রাজশাহীতে ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা, দেড় মাস পর ঢাকায় চাচা গ্রেপ্তার
Published: 18th, May 2025 GMT
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে তরুণকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দেড় মাস পর তাঁর চাচা রবিউল ইসলাম ওরফে রুবেলকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৫-এর রাজশাহীর একটি দল।
গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম গোদাগাড়ী উপজেলার আচুয়াভাটা গ্রামের মৃত তাহসান মহুরীর ছেলে। নিহত কাউসার আহমেদ ওরফে রকি (২৫) তাঁর ভাতিজা। গত ১ এপ্রিল দুপুরে রবিউলের হাঁসুয়ার কোপে প্রাণ হারান তিনি।
রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি আজ রোববার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে র্যাব। এতে বলা হয়েছে, ১ এপ্রিল রবিউল গোদাগাড়ীর আচুয়াভাটা গ্রামে বাবার বাড়িতে অসুস্থ দাদিকে দেখতে যান। এ সময় পূর্বশত্রুতার জেরে ভাতিজা কাউসার আহমেদের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রবিউল ধারালো হাঁসুয়া এনে কাউসারকে কোপ দেন। এতে তিনি গুরুতর রক্তাক্ত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। র্যাব-৫ ঘটনাটির ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং আসামির অবস্থান শনাক্তে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। আসামি রবিউল দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করার কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ সকালে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, চাচাতো বোন পানি না দেওয়ায় চড় মেরেছিলেন কাউসার। এর জেরে চাচা রবিউলের হাঁসুয়ার কোপে মারা যান কাউসার। আসামিকে ঢাকা থেকে আনা হচ্ছে। তাঁকে আজ আদালতে সোপর্দ করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
শত কোটি টাকার নদী খনন কাজ বন্ধ
নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পর তা বন্ধ চলে যায় চুক্তি করা টিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দ্রুত পুনরায় খনন কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে সংরক্ষণ প্রকল্পের আওয়াতায় ২৫০ কোটি ব্যয়ে নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর ৫৮ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্প অনুযায়ি, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ এবং মাইনি নদীর ইয়ারাংছড়ি থেকে লংগদু মুখ পর্যন্ত খনন করার কথা।
আরো পড়ুন:
ঢাকার ৪৪ খাস পুকুর-জলাশয় সংস্কার শুরু
মাদারীপুরে নদীর মাটি চুরি, ভাঙন আতঙ্ক
কিন্ত মাইনি নদীর খনন কাজ চললেও চেঙ্গী নদীর কাজ কিছুদিন করার পর বন্ধ করে চলে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর অংশে কাজ নতুন করে শুরু হলেও রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থেকে বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ পর্যন্ত অংশের খনন কাজ ৩-৪ মাস ধরে একেবারে বন্ধ।
এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
নানিয়ারচর পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. খোরশেদ আলম, মো. আনসার আলী ও হাসাপতাল এলাকা বাসিন্দা মো. নুরুল হক জানান, নদীর খনন কাজ শেষ হলে তারা উপকৃত হতেন। বিশেষ করে কাপ্তাই হ্রদের পানি যখন কমে যায়, শুকনা মৌসুমে নদী পথে তাদের মালামাল আনা-নেওয়া করতে সুবিধা হত। আর সেই মাটিগুলো দিয়ে যদি নিচু রাস্তাগুলো উচু করা যেত তাহলে তারা উপকৃত হতেন। তাদের দাবি আবার যেন দ্রুত খনন কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এনিয়ে কথা বলতে নানিয়ারচর অংশের টিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েল এডব্লিউআর (জেভি) এর ম্যানেজার মো. মাহবুবের ও মহালছড়ি অংশের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এআরকেএল-এসএমআইএল (জেবি) এর ম্যানেজার মো. সোয়েবের মোবাইল নাম্বারে কল দেওয়া হলে তারা রিসিভ করেননি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ার এর কাজ মাঝখানে বন্ধ হয়েছিল, ড্রেজার নিয়ে গিয়েছিল কন্ট্রাকটর। তখন কাজ বাতিলের নোটিশ করেছিলেন। তবে মহালছড়ি অংশের ঠিকাদার আবার নতুন করে ড্রেজার নিয়ে এসেছে। এখন থেকে নিয়মিত কাজ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, নানিয়াচরে ঠিকাদার নিজস্ব ব্যবস্থাপনার কারণে কাজ করতে পারেনি। ফলে উপরের নির্দেশে কাজ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। আর মাইনী নদীর খনন কাজ চলমান আছে, আগামী জুন মাসে শেষ হবে।