দিনাজপুরের কাহারোলে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুইজন আরোহী নিহত হয়েছেন। রোববার রাত ৯টার দিকে বীরগঞ্জ-পীরগঞ্জ সড়কের কাহারোল উপজেলার কাশিপুর টংক বাবুর হাট সংলগ্ন হাওয়া ইট ভাটার সামনে এই সড়ক দুর্ঘটনায় ওই মোটরসাইকেলের অপর এক আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানার কিসমত সৈয়দপুর গ্রামের এন্তাজ আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৬) ও পীরগঞ্জ থানার হরিতা গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪০)।

জানা যায়, রাত ৯টায় পীরগঞ্জ থেকে একটি মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহী বীরগঞ্জ উপজেলা সদরের দিকে আসছিলেন। পথে টংক বাবুরহাট ইটভাটার সামনে দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হন। 

তবে ফাঁকা রাস্তায় কীভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলো এ ব্যাপারে স্থানীয়রা কিছু বলতে পারেননি। স্থানীয়দের ধারণা- একটি ট্রাক তাদের চাপা দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে পুলিশের ধারণা- দ্রুতগতির মোটরসাইকেলটি রাস্তার পাশের গাছে ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, তিনজনকে রাস্তার ওপরে পড়ে থাকতে দেখে থানা ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার ও আহতকে হাসপাতালে পাঠায়।

দুর্ঘটনার বিষয়ে কাহারোল থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন সমকালকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতদের মরদেহ পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। আহতকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত প রগঞ জ দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ইসলামী শক্তিগুলোর ঐক্য এখন সময়ের দাবি: খেলাফত মজলিস

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ ব‌লে‌ছেন, “ইসলামী শক্তিগুলোর ঐক্য এখন সময়ের দাবি। নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ঐক্য না হলে দেশ, ইসলাম ও স্বাধীনতা তিনটিই বিপণ্ন হবে।”

মুসলিম ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে শুক্রবার (২৭ জুন) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার যৌথ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা ব‌লেন তি‌নি।

বর্তমান সময়ে ফিলিস্তিনে যা হচ্ছে তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ অভিহিত ক‌রে জালালুদ্দীন আহমদ ব‌লেন, “জাতিসংঘ, ওআইসি সবই নিষ্ক্রিয়। মুসলিম দেশগুলোর সম্মিলিত কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক জোট ছাড়া আমাদের রক্ষার পথ নেই।”

“ইসরায়েল এখন শুধু ফিলিস্তিন নয়, ইরানেও সরাসরি আগ্রাসন চালিয়ে মুসলিম উম্মাহর অস্তিত্ব ও সম্মানকে চ্যালেঞ্জ করছে। ইরান সাহসিকতা ও ন্যায়ভিত্তিক প্রতিরোধের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে- অন্যায়ের জবাব একমাত্র সম্মিলিত প্রতিরোধেই সম্ভব,” ব‌লে ম‌নে ক‌রেন তি‌নি।

জালালুদ্দীন ব‌লেন, “সরকার জনগণের ক্ষোভকে অবজ্ঞা করছে। যারা ফ্যাসিবাদী দমননীতির সহযোগী ছিল, তাদের বিচারের আওতায় আনুন।”

তিনি বলেন, “আমরা জুলাই ঘোষণাপত্রে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের শহীদদের স্বীকৃতি, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।”

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসাইন রাজী এবং সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রাকিবুল ইসলাম।

বক্তব্য রাখেন আমির মাওলানা মহিউদ্দীন রাব্বানী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ হাদী, মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী, মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু হানিফ নোমান, যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আল আবীদ শাকির, ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন হাসিব প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে মিছিল পল্টন হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় দেশ ও জা‌তির সুখ শা‌ন্তি ও সমৃ‌দ্ধি কামনা ক‌রে দোয়া মোনাজাত ক‌রেন দ‌লের নায়েবে আমীর মাওলানা মহিউদ্দীন রাব্বানী।
 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ