সাম্যর গ্রামে শোকের ছায়া, মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনেরা
Published: 14th, May 2025 GMT
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যের (২৫) মৃত্যুর ঘটনায় গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সড়াতৈল গ্রামে বেদনাবিধুর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকাবাসী। সাম্যের মরদেহের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
নিহত শাহরিয়ার আলম সাম্য সড়াতৈল গ্রামের ফরহাদ সরদারের ছেলে। ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।
বুধবার (১৪ মে) খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত শাহরিয়ার আলম সাম্য উল্লাপাড়ার মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন। তার মা কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট। পরিবারের সবাই ঢাকায় বসবাস করেন।
নিহত সাম্যের চাচা কাউসার আলম বলেন, ‘‘চার সন্তান নিয়ে তার ভাই ঢাকাতেই বাস করেন। সাম্যদের পরিবারের সবাই ঈদ ও বিশেষ কোনো আয়োজনে গ্রামে আসতো। গত মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ১টার দিকে জানতে পারি সাম্যকে খুন করা হয়েছে। জানি না কোন অপরাধে আমার ভাতিজাকে খুন করা হলো?’’
ভাতিজার মরদেহের অপেক্ষা করছেন জানিয়ে কাউসার আলম বলেন, ‘‘ঢাকায় জানাজা শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। আমরা সবাই শেষবারের মতো তাকে দেখার অপেক্ষায় আছি।’’
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘সাম্য অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। সড়াতৈল জান্নাতুল বাকী কবরস্থানে সাম্যর জন্য কবর খোড়া হচ্ছে।’’
এদিকে, শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
অদিত্য//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
রাজধানীর হোটেলে দম্পতি ও সন্তানের মৃত্যু: লক্ষ্মীপুরে দাফন
রাজধানীর মগবাজারের একটি আবাসিক হোটেলে এক দম্পতি ও তাদের সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যুর পর লাশের ময়নাতদন্ত শেষে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, রামগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মনির হোসেন, তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার ও তাদের শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ছেলে নাঈম হোসেন। মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত শনিবার (২৮ জুন) বিকালে মনির হোসেন তার প্রতিবন্ধী ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে ১০৩ নম্বর রুমে ওঠেন। মনির হোসেনের সঙ্গে এনআইডি কার্ড না থাকায় তার চাচা রফিকুল ইসলামের এনআইডি দিয়ে হোটেল বুকিং দেয়া হয়। পরে রফিকুল বাইরে থেকে খাবার নিয়ে এসে চলে যায়। রাতেই পরিবারটি অসুস্থ হয়ে পড়লেও হোটেল কর্তৃপক্ষকে কিছু জানানো হয়নি। রোববার (২৯ জুন) সকাল ১১টার দিকে রফিকুল তার মেয়েকে নিয়ে হোটেলে আসেন এবং প্রথমে স্বপ্না আক্তারকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর মনির হোসেনকে এবং পরে চিৎকার শুনে হোটেল কর্মীরা নাইমকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
বরগুনায় ডেঙ্গুতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৯৩
এক শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেল ২ জনই
পরে ময়নাতদন্ত শেষে তাদের লাশ রামগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। মঙ্গলবার (১ জুলাই) জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পুলিশ ধারণা করছে, বিষক্রিয়া অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে এই মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/বকুল