মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা: তিনজন খালাসের রায়ে সন্তুষ্ট নন মা
Published: 17th, May 2025 GMT
মাগুরায় আলোচিত আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে (বোনের শ্বশুর) মৃত্যুদণ্ড এবং তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
তিন আসামি খালাস পাওয়ায় রায়ে সন্তুষ্ট নন শিশুটির মা। আজ শনিবার সকালে রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরে এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
এর আগে মামলার রায় ঘোষণা করেন মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক এম জাহিদ হাসান। রায়ে বিচারক হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে (বোনের শ্বশুর) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। এছাড়াও বাকি তিন আসামিকে হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগম, সন্তান সজীব শেখ ও রাতুল শেখকে মামলা থেকে খালাস দেন।
মামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বলেন, ‘হিটু শেখের ফাঁসিতে আমি খুশি। তবে অন্য তিনজনের বেকসুর খালাসে আমি অসন্তুষ্ট।’ তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার তথ্য গোপন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অপরাধ করেছে তারা। এছাড়া আমার জামাই সজীব শেখ জড়িত ছিল।’ শিশুটির মা আরও বলেন, রায়ের কপি পেলে উচ্চ আদালতে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে আপিল করবো।
শ্রীপুর উপজেলার আট বছরের শিশুটি ১ মার্চ মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বড় বোনের বাড়ি বেড়াতে যায়। সেখানে সে ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয়। প্রথমে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতাল, পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়। সবশেষ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশুটি মারা যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখ, জামাই সজীব শেখ, তার ভাই রাতুল শেখ ও তাদের মা রোকেয়া বেগমের নামে মামলা করেন। পুলিশ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
১৩ এপ্রিল আলোচিত এই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা মো.
রায় ঘোষণা শেষে আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, দেশব্যাপী আলোচিত এ মামলার রায়ে আসামিদের ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। প্রধান আসামি হিটু শেখের ফাঁসির রায়ের মাধ্যমে প্রতিবাদকারীরা সান্ত্বনা খুঁজে পাবে।
তিনি আরও বলেন, হিটু শেখ ছাড়া তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ তিন আসামির শাস্তির জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। মাত্র ১৩ কার্যদিবসে মামলার রায় ঘোষণা একটি যুগান্তকারী ঘটনা। স্বল্প সময়ে মধ্যে এ বিচারকার্যে যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডিমে শিশুর অ্যালার্জি কেন হয়, কীভাবে বুঝবেন, সমাধান কী
কেন হয়
শিশুদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা পুরোপুরি গড়ে না ওঠায় অনেক সময় ডিমের প্রোটিনকে শরীর ‘অচেনা’ বা ক্ষতিকর হিসেবে ভুলভাবে শনাক্ত করে। ফলে ঠিক যেভাবে রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধব্যবস্থা কাজ করে, একই ধরনের প্রতিক্রিয়া এখানে সৃষ্টি হয়। এই প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবেও হতে পারে, আবার অনেক ক্ষেত্রে কয়েক ঘণ্টা পরেও দেখা দিতে পারে।
লক্ষণ● ত্বকে লাল লাল চাকা, একজিমা।
● পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব বা মুখের চারপাশে চুলকানো।
● সর্দি, শ্বাস নেওয়ার সময় শোঁ শোঁ শব্দ, শ্বাসকষ্ট হওয়া।
● দ্রুত হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ কমে যাওয়া।
● অ্যানাফাইলেকসিস শক।
আরও পড়ুনডিম দিনে কয়টি ও কীভাবে খাবেন০৫ জুলাই ২০২৫রোগনির্ণয়● শিশুকে প্রথম ডিম খাওয়ানোর সময় অ্যালার্জি উপসর্গ বোঝা যায়।
● চিকিৎসক যদি মনে করেন ডিম বা ডিমযুক্ত খাবার খেলে অ্যালার্জি হয়, তবে তা স্কিন টেস্ট করে নিশ্চিত হতে পারেন।
চিকিৎসা● ডিম ও ডিমযুক্ত খাবার না খাওয়া।
● অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া দমনে অ্যান্টি হিস্টামিন, মারাত্মক অ্যানাফাইলেকসিসে শক ইনজেকশন এপিনেফ্রিন ব্যবহার।
● ডিমে অ্যালার্জি থাকলে কিছু খাদ্য উপাদান পরিহার করা যেমন—এলবুমিন, গ্লোবুলিন ইত্যাদি।
অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
আরও পড়ুনডিমের কমলা, না হলুদ কুসুম—কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর৩১ অক্টোবর ২০২৫