নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় রেললাইনের পাশ থেকে এক তরুণের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার সারুলিয়া এলাকায় ঢাকা-বেনাপোল রেললাইনের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তির নাম–পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে লোহাগড়া উপজেলার উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের সারুলিয়া এলাকায় ঢাকা-বেনাপোল রেললাইনের পাশে একটি রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পরে তাঁরা লোহাগড়া থানার পুলিশে খবর দেন।

তবে পুলিশ ও স্থানীয় কেউ ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর পকেট থেকে একটি ছবি পাওয়া গেছে। ছবির সঙ্গে ওই মরদেহের চেহারার মিল রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর পকেট থেকে কয়েকটি সিম কার্ড পাওয়া গেছে। ওই তরুণের বয়স ১৯ থেকে ২০ বছর। তাঁর গায়ে সাদা রঙের একটি শার্ট, নীল রঙের জুতা ও কালো প্যান্ট পরা ছিল। এ ছাড়া তাঁর হাতে সাদা রঙের একটি ব্রেসলেট রয়েছে।

আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এখনো তাঁর পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে পড়ে তাঁর মৃত্যু হতে পারে। তবে তদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত ও মৃত্যুর কারণ উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা করছে পুলিশ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: রক ত ক ল হ গড় উপজ ল মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

অসুস্থ ছেলেকে দেখতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন বাবা, দুই বাসের প্রতিযোগিতায় গেল প্রাণ

রাজধানীর বকশীবাজারে দুটি বাসের পাল্লাপাল্লির সময় মাঝে চাপা পড়ে জহুরুল হক সেলিম (৫২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। 

সেলিম তার ক্যানসারে আক্রান্ত ছেলেকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে নিহত হন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, নিহত সেলিম পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বাসিন্দা। তার দুই ছেলের মধ্যে জুবায়ের ব্ল্যাড ক্যানসারে আক্রান্ত।

জানা গেছে, আট থেকে নয় মাস আগে জুবায়েরের ক্যানসার ধরা পড়ে। সে এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। ছেলের চিকিৎসার জন্য সেলিম ঢাকা মেডিকেলের পাশে বকশীবাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন।

এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেলিমের স্ত্রীর বোন সিনথিয়া বেগম। তিনি বলেন, সেলিম মঙ্গলবার রাতে ছেলেকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। রাত ১০টার দিকে তিনি বকশীবাজার মোড় ও বুয়েটের মাঝামাঝি সড়ক পার হচ্ছিলেন। সে সময় দুটি বাসের পাল্লাপাল্লির মাঝে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। তাঁর ডান হাত ভেঙে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁর ডান হাতে প্লাস্টার করে দেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

চকবাজার থানার ওসি সৈয়দ আখতারুজ্জামান সমকালকে বলেন, মৌমিতা পরিবহনের দুই বাসের পাল্লাপাল্লির সময় মাঝে চাপা পড়ে এক পথচারী মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় দুই বাসের চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের আদালতে তোলা হয়েছে।

তিনি আর বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ