আইপিএলের জমজমাট লড়াইয়ে এক অনবদ্য জয়ে প্লে-অফে পা দিয়ে রাখল পাঞ্জাব কিংস। আজ রোববার (১৮ মে) জয়পুরে স্বাগতিক রাজস্থান রয়্যালসকে ১০ রানে হারিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দলটি। সমান ১৭ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে শীর্ষে থাকা বেঙ্গালুরুর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে।

পাঞ্জাবের ইনিংসে প্রথমদিকে ধাক্কা খেলেও শেষভাগে শশাঙ্ক সিং ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের দুর্দান্ত জুটিতে দুইশ ছাড়িয়ে যায় স্কোর। টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও মিডল ও লোয়ার অর্ডারের দৃঢ়তায় তারা দাঁড় করায় ৫ উইকেটে ২১৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর।

নেহাল ওয়াধেরা খেলেন ম্যাচের সেরা ইনিংস—৩৭ বলে ৭০ রান। যাতে ছিল পাঁচটি চার ও ছয়টি ছয়। তাকে সঙ্গ দিয়ে শশাঙ্ক ৩০ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ওমরজাই মাত্র ৯ বলে ২১ রান করে ঝড় তোলেন ইনিংসের শেষভাগে। তাদের ৬০ রানের জুটিই গড়ে দেয় ম্যাচের ভিত্তি।

আরো পড়ুন:

মোস্তাফিজকে একাদশে রেখে ব্যাটিংয়ে দিল্লি

ম্যাচ কমানোর শর্তে পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি লিটনরা

লক্ষ্য তাড়ায় রাজস্থান রয়্যালস শুরুটা করে ধুন্ধুমার গতিতে। যশস্বী জয়সওয়াল ও বৈভব সূর্যবংশীর ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে তারা তোলে ৮৯ রান। কিন্তু এরপরেই ঘটে ছন্দপতন। জয়সওয়ালের হাফসেঞ্চুরি (২৫ বলে ৫০) ও বৈভবের ঝড়ো ৪০ রানের ইনিংস যেন হয়ে দাঁড়ায় ‘ভেস্তে যাওয়া সম্ভাবনা’র প্রতীক।

মিডল অর্ডারে একে একে স্যামসন (২০), পরাগ (১৩) ও হেটমায়ার (১১) ব্যর্থ হওয়ায় চাপ গিয়ে পড়ে ধ্রুব যুরেলের ওপর। যুরেল একপ্রান্ত ধরে রেখে ৩১ বলে ৫৩ রানের ঝলমলে ইনিংস খেললেও শেষ পর্যন্ত জয় এনে দিতে পারেননি।

শেষ ওভারে দরকার ছিল ২২ রান। মার্কো ইয়ানসেন প্রথম দুটি বলেই চাপ বাড়ান, আর তৃতীয় বলেই যুরেল ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিলে কার্যত নিভে যায় রাজস্থানের আশার আলো। যদিও শেষে মাফাকার দুইটি বাউন্ডারি হার মানিয়ে দেয়নি লড়াকু চেষ্টাকে।

শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ২০৯ রানেই থেমে যায় রাজস্থানের ইনিংস। আর পাঞ্জাব হাত তুলে নেয় গুরুত্বপূর্ণ এক জয়।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ