করোনাকালীন বাস্তবতা, নিঃসঙ্গতা এবং মানবিক সম্পর্কের সূক্ষ্ম রূপ নিয়ে নির্মিত হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘জয়া আর শারমিন’। পাঁচ বছর আগে লকডাউনের সময় ধারণ করা সিনেমাটি। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ১৬ মে মুক্তি পাচ্ছে এটি।

পরিচালক পিপলু আর খানের নির্দেশনায় নির্মিত এ চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান ও মঞ্চ অভিনেত্রী মহসিনা আক্তার। একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী, অন্যজন তার সহকারী। মহামারির সময় বাধ্য হয়ে একসঙ্গে থাকা, ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা সম্পর্ক এবং সেই সম্পর্কে শ্রেণিভেদজনিত জটিলতা— এই নিয়েই সিনেমার গল্প।

জয়া আহসান বলেন, “কিছু গল্পের মুহূর্ত খুঁজে পেতে সময় লাগে। এই সিনেমা তেমনই এক গল্প, যা চিত্রায়িত হয়েছে এমন এক সময়ে, যখন পৃথিবী স্থবির ছিল।”

আরো পড়ুন:

অসম প্রেমের গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢাললেন কঙ্কনা

মারধরের গুজবে তোলপাড়, হাঁটুর সফল অস্ত্রোপচারে সুস্থ মিশা

সিনেমাটির গল্প প্রসঙ্গে জয়া আহসান বলেন, “সিনেমাটি মানুষের না বলা অনুভূতির প্রতিফলন। একঘেয়েমি, ভয়, আবার একইসঙ্গে লুকিয়ে থাকা সান্ত্বনা— সবকিছুই এতে রয়েছে।”

প্রথমে স্বল্পদৈর্ঘ্য হিসেবে ভাবা হলেও, মাত্র ১৫ দিনের শুটিংয়ে সিনেমাটি পূর্ণদৈর্ঘ্যে রূপ নেয়। ঢাকার একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে, অল্প কজন মানুষের টিম নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং সম্পন্ন করেছিলেন নির্মাতারা।

নির্মাতা পিপলু আর খান বলেন, “এই সিনেমার মাধ্যমে আমরা দেখাতে চেয়েছি, সংকটে সম্পর্ক কীভাবে বদলায়, নির্ভরতা ও মানবিকতার নতুন সংজ্ঞা পায়।”

অভিনেত্রী মহসিনা আক্তার বলেন, “জয়া আপার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল দারুণ। আমরা সবাই এক ছাদের নিচে পরিবার হয়ে গিয়েছিলাম। সিনেমাটি সারাজীবন মনে রাখার মতো।”

‘জয়া আর শারমিন’ শুধু দুই নারীর গল্প নয়; এটি করোনাকালের নিঃসঙ্গতা, সামাজিক বিভাজন এবং সংযোগ খুঁজে পাওয়ার এক আবেগঘন অভিজ্ঞতা— যা আজকের দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে বলেই আশা নির্মাতাদের।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ