Risingbd:
2025-11-03@14:42:12 GMT

ফের মঞ্চে ‘উনপুরুষ’

Published: 18th, May 2025 GMT

ফের মঞ্চে ‘উনপুরুষ’

আধুনিক সমাজ ও আত্মপরিচয়ের টানাপড়েন নিয়ে নির্মিত ‘উনপুরুষ’ নাটকটি আবারো মঞ্চে আসছে। নাটকটি মঞ্চস্থ করবে নবরস নৃত্য ও নাট্যদল। আগামী ২৪ মে সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর বেইলী রোডের বাংলাদেশ মহিলা সমিতি মিলনায়তনে নাটকটির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।

নবরস ২০১৮ সালে গঠিত হলেও বহু প্রস্তুতি ও সাধনার পর ২০২৩ সালে তাদের প্রথম প্রযোজনা হিসেবে ‘উনপুরুষ’ নাটকটি মঞ্চে আনে। নাটকটি এমন এক মানুষের গল্প, যিনি সমাজের প্রচলিত কাঠামোর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন তার নিজস্ব আত্মপরিচয়ের খোঁজে। পরিচয়ের স্বীকৃতি না পাওয়ায় তার জীবন হয়ে ওঠে দোটানা ও দ্বন্দ্বে ভরা।

নাট্যকার অপু মেহেদী বলেন, “জন্মসূত্রে প্রাপ্ত পরিচয়ই মানুষের চূড়ান্ত পরিচয় নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অভিজ্ঞতা, অনুভূতি আর আত্মোপলব্ধির মধ্য দিয়েই গড়ে ওঠে প্রকৃত আত্মপরিচয়। কিন্তু এই পথ সমাজ সহজে গ্রহণ করে না বলেই অনেকেই হয়ে ওঠেন বিপন্ন।”

আরো পড়ুন:

শিল্পকলায় ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’

রুনা খানের বাবা মারা গেছেন

নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা। তিনি বলেন, “সমাজের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরার প্রয়াস থেকেই ‘উনপুরুষ’-এর মঞ্চায়ন। এই ধরনের বিষয়ভিত্তিক নাটক আমাদের মঞ্চে খুব কমই দেখা যায়। দর্শকদের জন্য এটি একটি ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা হবে বলেই বিশ্বাস করি।”

নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মডেল ও মঞ্চনাটকের পরিচিত মুখ সালমান শুভ চৌধুরী। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করছেন ওয়াজিদ, কাশিফ আলফি আহমেদ, সালমা শুভ চৌধুরী, সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা, জয় খান, নুসরাত জাহান বন্যা, সবুজ খান, সুকন্যা সাকিরা, গোলাম মোর্শেদ, সানি ও বাঁধন।

‘উনপুরুষ’ নাটকের বিষয়বস্তু ও উপস্থাপনাভঙ্গি নতুন প্রজন্মের দর্শকদের মাঝে গভীর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে নাট্যদলটি। যারা ভিন্নধর্মী নাট্য অভিজ্ঞতা পেতে চান, তাদের জন্য এটি হতে পারে একটি অনন্য সন্ধ্যা।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন টকট

এছাড়াও পড়ুন:

সাদপন্থীদের ইজতেমা আয়োজন করতে না দেওয়ার দাবি

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের (সাদপন্থী) ইজতেমা আয়োজন করতে না দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাবলিগ জামাতের শুরায়ে নেজাম (জুবায়েরপন্থী) অনুসারীরা। পাশাপাশি তাঁরা সরকারের প্রস্তাবে রাজি হয়ে আগামী বছরের মার্চ মাসে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা করার কথাও বলেছেন। গত আয়োজনে ইজতেমা মাঠে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও সাজা নিশ্চিতের দাবিও জানান তাঁরা।

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। ‘হযরত ওলামায়ে কেরাম ও দাওয়াত ও তাবলিগের সাথীবৃন্দের’ উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

এর আগে গত রোববার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তাবলিগের শুরায়ে নেজামের সাথী মুফতি আমানুল হক বলেন, ‘কোরআন ও হাদিসের কথা যারা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে, তাদের ইসলামি দাওয়াতের এই ময়দানে জায়গা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রাসুল (সা.)-এর তরিকা, সুন্নাহ ও হাদিসের অনুসরণে যারা তাবলিগি কার্যক্রম পরিচালনা করে, কেবল তারাই ইজতেমা করার অধিকার রাখে।’

মুফতি আমানুল হক আরও বলেন, ‘সরকারের ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে জারি করা প্রজ্ঞাপনে সাদপন্থীরা শেষবারের মতো টঙ্গী ময়দানে ইজতেমা করার অনুমতি পেয়েছিল। সেই প্রজ্ঞাপনে তাদের স্বাক্ষরও রয়েছে। সরকার তখনই বুঝেছিল—একই মাঠে দুই পক্ষের ইজতেমা আয়োজন দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’

২০২৪ সালের ডিসেম্বরের ইজতেমা মাঠে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে মুফতি আমানুল হক বলেন, ‘গত বছরের ১৮ ডিসেম্বরের রাতে সাদপন্থীদের অনুসারীরা অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের বাংলাদেশি নেতা ওয়াসিফ সাহেবের চিঠিতে উল্লেখ ছিল, “যুগটা ব্যতিক্রমী, সবাই প্রস্তুতি নিয়ে আসবে”—এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই তারা হামলার পরিকল্পনা করেছিল। ঘুমন্ত মুসল্লিদের ওপর টর্চলাইট নিয়ে হামলা চালানো হয়, যা একতরফা সন্ত্রাসী কার্যক্রম ছিল।’ তিনি দাবি করেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকেও প্রমাণিত হয়েছে, ‘এ হামলা একতরফাভাবে সাদপন্থীদের পক্ষ থেকেই হয়েছিল।’

মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আজহারী তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, কিছু স্বার্থান্বেষী ও ইসলামবিরোধী মহলের প্ররোচনায় তাবলিগ জামাতে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের মাওলানা সাদ সাহেবের অনুসারীরা বেআইনি পথে টঙ্গী ইজতেমা মাঠ ও কাকরাইল মসজিদে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এমনকি তাঁরা সরকারকে বিব্রত করতে ‘যমুনা ভবন ঘেরাও’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর বিশৃঙ্খলাকারীদের কাকরাইল মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় এবং শুরায়ে নেজামপন্থীদের কাকরাইলে দাওয়াত কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেয় বলে জানান মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আজহারী। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারির ৬৩ নম্বর স্মারকে বলা হয়, সাদপন্থীরা শেষবারের মতো ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে টঙ্গীতে ইজতেমা করতে পারবে, এরপর আর নয়। তারা স্বাক্ষর দিয়ে সেই শর্ত মেনে নিয়েছিল।

শুরায়ে নেজামপন্থীরা বলেন, ‘আমরা সরকারের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করছি। আগামী বছরের মার্চে ইজতেমা আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করা হবে।’

সংবাদ সম্মেলন থেকে সরকারের কাছে ৪ দফা দাবি পেশ করেন তাবলিগ জামাতের শুরায়ে নেজাম (জুবায়েরপন্থী) অনুসারীরা। তাঁদের দাবিগুলো হলো ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ইজতেমার তারিখ ঘোষণা, টঙ্গী ইজতেমা মাঠকে অস্থায়ীভাবে ‘কেপিআই’ হিসেবে ঘোষণা, বিদেশি মেহমানদের ভিসা সহজীকরণের পরিপত্র নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রকাশ ও গত বছরের ইজতেমা মাঠে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ, মতিন উদ্দিন আনোয়ার, রুহুল আমিন এবং তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ে নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ