কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কাজে লাগিয়ে নিজ থেকে সফটওয়্যারের কোড লিখতে সক্ষম এআই এজেন্ট উন্মুক্ত করেছে চ্যাটজিপিটির নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। ‘কোডেক্স’ নামের এআই এজেন্টটি মানুষের সহায়তা ছাড়াই কোড লিখে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে। শুধু তা–ই নয়, নিজ থেকে সফটওয়্যারে থাকা ত্রুটি শনাক্ত করে সমাধানও করতে পারে।

ওপেনএআই জানিয়েছে, সফটওয়্যার নির্মাতাদের কাজ সহজ করতে কোডেক্স উন্মুক্ত করা হয়েছে। এআই এজেন্টটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন প্রোগ্রামের কোড লিখতে বা সংশোধন করতে পারে। এর ফলে দ্রুত সফটওয়্যার তৈরির পাশাপাশি সময় ও শ্রম বাঁচবে। কোডেক্স তৈরির উদ্দেশ্য কাউকে প্রতিস্থাপন করা নয়, বরং সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের সক্ষমতা বাড়ানো।

আরও পড়ুনএআই কি সত্যিই সফটওয়্যারের শতভাগ কোড লিখে দেবে১৮ মার্চ ২০২৫

কোডেক্স-১ নামের নতুন এআই মডেলের ওপর ভিত্তি করে কোডেক্স এআই এজেন্ট তৈরি করা হয়েছে। ‘ওথ্রি’ মডেলের উন্নত সংস্করণ হওয়ায় কোডেক্স-১ মডেলের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে সফটওয়্যারের কোড লেখা যায়। শুধু তা–ই নয়, কোড বিশ্লেষণের পাশাপাশি আগের কোড লেখার ধরন অনুযায়ী নতুন কোড লিখতে সহায়তা করে মডেলটি।

ওপেনএআইয়ের তথ্যমতে, কাজের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম লিখতে কোডেক্সের সময় লাগে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট। এ সময় ব্যবহারকারীরা কোডেক্সের কাজের অগ্রগতি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। কাজ শেষে কোডেক্স সংশ্লিষ্ট কোড স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষণ করবে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা কোড সম্পাদনের পুরো প্রক্রিয়া যেকোনো সময় যাচাই করতে পারবেন।
সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সফটওয় য র

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফটসহ বহু প্রতিষ্ঠান

অধিকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রানচেসকা আলবানিজ এক নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। এতে এমন অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যারা ফিলিস্তিনি জনগণকে বাস্তুচ্যুত করা ও গাজায় চলমান গণহত্যায় ইসরায়েলকে সহায়তা করছে। তাদের এই কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল।

প্রতিবেদনটি আগামী বৃহস্পতিবার জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করার কথা রয়েছে। এতে ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট, অ্যালফাবেট ইনকরপোরেটেড (গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান) ও অ্যামাজন। এই তদন্তের অংশ হিসেবে এক হাজারের বেশি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের একটি ডেটাবেজ তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলের এই চিরস্থায়ী দখলদারত্ব অস্ত্র প্রস্তুতকারক ও বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য পরীক্ষা–নিরীক্ষার আদর্শ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। সেখানে চাহিদা ও জোগানের সুযোগ রয়েছে। রয়েছে নজরদারির ঘাটতি। নেই কোনো জবাবদিহি। বিনিয়োগকারী ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বিঘ্নে মুনাফা করার সুযোগ পাচ্ছে।

ইসরায়েল বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র ক্রয় কর্মসূচির অংশ হয়ে উঠেছে। যেমন ইসরায়েলের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সংগ্রহ। এই যুদ্ধবিমানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৮টি দেশের ১ হাজার ৬০০-এরও বেশি প্রতিষ্ঠান।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এসব বড় প্রতিষ্ঠান এখন আর শুধু ইসরায়েলের দখলদারত্বে যুক্ত নয়, বরং গণহত্যার অর্থনৈতিক কাঠামোর অংশ হয়ে গেছে।

২০২৪ সালে আলবানিজ এক বিশেষ মতামতে বলেছিলেন, গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যার পর্যায়ে পড়ার যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে।

এই প্রতিবেদনের বক্তব্য অনুযায়ী, গাজায় কেন ইসরায়েলের গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে, অনুসন্ধানে সেটা উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, এই গণহত্যা অনেকের জন্য লাভজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিবেদনে কোন অস্ত্র ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর নাম এসেছে

ইসরায়েল বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র ক্রয় কর্মসূচির অংশ হয়ে উঠেছে। যেমন ইসরায়েলের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সংগ্রহ। এই যুদ্ধবিমানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৮টি দেশের ১ হাজার ৬০০-এরও বেশি প্রতিষ্ঠান। এই প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লকহিড মার্টিন। তবে এই যুদ্ধবিমানের বিভিন্ন সরঞ্জাম বিভিন্ন দেশে তৈরি হয়।

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ সামরিক খাতে অন্যতম যোগানদাতা হিসেবে তালিকাভুক্ত এবং জাপানের এফএএনইউসি করপোরেশন অস্ত্র তৈরির রোবোটিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে।

প্রযুক্তি খাতও ইসরায়েলের পক্ষে ভূমিকা রাখছে। ফিলিস্তিনিদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং সরকারি ব্যবহারে সহায়তা করে ইসরায়েলের বৈষম্যমূলক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছে। মাইক্রোসফট, অ্যালফাবেট ও অ্যামাজন ইসরায়েলকে তাদের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তিগুলোর ‘প্রায় পূর্ণাঙ্গ সরকারি ব্যবহারের সুযোগ’ দিয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সরকারি ব্যবহারে সহায়তা করে ইসরায়েলের বৈষম্যমূলক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছে। মাইক্রোসফট, অ্যালফাবেট ও অ্যামাজন ইসরায়েলকে তাদের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তিগুলোর ‘প্রায় পূর্ণাঙ্গ সরকারি ব্যবহারের সুযোগ’ দিয়েছে।

প্রতিবেদনটি আরও বলছে, মার্কিন সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান আইবিএম ইসরায়েলি সামরিক ও গোয়েন্দা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং ইসরায়েলের জনসংখ্যা, অভিবাসন ও সীমান্ত কর্তৃপক্ষের (পিআইবিএ) কেন্দ্রীয় ডেটাবেজ পরিচালনা করছে। এই ডেটাবেজে ফিলিস্তিনিদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষিত।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান পালানটির টেকনোলজিস ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে প্রযুক্তিগত সহায়তা বৃদ্ধি করেছে। এটা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে এই প্রতিষ্ঠান ‘স্বয়ংক্রিয় পূর্বাভাসমূলক পুলিশি প্রযুক্তি’ সরবরাহ করেছে, যা যুদ্ধক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে টার্গেট তালিকা তৈরি করে। যেমন ‘লেভেন্ডার’, ‘গোসপেল’ ও ‘হোয়ার ইজ ড্যাডি’ নামের এআই সিস্টেম।

ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের জানাজায় অংশ নিতে মানুষের ভিড়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে হামলায় তাঁরা নিহত হন। ২ জুলঅই, খান ইউনিস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বেশির ভাগ শেয়ারের দর কমলেও ঊর্ধ্বমুখী সূচক
  • ৮৫ ব্রোকারেজ হা্‌উসকে আগস্টের মধ্যে চালু করতে হবে ব্যাক অফিস সফটওয়্যার
  • ৪৭ ব্রোকারেজ হাউজকে ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নে সময় দিল বিএস
  • গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফটসহ বহু প্রতিষ্ঠান
  • শেফালির ‘হার্ডওয়্যার’ ভালো থাকলেও ‘সফটওয়্যার’ ভালো ছিল না: বাবা রামদেব
  • শেফালির হার্ডওয়্যার ভালো থাকলেও সফটওয়্যার ভালো ছিল না