সিদ্ধিরগঞ্জে সিএনএন বাংলা টিভির এমডির গাড়ি থেকে দেশীয় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, আটক ১
Published: 12th, May 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে সিএনএন বাংলা টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহীন আল মামুনের ব্যবহৃত একটি জিপ (ঢাকা মেট্টো-ঘ-০২-২০৪০) গাড়ি থেকে দেশীয় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১২ মে) বিকাল ৫টায় সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ওয়াপদা কলোনী বৌ-বাজার এলাকাস্থ শাহীন আল মামুনের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব দেশীয় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়।
এসময় গাড়ী থেকে ৮টি ছোট বড় দেশীয় অস্ত্র ও আড়াইশ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় ফারুক হাসান নামে শাহীন আল মামুনের চালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলেও এ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযানে অংশ নেয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইলিয়াছ জানান, এই গাড়িটি শাহীন আল মামুনের। এ গাড়িতে তল্লাশী করে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ চালককে আটক করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর আলম জানান, দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ একটি গাড়ি আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চালককে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ শ হ ন আল ম ম ন র স দ ধ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে চিপ উৎপাদন কারখানা স্থানান্তর করবে না তাইওয়ান
তাইওয়ানের চিপ উৎপাদনের অর্ধেক যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরের কথা থাকলেও সেই প্রতিশ্রুতি মানছে না তাইওয়ান। চিপ উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের ওপর নির্ভরশীল। তাইওয়ানের বড় চিপ তৈরির প্রতিষ্ঠান টিএসএমসি বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত চিপ সরবরাহ করে। তাদের অন্যতম গ্রাহক এনভিডিয়া ও অ্যাপল। খবর সিএনএনের।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, তাইওয়ান মনে করছে, চিপ তৈরি করার ক্ষমতা তাদের জন্য একটি সিলিকন ঢাল। শুধু অর্থনৈতিক দিক নয়, চীনের আগ্রাসন প্রতিরোধে চিপ বড় ভূমিকা রাখবে। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়ার ক্ষেত্রেও বড় অবদান রাখবে।
সাম্প্রতিক শুল্ক আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে এসে গণমাধ্যমকে তাইওয়ানের উপপ্রধানমন্ত্রী চেং লি চিউন গত বুধবার বলেন, তাইওয়ান যুক্তরাষ্ট্রে তার সেমিকন্ডাক্টরের ৫০ শতাংশ উৎপাদন স্থানান্তর করতে কোনোভাবেই সম্মতি দেবে না। এসব চিপ ইলেকট্রনিকস, আইফোন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রশিক্ষণ ও সামরিক ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চেং লি চিউন আরও বলেন, ‘আমাদের আলোচনাকারী দল কখনোই অর্ধেক উৎপাদন ভাগ করার প্রতিশ্রুতি দেয়নি। তাই তাইওয়ানের জনগণ এ বিষয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারে।’
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব কমার্স হাওয়ার্ড লুটনিক এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, তাইওয়ানকে তাদের চিপ উৎপাদনের অর্ধেক দেশীয় কারখানা ও বাকি অর্ধেক যুক্তরাষ্ট্রে করতে হবে।
এ বক্তব্য তাইওয়ানের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ফলে চলমান যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান বাণিজ্য আলোচনায় নতুন উত্তেজনা যোগ করেছে।
নিউজনেশন চ্যানেলের ওই সাক্ষাৎকারে হাওয়ার্ড লুটনিক সিলিকন ঢাল ধারণার কথা উল্লেখ করে আরও বলেন, ‘তাইওয়ানকে সুরক্ষিত রাখতে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ৫৮০ শতাংশ উৎপাদন করা প্রয়োজন। তাইওয়ান যদি ৯৫ শতাংশ চিপ উৎপাদন করে, তাহলে আমি কীভাবে সেটা ব্যবহার করে আপনাদের রক্ষা করব? সেটা কি বিমানে করে আনব, নাকি জাহাজে করে?
হাওয়ার্ড লুটনিক আরও বলেন, ‘যদি আমাদের কাছে অর্ধেক চিপ তৈরির ক্ষমতা থাকে, তবে প্রয়োজনে যা করার দরকার, তা করার সক্ষমতা আমাদের থাকবে।’
তবে চীন যদি তাইওয়ানকে আক্রমণ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে, এ বিষয়ে লুটকিন খোলাসা করেননি। চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে আসছে। যদিও দ্বীপটি তাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে কখনোই ছিল না। চীন বলছে, প্রয়োজনে শক্তি ব্যবহার করে হলেও তারা তাইওয়ানকে নিজেদের সঙ্গে একীভূত করবে।
তাইওয়ানের উপপ্রধানমন্ত্রী চেং লি চিউন বলেন, সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় এ ধরনের কোনো প্রস্তাব তোলা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান আলোচনায় বিশ্বের শীর্ষ চিপ নির্মাতা টিএসএমসি অংশ নিয়েছে কি না, তা–ও স্পষ্ট নয়।
সোমবার তাইওয়ানের বিরোধী দল কুওমিনতাংয়ের (কেএমটি) আইনপ্রণেতা হসু ইউ-চেন যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এটি সহযোগিতা নয়, সরাসরি লুটপাট। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান দেশের স্বার্থ বিক্রি করে দেওয়া সমতুল্য এ দাবি প্রত্যাখ্যান করতে।
হসু ইউ-চেন বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র জোর করে টিএসএমসির উন্নত চিপ উৎপাদনক্ষমতা ভাগ করে নেয়, তাহলে সিলিকন ঢালের কার্যকারিতা দুর্বল হয়ে যাবে। আর তাইওয়ানের কৌশলগত নিরাপত্তার হাতিয়ার একেবারেই হারিয়ে যাবে।
বুধবার এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের মন্ত্রিসভা বলে, যুক্তরাষ্ট্র শেষ হওয়া দুই দেশের মধ্যে পঞ্চম দফা বাণিজ্য আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। তাইওয়ানের লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পণ্যের ওপর বর্তমানে যে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়, তা কমানো।