করলা ভাজি মুচমুচে করবেন যেভাবে, দেখুন রেসিপি
Published: 19th, May 2025 GMT
উপকরণ
পাতলা গোল করে কাটা করলা ২ কাপ, আলু (পাতলা গোল করে কাটা) ২ কাপ, বেরেস্তা আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৪টি, লবণ দেড় চা-চামচ ও গোলমরিচ গুড়া সিঁকি চা-চামচ।
আরও পড়ুনটক দইয়ের অম্বলের রেসিপি১৪ মে ২০২৫প্রণালিকরলায় লবণ মেখে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন। করলা ধুয়ে পানি নিংড়ে আলাদা পাত্রে রাখুন। আলু কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ভাজার আগে পানি ঝরিয়ে নিন। আলাদা পাত্রে করলা ও আলুতে লবণ মাখিয়ে রাখুন। ডুবোতেলে ভাজার জন্য কড়াইতে তেল গরম করুন। প্রথমে আলু তারপর করলা ভেজে মুচমুচে করে নিন। এবার তেল ছেঁকে উঠিয়ে আলাদা আলাদা পাত্রে কিচেন টাওয়েলে রাখুন, এতে বাড়তি তেল কিচেন টাওয়েল শুঁষে নেবে।
প্রথমে মাঝারি আঁচে তারপর আঁচ কমিয়ে ভাজতে হবে। চুলা বন্ধ করে তারপর এই তেলে চুলা বন্ধ অবস্থাতেই কাঁচা মরিচগুলো ছেড়ে দিতে হবে। ৫ মিনিট পর তেল ছেঁকে উঠিয়ে ফেলুন।
এবার একটি বড় বোলে মুচমুচে করলা, আলু, ভাজা কাঁচা মরিচ ও গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে মিশিয়ে পরিবেশন পাত্রে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুনবড়ি-করলার ভর্তার রেসিপি১৫ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইঞ্জিনসংকটে ময়মনসিংহ-জারিয়া রেলপথে ট্রেন বন্ধ, চালুর দাবিতে আলটিমেটাম
ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন থেকে জারিয়া রেলপথে চলাচল করা লোকাল ট্রেনটি ইঞ্জিনসংকটে ২১ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণির যাত্রীরা। বন্ধ ট্রেনটি চালুর দাবিতে ময়মনসিংহ জংশন স্টেশনে আজ সোমবার বেলা পৌনে দুইটায় মানববন্ধনের আয়োজন করেন যাত্রীরা। আগামীকালকের মধ্যে বন্ধ ট্রেন চালু না করলে কঠোর কর্মসূচির আলটিমেটামও দেওয়া হয়।
আজ বেলা পৌনে দুইটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত চলা মানববন্ধনে দাঁড়ানো যাত্রীদের হাতে ‘ব্রিটিশ গেল, পাকিস্তান গেল, বাংলা এল এখন কেন বন্ধ হলো?’, ‘জারিয়া লোকাল ট্রেন চলতে হবে’, ‘জারিয়া লোকাল ট্রেন পুনরায় চালু করতে হবে’, ‘ট্রেন নিয়ে তালবাহানা চলবে না’, ‘ইঞ্জিন নিয়ে প্রতারণা মানি না মানব না’, ‘জাগো জাগো জারিয়া লোকাল ট্রেনযাত্রী, ট্রেনটি চালু করুন, করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান–সংবলিত ফেস্টুন ছিল।
রেলওয়ে ও যাত্রী সূত্রে জানা যায়, জারিয়া লোকাল ট্রেনটি প্রতিদিন কোনো প্রকার সাপ্তাহিক বন্ধ ছাড়া ময়মনসিংহ-জারিয়া রুটে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পথে চারবার করে আপডাউন হিসেবে মোট আটটি ট্রিপে চলে। এই রুটে অন্য কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল না করায় শম্ভুগঞ্জ, গৌরীপুর, শ্যামগঞ্জ, পূর্বধলাসহ আটটি স্টেশনে চলাচলকারী যাত্রীদের লোকাল ট্রেনটিই অন্যতম ভরসা। প্রতিদিনই ট্রেনটিতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। এ ট্রেনে করে ময়মনসিংহ মহানগরীসহ গৌরীপুর, ধোবাউড়া এবং নেত্রকোনার পূর্বধলা, দূর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে। ট্রেন বন্ধ থাকায় অফিসগামী যাত্রী এবং শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে বিকল্প পথে চার-পাঁচ গুণ বেশি অর্থ ব্যয় করে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে যেতে হচ্ছে তাঁদের। এ ছাড়া ট্রেনটি বন্ধ থাকায় চিকিৎসার জন্য আসা রোগীদের ভোগান্তি ও ব্যবসায়ীদের ময়মনসিংহ শহরে আসা–যাওয়াতে সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া গৌরীপুরের ব্যবসায়ী মনোয়ার হাসিব বলেন, ‘ট্রেনটিতে জারিয়া থেকে অনেক শিক্ষার্থী আনন্দের সঙ্গে ময়মনসিংহ ও গৌরীপুর এসে ক্লাস করে আবার চলে যেত। ট্রেন বন্ধ থাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া বেড়েছে। কাদের মদদে ট্রেনটি বন্ধ করে দেওয়া হলো। ট্রেনটি বন্ধ থাকায় মানুষ চরম দুর্ভোগে আছে। আমরা দ্রুত ট্রেনটি নিয়িমত চালুর দাবি জানাই।’
স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. লিমন জারিয়া থেকে গৌরীপুর এসে প্রতিদিন ক্লাস করে বাড়ি যেতেন। প্রতিদিন সকাল আটটায় জারিয়া থেকে ছেড়ে আসত এবং বিকেল পাঁচটায় গৌরীপুর থেকে ট্রেনে বাড়ি ফিরতেন। কিন্তু ট্রেনটি বন্ধ থাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ২৪০ টাকা ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অথচ ট্রেন চলাচল করলে মাত্র ৪০ টাকা খরচ হতো। লিমন বলেন, ‘পরিবারের আর্থিক অবস্থা ততটা ভালো না যে প্রতিদিন ২৪০ টাকা খরচ করে কলেজে যাওয়া আসা করব। ট্রেন চলাচল করলে কলেজে নিয়মিত ক্লাস করতে যেতে পারতাম।’
ময়মনসিংহ শহরে ব্যবসা করেন পূর্বধলার বিজন সম্মানিত। ট্রেনটি বন্ধ থাকায় যাতায়াতের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা আগামীকাল থেকেই বন্ধ ট্রেন চালু চাই। তা না হলে এ অঞ্চলের ছাত্র ও কর্মজীবীরা আগামীকাল থেকে কঠোর কর্মসূচিতে যাব।’
ইঞ্জিনসংকটের কারণে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে জারিয়া লোকাল ট্রেনটি বন্ধ রয়েছে জানিয়ে ময়মনসিংহ স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘আমাদের লোকাল ট্রেনের মিটারগেজের ইঞ্জিনসংকট চলছে। আমাদের যে ইঞ্জিনটি সমস্যা হয়েছিল, সেটি মেরামতের জন্য ঢাকায় পাঠানো হলেও আর ফেরত আসেনি। ইঞ্জিন পেলে পুনরায় লোকাল ট্রেনগুলো চালু করতে পারব।’