আবদুল হামিদ বিদেশ যাওয়ার ঘটনা তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি
Published: 11th, May 2025 GMT
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিদেশ যাওয়ার ঘটনা তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালযয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে সভাপতি করে তিন সদস্যবিশিষ্ট উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিন সদস্যবিশিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির বাকি দুজন সদস্য হলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.
এই তদন্ত কমিটি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবে। তারা কিছু বিষয় পর্যালোচনা করে তদন্ত প্রতিবেদন করবেন। এর মধ্যে রয়েছে- গত ৭ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দিয়ে কীভাবে বিদেশ গমন করেছেন; এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দায়িত্বের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ব্যত্যয় ও গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে কিনা; এ ক্ষেত্রে কারা কোন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন তা নির্ধারণ করা এবং সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সে সম্পর্কে সুপারিশ পেশ করা।
এসব কার্যাবলী সম্পাদনের লক্ষ্যে এই কমিটি প্রয়োজনীয় সকল দলিল পত্র, যন্ত্রপাতি, স্বাক্ষ্য-প্রমাণ চাইতে পারবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ গ্রহণ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সকল সংস্থা কমিটি প্রদত্ত নির্দেশাবলী পালন করবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।
গত ৭ মে রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ার ওয়েজের একটি ফ্লাইটে আওয়ামী লীগ সরকারের দুবারের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ব্যাংকক যান। এদিন রাত ১১টার দিকে তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। এরপর ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফ্লাইটে ওঠেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আবদ ল হ ম দ দ শত য গ আবদ ল হ ম দ তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
নিউইয়র্ক নগর কাউন্সিলের প্রাথমিক নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশি শাহানা হানিফ
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগর কাউন্সিলের প্রাথমিক নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শাহানা হানিফ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী মায়া কর্নবার্গকে পরাজিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার নির্বাচন শেষে নিউইয়র্ক নগরের বোর্ড অব ইলেকশন শাহানাকে বিজয়ী ঘোষণা করে। সাধারণত নিউইয়র্ক নগরে ডেমোক্রেট প্রার্থীরাই জয়লাভ করেন। আগামী ৪ নভেম্বর চূড়ান্ত নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনেও শাহানা হানিফ জয়লাভ করবেন বলে প্রত্যাশা তাঁর সমর্থকদের।
প্রাথমিক নির্বাচনে জয়ের পর শাহানা হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কঠিন একটি নির্বাচনে আমার ভোটাররা আমাকে নির্বাচিত করেছেন। এই শহরকে সুন্দর করার জন্য তাঁরা মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করেছেন জোহানকে (ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী নির্বাচিত জোহরান মামদানি)। আমাদের লক্ষ্য এক। আমরা সুন্দর একটি নিউইয়র্ক সিটির স্বপ্ন দেখি। আমি আমার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সামর্থ্য অনুযায়ী এবং চাইল্ড কেয়ার নিয়ে আগের মতোই কাজ করে যাব। আমি চেষ্টা করব, আর কোনো মানুষ যেন এই শহর ছাড়তে বাধ্য না হয়।’
নিউইয়র্ক নগর ৫১টি ডিস্ট্রিক্ট নিয়ে গঠিত। তার একটিতে জয়লাভ করেছেন শাহানা হানিফ। প্রাথমিক নির্বাচনে বিজয়ের পর তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়, শাহানার জয় ব্রুকলিনের রাজনৈতিক চেতনায় একটি নতুন ঢেউ। এই নির্বাচনে ব্যাপক অর্থসংস্থানের বিপরীতে জয়লাভ করেছে তরুণ স্বেচ্ছাসেবক ও ছোট ছোট দাতাদের ঐক্যের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা জনগণ।’
আরও পড়ুননিউইয়র্কে ইতিহাস গড়া জোহরান কেন ‘বাংলাদেশি আন্টিদের’ ধন্যবাদ দিলেন১২ ঘণ্টা আগেশাহানা হানিফের বাবা মোহাম্মদ হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে নিউইয়র্কে আসেন। প্রথমে কুইন্সের জ্যাকসন হাইটসে থাকতেন, পরে কেনসিংটনে চলে যান।
শাহানার জন্ম ব্রুকলিনে। তিনি কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান ও নারী অধিকার বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। সেখানেই তাঁর রাজনৈতিক চেতনার বীজ রোপিত হয়। ২০২১ সালে ২৯ বছর বয়সে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুসলিম নারী হিসেবে নিউইয়র্ক নগরের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুননিউইয়র্কে ইতিহাস গড়লেন জোহরান মামদানি১৬ ঘণ্টা আগে