কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী মুফতি আমীর হামজার নির্বাচনী গণ-মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৮ নভেম্বর ) বিকালে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেট থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বটতৈল কবুরহাট বাজারে সমবেত হয়।

মিছিলে কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা ও সমর্থক অংশ নেয়। মিছিলের সামনে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে নেতৃত্ব দেন মুফতি আমীর হামজা। 

আরো পড়ুন:

১৮ দলের সমন্বয়ে নতুন জোট ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট’

তফসিল ঘোষণা হতে পারে বুধবার, বিটিভি ও বেতারকে ইসির চিঠি

মিছিলে জামায়াতের নেতাকর্মী ছাড়াও উলামা বিভাগের, শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের, পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। 

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের জেলা সহকারী সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম রবিন, শূরা সদস্য হামিদুল ইসলাম, উলামা বিভাগের জেলা সেক্রেটারি ইয়াসির আরাফাত, কুষ্টিয়া সদর থানা আমীর মাওলানা শরীফুল ইসলাম, সেক্রেটারি ডা.

রায়হান আলী, অধ্যাপক নুরুল আমিন জসীম, আজমল হোসেন প্রমুখ। 

ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

এক সপ্তাহ পর অচল জাহাজ থেকে হেলিকপ্টারে বাংলাদেশি নাবিককে উদ্ধার

অচল জাহাজে ছিল না বিদ্যুৎ। ফুরিয়ে যায় খাবারও। তীব্র শীত ও বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া ছিল বিরূপ। এমন আবহওয়ায় এক কক্ষে গাদাগাদি করে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছিল বাংলাদেশি একজনসহ ১০ নাবিকের। এর মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন দুজন নাবিক। প্রায় এক সপ্তাহের অনিশ্চয়তার পর গতকাল রোববার ও আজ সোমবার তাঁদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বুলগেরিয়ান কোস্টগার্ড রোববার হেলিকপ্টার পাঠিয়ে কৃষ্ণসাগরে ভাসতে থাকা জাহাজটিতে প্রথমে খাবার পাঠায়। ফিরতি পথে অসুস্থ হয়ে পড়া দুই নাবিককে হেলিকপ্টারে নিয়ে আসে। আজ সোমবার দ্বিতীয় দফায় আটজনকে জাহাজ থেকে হেলিকপ্টারে তুলে আনা হয়।

উদ্ধার হওয়া জাহাজটির চতুর্থ প্রকৌশলী মাহফুজুল ইসলামের পাঠানো এক ভিডিওতে দেখা যায়, হেলিকপ্টার থেকে ফেলা রশি বেয়ে নাবিকদের জাহাজ থেকে টেনে তোলা হচ্ছে। বর্তমানে তিনিসহ উদ্ধার হওয়া নাবিকেরা বুলগেরিয়ায় অবস্থান করছেন।

মাহফুজুল ইসলাম বুলগেরিয়া থেকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে বিরূপ আবহাওয়া ও নিয়ন্ত্রণহীন অচল জাহাজে ভাসছিলাম। বিদ্যুৎ ও খাবার না থাকায় জীবনের শঙ্কা ছিল। দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত বুলগেরিয়ান কোস্টগার্ড হেলিকপ্টার দিয়ে আমাদের উদ্ধার করল।’

কৃষ্ণসাগরে গত ২৮ নভেম্বর তেল পরিবহনকারী এমটি কায়রোস জাহাজে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা হয়। এ হামলায় প্রাণে বেঁচে যান জাহাজটিতে থাকা বাংলাদেশের ৪ জনসহ ২৫ নাবিক। জ্বালানি তেলবাহী জাহাজটি রাশিয়ার ‘ছায়া নৌবহরের’ অংশ বলে বিবিসি জানায়।

হামলার দুই দিন পর জাহাজটিতে থাকা বাংলাদেশের তিনজন নাবিক তুরস্ক থেকে দেশে ফিরে আসেন। এই তিনজন হলেন কুষ্টিয়ার আল আমিন, ঢাকার ধামরাইয়ের হাবিবুর রহমান এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার আজগর হোসাইন।

তবে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটি তীরের কাছে আনতে জাহাজের মালিকপক্ষ গত ৩০ নভেম্বর কৃষ্ণসাগরে পাঠায় মাহফুজুল ইসলামসহ ১০ নাবিককে। তারা জাহাজটি তুরস্কের কোস্টগার্ডের টাগবোটের সহায়তায় তুরস্কের উপকূলে নিয়ে আসে। কিন্তু অচল হয়ে পড়া জাহাজটি নোঙর ফেলতে না পারায় তুরস্কের উপকূল ছেড়ে ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে বুলগেরিয়ার জলসীমায় চলে যায়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সেখানে আটকা পড়েছিলেন নাবিকেরা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আটকে পড়া নাবিকেরা জীবন-মৃত্যুর শঙ্কায় পড়ে যান। তাঁদের উদ্ধারে আকুতি জানান বুলগেরিয়ার কোস্টগার্ডকে।

নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা খবর জানার পরই বুলগেরিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, যাতে সেখানকার কোস্টগার্ড নাবিকদের দ্রুত উদ্ধারে ব্যবস্থা নেয়। বুলগেরিয়ার কোস্টগার্ড নিরাপদে নাবিকদের উদ্ধার করেছে। বাংলাদেশের মাহফুজুল ইসলাম নিরাপদে আছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ