প্লে-অফের দোরগোড়ায় পাঞ্জাব, রাজস্থানের বিদায়
Published: 18th, May 2025 GMT
আইপিএলের জমজমাট লড়াইয়ে এক অনবদ্য জয়ে প্লে-অফে পা দিয়ে রাখল পাঞ্জাব কিংস। আজ রোববার (১৮ মে) জয়পুরে স্বাগতিক রাজস্থান রয়্যালসকে ১০ রানে হারিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দলটি। সমান ১৭ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে শীর্ষে থাকা বেঙ্গালুরুর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে।
পাঞ্জাবের ইনিংসে প্রথমদিকে ধাক্কা খেলেও শেষভাগে শশাঙ্ক সিং ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের দুর্দান্ত জুটিতে দুইশ ছাড়িয়ে যায় স্কোর। টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও মিডল ও লোয়ার অর্ডারের দৃঢ়তায় তারা দাঁড় করায় ৫ উইকেটে ২১৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর।
নেহাল ওয়াধেরা খেলেন ম্যাচের সেরা ইনিংস—৩৭ বলে ৭০ রান। যাতে ছিল পাঁচটি চার ও ছয়টি ছয়। তাকে সঙ্গ দিয়ে শশাঙ্ক ৩০ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ওমরজাই মাত্র ৯ বলে ২১ রান করে ঝড় তোলেন ইনিংসের শেষভাগে। তাদের ৬০ রানের জুটিই গড়ে দেয় ম্যাচের ভিত্তি।
আরো পড়ুন:
মোস্তাফিজকে একাদশে রেখে ব্যাটিংয়ে দিল্লি
ম্যাচ কমানোর শর্তে পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি লিটনরা
লক্ষ্য তাড়ায় রাজস্থান রয়্যালস শুরুটা করে ধুন্ধুমার গতিতে। যশস্বী জয়সওয়াল ও বৈভব সূর্যবংশীর ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে তারা তোলে ৮৯ রান। কিন্তু এরপরেই ঘটে ছন্দপতন। জয়সওয়ালের হাফসেঞ্চুরি (২৫ বলে ৫০) ও বৈভবের ঝড়ো ৪০ রানের ইনিংস যেন হয়ে দাঁড়ায় ‘ভেস্তে যাওয়া সম্ভাবনা’র প্রতীক।
মিডল অর্ডারে একে একে স্যামসন (২০), পরাগ (১৩) ও হেটমায়ার (১১) ব্যর্থ হওয়ায় চাপ গিয়ে পড়ে ধ্রুব যুরেলের ওপর। যুরেল একপ্রান্ত ধরে রেখে ৩১ বলে ৫৩ রানের ঝলমলে ইনিংস খেললেও শেষ পর্যন্ত জয় এনে দিতে পারেননি।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ২২ রান। মার্কো ইয়ানসেন প্রথম দুটি বলেই চাপ বাড়ান, আর তৃতীয় বলেই যুরেল ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিলে কার্যত নিভে যায় রাজস্থানের আশার আলো। যদিও শেষে মাফাকার দুইটি বাউন্ডারি হার মানিয়ে দেয়নি লড়াকু চেষ্টাকে।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ২০৯ রানেই থেমে যায় রাজস্থানের ইনিংস। আর পাঞ্জাব হাত তুলে নেয় গুরুত্বপূর্ণ এক জয়।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গিলের সেঞ্চুরি, জয়সওয়ালের আক্ষেপ
এজবাস্টন টেস্টের প্রথম দিন নিজেদের করে নিয়েছে ভারত। ইংল্যান্ডের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ৩১০ রান তুলেছে ভারত। সেঞ্চুরি পেয়েছেন অধিনায়ক শুভমান গিল। সেই পথেই ছিলেন ইয়াসভি জয়সওয়াল। কিন্তু ১৩ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে।
অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর গিলের এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। জয়সওয়ালও প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। টানা দুই সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল তারও। কিন্তু দারুণ ইনিংস খেলার পর একরাশ হতাশা নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে। ১০৭ বলে ১৩ চারে ৮৭ রানের ইনিংসটি খেলেন বাঁহাতি ওপেনার।
গিল ১১৪ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। ২১৬ বলে ১২ চারে সাজিয়েছেন এই ইনিংস। তার সঙ্গে ৪১ রানে অপরাজিত আছেন রবীন্দ্রর জাদেজা। ৬৭ বলে ৫ চার হাঁকিয়েছেন তিনি। দুজনের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে এসেছে ৯৯ রান।
আরো পড়ুন:
টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত, একাদশে তিন পরিবর্তন
চার বছর পর ইংল্যান্ড টেস্ট দলে আর্চার
প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি পাওয়া লোকেশ রাহুল এদিন জ্বলে উঠতে পারেননি। ২৬ বলে ২ রান করে ওকসের বলে বোল্ড হন। তিনে নামা করুণ নায়ার ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৫০ বলে ৩১ রান করে আটকে যান কার্সের বলে স্লিপে ব্রুকের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
এরপর জয়সওয়াল ও গিলের লড়াই শুরু হয়। অনায়েস ব্যাটিংয়ে দুজন এগিয়ে যান। ৬৬ রান যোগ করেন। কিন্তু মধ্যাহ্ন বিরতির পর জয়সওয়াল পথ ভোলেন। স্টোকসের বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। নীতিশ কুমার রেড্ডি ফেরেন দ্রুত। ৬ বলে ১ রান করে ওকসের বলে বোল্ড হন।
পরের গল্পটা শুধুই ভারতের। জাদেজা ও গিল ইংল্যান্ডের বোলারদের হতাশ করে পুরো বিকেল নিজেদের করে নেন।
ঢাকা/ইয়াসিন