‘রেঞ্জার আমরা উন্নত শির, আমাদের গল্প নতুন পৃথিবীর’— এই প্রতিপাদ্য নিয়ে গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের নবম জাতীয় রেঞ্জার ক্যাম্প শুরু হয়েছে।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জাতীয় ক্যাম্প সাইটে রেঞ্জার ক্যাম্প উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় কমিশনার কাজী জেবুন্নেছা বেগম।

রেঞ্জার ক্যাম্প উদ্বোধন উপলক্ষে প্রশাসন ভবনের আঙিনায় জাতীয় কমিশনার কাজী জেবুন্নেছা বেগমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন কালিয়াকৈরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম ফখরুল হোসাইন ও ক্যাম্প কমিশনার রীতা জেসমিন, রেঞ্জার কমিশনার অধ্যাপক শামীম আরা।

বাংলাদেশ গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের নবম জাতীয় রেঞ্জার ক্যাম্প ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। জাতীয় রেঞ্জার ক্যাম্পে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও কলেজের ৩৫০ জন শিক্ষার্থী ও ৫০ জন প্রশিক্ষক অংশ নিচ্ছেন।

জাতীয় কমিশনার কাজী জেবুন্নেছা বেগম জানিয়েছেন, গার্ল গাইডসের উদ্দেশ্য হচ্ছে— মেয়েদের সুপ্ত সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তোলা এবং জাতীয় ও সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য তাদের উৎসাহিত করা। সংগঠনটি মেয়েদের মানসিক বিকাশ, চরিত্র গঠন, শারীরিক যোগ্যতা দৃঢ়ীকরণ, বিনোদন, সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়ন, সৃজনশীলতা, উপচিকীর্ষা, ঘরকন্নায় দক্ষতা বৃদ্ধি ইত্যাদিকে লক্ষ্যীভূত করে ৮ দফা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। 

শিক্ষানবিশ গার্ল গাইডদের তিন দলে বিভক্ত করে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এগুলো হচ্ছে—৭ থেকে ১১ বছরের মেয়েদের দল ইয়েলো বার্ডস, ১২ থেকে ১৬ বছরের মেয়েদের দল গাইডস এবং ১৭ থেকে ২৪ বছরের মেয়েদের দল রেঞ্জার্স।

গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশন ঢাকায় ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ১৯৭৩ সালে দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব গার্ল গাইডস অ্যান্ড গার্ল স্কাউটসের সদস্য হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি বালিকা ও তরুণীদের মধ্যে নেতৃত্ব সৃষ্টির প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সংগঠন। 

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র ল গ ইডস অ য স স

এছাড়াও পড়ুন:

মাসুদ ভাই আপনাদের পথের কাঁটা হয়ে থাকবেন না : সজল

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, আপনারা সবাই আমাদের নেত্রী অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করবেন। আমার মনে পড়ে ওয়ান ইলেভেনের সময় কিন্তু দেশনেত্রী তার মাকে হারিয়েছিলেন। কারাগার থেকে প্যারলে মুক্তি পেয়ে তার মাকে দেখে আবারো কারাগারে চলে গিয়েছিল।

উনার জীবনের দীর্ঘতম সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে। উনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও ধানের শীষকে এদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে দিয়েছিলেন। আর ধানের শীষের প্রতীকে মানুষের ঘরে ঘরে নিয়ে গিয়েছিলেন।

আর সেই ধানের শীষের প্রতীকের প্রার্থী হলেন আমাদের মাসুদুজ্জামান মাসুদ ভাই। আগামী নির্বাচনে আপনারা মাসুদ ভাইকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।

‎সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মুছাপুর ইউনিয়নে বন্দর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতায় দোয়া ও শীতবস্ত্র বিতরণ এবং আলোচনা সভায় বক্তব্যেকালে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।

‎তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ সতেরোটি বছর ওয়ান ইলেভেনের দুই বছর এবং আওয়ামী লীগের পনেরো বছর রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করেছি। এ লড়াই সংগ্রাম করতে গিয়ে আপনরা হামলা মামলা জেল জুলুম নির্যাতনে শিকার হয়েছেন।

আপনারা যেভাবে জীবনের বাজি রেখে লড়াই সংগ্রাম করেছেন ঠিক একই ভাবে জীবন বাজি রেখে মাসুদুজ্জামান মাসুদ ভাইকে পক্ষে কাজ করে তার বিজয়কে সুনিশ্চিত করবেন। আপনারা সবাই দুই হাত তুলে ওয়াদা করেন মাসুদ ভাইকে বিজয়ী জন্য করবেন। 

আমি আপনাদেরকে ওয়াদা করলাম আপনারা যদি মাসুদ ভাইকে নির্বাচিত করেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনাদের ব্যবসা-বাণিজ্য কোন কিছুতেই তিনি হস্তক্ষেপ করবেন না।

আপনারা সুন্দর ভাবে আপনাদের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে পারবেন এতে কোন পারসেন্টিস দিতে হবে না। কারণ উনি শিল্প উদ্যোক্তা উনি মানুষের কর্মস্থাংস্থানের তৈরি করেন। উনি সদর বন্দরের মানুষের জন্য কর্মস্থান তৈরি করবেন। 

আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস যেহেতু অবহেলিত বন্দরকে তিনি আধুনিক বন্দর হিসেবে রূপান্তরিত করবেন। বিগত সরকারের আমলে যারা যেটা করতে পারে নাই ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে মাসুদ ভাই সেটা করে দেখাবেন। আগামী দিনে মানুষের হৃদয় অবস্থান করার মত রাজনীতি করবেন মাসুদ ভাই।

‎তিনি আরও বলেন, আপনার আগামী নির্বাচনে ঘরে ঘরে গিয়ে আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্যে যে পরিকল্পনা গুলো রয়েছে সেই দফাগুলো উপস্থাপন করবেন। যাতে করে মানুষ আগামী দিনে ধানের শীষ কে ভোট দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনে। 

মাসুদ ভাই যদি এমপি হয় ইনশাল্লাহ আপনারা আগের চেয়ে আরো অনেক ভালো থাকবেন কারণ মাসুদ ভাই আপনাদের কারো পথের কাঁটা হয়ে থাকবেন না। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের বিজয়কে সুনিশ্চিত করি এবং বিএনপিকে ক্ষমতায় আনি।

‎বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।

‎আরও উপজেলা বিএনপির, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহম্মেদ, বন্দর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন শিশির, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারা মিয়া,বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূঁইয়াসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন নেতৃবৃন্দ।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ