মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এমসিকিউ পরীক্ষা ২৩ মে
Published: 15th, May 2025 GMT
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তিনটি পদের এমসিকিউ পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষক, কম্পিউটার অপারেটর ও অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে কর্মচারী নিয়োগের জন্য নৈর্ব্যত্তিক (এমসিকিউ) পরীক্ষা ২৩ মে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
রাজধানী ঢাকার ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রের তালিকা দেখা যাবে এই লিংকে।
আরও পড়ুনবিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস প্রকাশ১৩ মে ২০২৫পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রিন্ট (রঙিন) করার জন্য প্রার্থীর মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠানো হয়েছে। প্রার্থী প্রবেশপত্রটি নৈর্ব্যত্তিক (এমসিকিউ) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সময়ে এবং উত্তীর্ণ হলে লিখিত, ব্যবহারিক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও মৌখিক পরীক্ষার সময় অবশ্যই প্রদর্শন করবেন।
নৈর্ব্যত্তিক (এমসিকিউ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা ৩১ মে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১:৩০ মিনিট পর্যন্ত সরকারি বাংলা কলেজ, মিরপুর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে আইটি প্রশিক্ষণে করুন আবেদন, ২ লাখ টাকার কোর্স শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ১৪ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।