এনবিআর বিলুপ্তির প্রতিবাদে কলমবিরতি কর্মসূচি চলছে
Published: 14th, May 2025 GMT
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে ঢাকার এনবিআর ভবনসহ সারা দেশে কাস্টমস, ভ্যাট ও শুল্ক কার্যালয়ে তিন দিন কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। দেশের সব কর অঞ্চল, ভ্যাট ও শুল্ক কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ কর্মসূচি পালন করছেন।
তিন দিনের এ কলমবিরতি শুরু হয়েছে আজ বুধবার। আজ সকাল ১০টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়, চলবে বেলা ১টা পর্যন্ত।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এনবিআর ভবনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে অবস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করছেন না। অনেকে আলোচনা ও গল্প করছিলেন।
এনবিআর ভবনের নবম তলায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলমবিরতি কর্মসূচির একটি ব্যানার টানিয়ে এর আশপাশে অবস্থান নিয়ে আছেন। সেখানে উপস্থিত কয়েকজন জানান, আজ সকালে অফিস সময় শুরু থেকে (১০টা) তাঁরা কলমবিরতি পালন করছেন।
অতিরিক্ত কর কমিশনার সাধন কুমার কণ্ডু বলেন, ‘আজ সকাল থেকে আমাদের এ কলমবিরতি কর্মসূচি শুরু হয়েছে। দাবি না আদায় হলে তিন দিন পর্যন্ত এ কলমবিরতি চলবে। এরপরও দাবি আদায় না হলে আমরা আলোচনা করে নতুন কর্মসূচি দেব।’
সাধন কুমার আরও বলেন, ‘আমাদের দাবির বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকারের ওপর মহল থেকে কোনো সাড়া পাইনি। আশা করি, গণমাধ্যমের মাধ্যমে সরকারের ওপর মহল ইতিমধ্যে আমাদের দাবির বিষয়টি জেনেছেন। ফলে তাদের থেকে ভালো সাড়া পাব বলে আশা করছি।’
গত সোমবার রাতে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ এবং ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ নামে নতুন দুটি বিভাগ গঠন করার অধ্যাদেশ জারি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআরের আওতাধীন কর অঞ্চল, ভ্যাট ও শুল্ক কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গতকাল মঙ্গলবার এই কলমবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। গতকাল বিকেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ে এনবিআর কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি থেকে কলমবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচিটি অনুষ্ঠিত হয়।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে জানানো হয়, সারা দেশের কাস্টমস, ভ্যাট ও শুল্ক কার্যালয়গুলোয় তিন দিন কলমবিরতির সময় আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা, বাজেট ও রপ্তানি—এ তিন ধরনের কার্যক্রম চালু থাকবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তিন দিন কলমবিরতি পালনের ঘোষণা দিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
ঢাকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনসহ সারা দেশে কাস্টমস, ভ্যাট ও শুল্ক কার্যালয়ে তিন দিন কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করবেন সব কর অঞ্চল, ভ্যাট ও শুল্ক কার্যালয়ের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। তাঁরা আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত কলমবিরতি পালন করবেন।
এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ এবং ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ নামে নতুন দুটি বিভাগ গঠনের পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআরের আওতাধীন কর অঞ্চল, ভ্যাট ও শুল্ক কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলমবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ে এনবিআর কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’–এর ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচিটি অনুষ্ঠিত হয়।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে জানানো হয়, সারা দেশের কাস্টমস, ভ্যাট ও শুল্ক কার্যালয়গুলোতে তিন দিন কলমবিরতির সময় আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা, বাজেট ও রপ্তানি এই তিনটি কার্যক্রম চালু থাকবে। তবে এই সময়ে বাকি সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানান কর্মকর্তারা।
এনবিআর কার্যালয়ের সামনে আজ মঙ্গলবার বিকেল সোয়া চারটায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান কার্যালয় ত্যাগ করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন এনবিআরের কর শাখার যুগ্ম কমিশনার মোনালিসা শারমিন ও উপকমিশনার শাহ মোহাম্মদ এলাহী এবং কাস্টমস শাখার অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু।
কর্মসূচিতে যুগ্ম কমিশনার মোনালিসা শারমিন বলেন, অধ্যাদেশ জারির প্রক্রিয়ায় কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মতামত প্রতিফলিত হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা আলোচনার সুযোগ চাইলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে একতরফাভাবে। দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর ভিত্তি মজবুত করতে হলে জনবান্ধব ও অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত জরুরি।
ঐক্য পরিষদের তরফ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেন এনবিআরের শুল্ক ও আবগারি শাখার অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার। তিনি বলেন, ‘আমরা এই অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এখানে একত্র হয়েছি। অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করে হঠাৎ জারি করা অধ্যাদেশ গ্রহণযোগ্য হবে না।’
অবিলম্বে অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবি জানিয়ে সাধন কুমার বলেন, ‘এনবিআর সংস্কার পরামর্শ কমিটি যে প্রতিবেদন দিয়েছে সেটি প্রকাশ্যে আনা হোক। সেই প্রতিবেদনের আলোকে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। তাতে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।’