চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এক ত্রিপুরা কিশোরীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় আবুল কাশেম (৩৭) নামের এক যুবদল নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জোরারগঞ্জ থানা যুবদলের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম ও সদস্যসচিব মো. দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আবুল কাশেমকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, যুবদল নেতা আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে সংগঠনবিরোধী সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে দলের সব কার্যক্রম ও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর অপকর্মের দায়দায়িত্ব সংগঠন নেবে না।

এদিকে ত্রিপুরা কিশোরীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় আজ সোমবার বিকেলে কিশোরীর মা জোরারগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে যুবদল নেতা আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, ত্রিপুরা কিশোরীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় আজ বিকেলে তার মা বাদী হয়ে আবুল কাশেম নামের এক যুবকের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য বদল ন ত

এছাড়াও পড়ুন:

লিখিত পরীক্ষায় প্রতারণা, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা, ৮ জনকে কারাদণ্ড

কারারক্ষী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় ৮ জনের ১০ মাস করে কারাদণ্ড হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষাৎকার দিতে আসার পর তাঁরা ধরা পড়েন। বিষয়টি আজ বুধবার কারা কর্তৃপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষাৎকারের সময় জানা যায় ৮ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেননি। তাঁদের নাম করে অন্যরা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু প্রকৃত প্রার্থীরা সাক্ষাৎকার দিতে এলে বিষয়টি ধরা পড়ে। লিখিত পরীক্ষার সময় কারা কর্তৃপক্ষ সব চাকরিপ্রার্থীর ছবি তুলে সংরক্ষণ করে রাখে। সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় সেই ছবি মিলিয়ে দেখা হয়। এভাবে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।

কারা কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, জালিয়াতিতে যুক্ত ৮ জন প্রার্থীকে শনাক্ত করার পর বিষয়টি চকবাজার থানা-পুলিশকে জানানো হয়। থানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের আটক করে স্পেশাল মেট্রোপলিটন আদালত লালবাগে উপস্থিত করলে বিচারক তাঁদের কারাদণ্ড দেন।

আসামিদের জবানবন্দি থেকে দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত অনেক ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তাঁদের ভাষ্য, চক্রের সদস্যরা নিয়োগপ্রার্থীদের বাবা, মা, ভাই বা নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে ৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত চুক্তি করেন। কেউ কেউ সন্তানের পক্ষে অলিখিত স্টাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে এবং ব্ল্যাঙ্ক চেক দালালদের কাছে জমা দিয়ে চুক্তি করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত দালালদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে আদালত চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে একটি এজাহার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ