া পায়ের একটি ছবি দিয়ে হার্ড লেখেন, “নিজের শর্তে মা হওয়া, তা-ও আবার বন্ধ্যাত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতা। আমি ভেবেচিন্তে ও দায়িত্বশীলভাবে মাতৃত্ব বেছে নিয়েছি। অমি অনেক খুশি। এই পরিবার গড়ার স্বপ্ন আমি বহু বছর ধরে লালন করেছি।”

হার্ড সব মায়েদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, “আপনারা আজ যেখানেই থাকুন না কেন এবং যে পথেই মাতৃত্বে পৌঁছান না কেন, আমি ও আমার স্বপ্নের পরিবার আপনাদের সঙ্গে উদ্‌যাপন করছি।”

          View this post on Instagram                      

A post shared by Amber Heard (@amberheard)

এর আগেও, ২০২১ সালে যখন তিনি প্রথমবার কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।

অ্যাম্বার হার্ড ২০১৫ সালে অভিনেতা জনি ডেপকে বিয়ে করেন এবং ২০১৬ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। বিচ্ছেদের পর একে অপরের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ তোলেন এবং পরবর্তীতে দুজনই উচ্চ-প্রোফাইল মানহানি মামলায় জড়িয়ে পড়েন।

২০২০ সালে লন্ডনের একটি আদালতে ডেপ একটি মানহানি মামলা হেরে যান, যেখানে হার্ডের সাক্ষ্যে বলা হয়, তিনি ‘স্ত্রী নির্যাতনকারী’। এরপর ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় চলা আরেকটি বহুল প্রচারিত মামলায় হার্ডকে জনি ডেপের বিরুদ্ধে মানহানি প্রমাণিত হওয়ায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫ মিলিয়ন ডলার দিতে বলা হয়। তবে হার্ডও পাল্টা মামলায় আংশিক জয় পান এবং ২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ পান। সূত্র: বিবিসি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ