‘গত শুক্রবার ঢাকার বড়বাগে আমার ভাতিজির গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে সাম্যর (শাহরিয়ার আলম) সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল। কে জানত, সেটাই হবে আমাদের শেষ কথা! এরপর গতকাল রাতে টেলিভিশনে তাকে হত্যার খবর দেখে আঁতকে উঠি।’

কথাগুলো বলছিলেন গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম ওরফে সাম্যর (২৫) চাচা কায়সার উল আলম।

কায়সার উল আলম প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এমন সম্ভাবনাময় এক তরুণকে এভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হবে, সেটা তাঁদের ভাবনার বাইরে। তিনি বিশ্বাসই করতে পারছেন না, শাহরিয়ারের সঙ্গে আর কোনো দিন কথা হবে না।

আজ বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সড়াতৈল গ্রামে শাহরিয়ারদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনেরা আহাজারি করছেন। পরিবারটিকে সান্ত্বনা জানাতে ভিড় করছেন গ্রামের নারী-পুরুষ।

শাহরিয়ারের প্রতিবেশী ও দূর সম্পর্কের চাচা কবির সরদার বলেন, ‘প্রতিবছর গ্রামে বেড়াতে আসত সাম্য। সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলত। নম্র–ভদ্র ছেলের এমন পরিণতি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।’

শাহরিয়ারের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর গ্রামের বাড়িতে আসেন স্বজন প্রতিবেশীরা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়া বেড়া ইউনিয়নের সড়াতৈল গ্রামে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আমার জীবনটা ট্র্যাজেডিতে ভরা

ছবি: দীপু মালাকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ