বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় এমন  সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি। 

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নগর কমিটির আহ্বায়ক আরিফ মঈনুদ্দিন ও সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বহিষ্কারাদেশে এ তথ্য জানানো হয়। 

আদেশে বলা হয়, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজার মাদক সেবন এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ছবি-ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রায় ১৪০০ শহীদ ও অর্ধলক্ষ আহতদের ওপর দাঁড়ানো এই প্ল্যাটফর্মের কোনো সদস্যের এমন অনিয়ন্ত্রিত ও অসামাজিক কার্যকলাপ জনমনে প্রশ্ন তৈরি করেছে। তাই ফাতেমা খানম লিজাকে মহানগর কমিটির মুখপাত্র পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।

সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির মুখপাত্রের দায়িত্ব পালনকালীন ফাতেমা খানম লিজার কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয় বিভিন্ন মহলে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নগর কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

টানা বৃষ্টির কারণে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির নদ-নদী ও ছড়ার পানি দ্রুত বাড়ছে। চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কিছু নিচু এলাকায় প্রবেশ করেছে। বর্তমানে বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে চেঙ্গী নদীর পানি। 

এদিকে, দীঘিনালা উপজেলার মেরুং স্টিল ব্রিজ এলাকার দীঘিনালা-লংগদু সড়কে মাইনী নদীর পানি উঠেছে। তবে, এখনো এই সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

ভারী বর্ষণের কারণে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে জেলা সদরের শালবন, সবুজবাগ, কলাবাগান, কুমিল্লাটিলাসহ কয়েকটি চিহিৃত এলাকায় বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। 

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে বৃষ্টি অব্যাহত, দুর্ভোগ

সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা

বুধবার (৯ জুলাই) শালবন এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

পরিদর্শনকালে পাহাড় ও এর পদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ জানানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে উঠতে আহ্বান জানানো হয়।

জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাবেন তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।

ঢাকা/রূপায়ন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ