হবিগঞ্জ পৌরসভার উমেদনগর বান্দেরবাড়ি এলাকায় সাপের কামড়ে তাসমিন আক্তার (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় এ মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
শিশু তাসমিন আক্তার ওই এলাকার ফজল শাহের মেয়ে। সে উমেদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় নিজবাড়িতে মোবাইল ফোনে খেলছিল তাসনিম। এ সময় একটি বিষাক্ত সাপ তার পায়ে কামড় দিলে পরিবারের লোকজন আক্রান্ত স্থান কাঁপড় দিয়ে বেঁধে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটি মারা যায়।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম সাহাবউদ্দিন শাহিন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা/মামুন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় বিষাক্ত মদ পানে দুজনের মৃত্যু
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায় বিষাক্ত মদ পানে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার বাখরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই দুজন হলেন বাখরাবাদ গ্রামের তপন চন্দ্র সরকার (৫০) ও পলাশ চক্রবর্তী (৩৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোরে তপন ও পলাশ স্পিরিট–জাতীয় বিষাক্ত মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পরিবারের লোকজন তাঁদের মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক পলাশকে মৃত ঘোষণা করেন। তপনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে বিকেলে বাঙ্গরা বাজার থানা-পুলিশ রামচন্দ্রপুর মহাশ্মশান থেকে পলাশের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই তপনের মরদেহ সৎকার করা হয়।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বুধবার রাতে বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা জেনেছেন মদজাতীয় কিছু পান করে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। পলাশের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তবে তপনের মরদেহ সৎকার হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার পলাশের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।