কালীগঞ্জে উপজেলা ও পৌর বিএনপির ২ আহ্বায়ক কমিটি গঠন
Published: 13th, May 2025 GMT
গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিএনপির উপজেলা ও পৌর শাখার দুইটি নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের বর্তুল গ্রামে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় কমিটিগুলোর ঘোষণা দেওয়া হয়।
নতুন কমিটিতে মো. হুমায়ূন কবির মাস্টারকে কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবং খালেকুজ্জামান বাবলুকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মোহাম্মদ হোসেন আরমান মাস্টারকে কালীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক এবং ইব্রাহিম প্রধানকে সদস্য সচিব হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়।
আরো পড়ুন:
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের সমাধান করবে: আমীর খসরু
রাইজিংবিডিতে সংবাদ প্রকাশের পর চান্দনা ডাকঘরের জায়গা দখল মুক্ত
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য একেএম ফজলুল হক মিলন। তিনি নবগঠিত কমিটির নেতাদের অভিনন্দন জানিয়ে আগামী দিনে দলকে সংগঠিত ও গতিশীল করতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- মোহাম্মদ সোলাইমান আলম, আশরাফী হাবীবুল্লাহ, খাইরুল আলম মিন্টু, ফরিদ আহমেদ মৃধা, আলমগীর হোসেন স্বপন, কালীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমানসহ জেলা, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উভয় আহ্বায়ক কমিটিকে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ রূপে গঠন করা হবে।
ঢাকা/রফিক/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র উপজ ল সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে পরকীয়া প্রেমিকের হাতে নারী খুন
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামে তৃপ্তি রাণী (৪০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে তৃপ্তি রানী মাঠে ঘাস কেটে বাড়িতে ফেরার পথে শংকর নামের এক স্থানীয় যুবক তৃপ্তি রানীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন:
প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দেওয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা
যে কারণে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে গলায় ফাঁস দিলেন স্বামী
তৃপ্তি রানী উপজেলার কৃষ্ণবাটি দক্ষিণ পাড়ার অবনিশ মল্লিকের স্ত্রী। অভিযুক্ত শংকর নিহতের প্রতিবেশী। হত্যাকাণ্ডের পরে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
তৃপ্তি রানী পরকীয়ার জের ধরে হত্যার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
কৃষ্ণবাটি এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সাধন দাস বলেছেন, তৃপ্তির স্বামী অবনিশ ভ্যানচালক। এই দম্পতির একটি সন্তান আছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশের এক নারীর সঙ্গে মাঠ থেকে ঘাস কেটে বাড়ি ফিরছিলেন তৃপ্তি। পথে শংকর তাদের গতিরোধ করে। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে হাতে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে তৃপ্তির ঘাড়ে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তখন তৃপ্তির সঙ্গে থাকা নারী বাধা দিতে গেলে তাকেও হত্যার ভয় দেখায় শংকর।
সাধন দাস বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত তৃপ্তি রাণীকে মনিরামপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে স্বজনরা তৃপ্তিকে নিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যায় নড়াইলে পৌঁছালে পথেই তৃপ্তির মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তৃপ্তির সঙ্গে শংকরের পরকীয়া নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন ছিল। একপর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ঘরে তুলতে চান। তখন তৃপ্তি শংকর কাছে তার ভিটাবাড়ি দাবি করেন। শংকর তাতে রাজি না হওয়ায় তাদের দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে তৃপ্তিকে খুন করেছে শংকর।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেছেন, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে শংকর নামের এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃপ্তি রানীকে কুপিয়ে আহত করে। ঢাকায় নেওয়ার পথে তৃপ্তি মারা যান। গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শংকর পলাতক আছে।
ঢাকা/রিটন/রফিক