বেশ অল্প বয়সেই বড় দুই বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। ভাইটাও এইচএসসির পর টাকার অভাবে পড়তে পারেনি। আমার জন্য এইউডব্লিউতে সুযোগ পাওয়া তাই স্বপ্নের মতো।

কৃষকের মেয়ে আমি। অনেক স্বপ্ন নিয়ে বান্দরবানের দুর্গম এলাকা থেকে সাত বছর বয়সে আমাকে শহরে পাঠায় বাবা। তাঁর স্বপ্ন ছিল—মেয়ে একদিন শিক্ষক, ডাক্তার বা নার্স হয়ে বাড়ি ফিরবে।

বাংলা ভাষা বলতে ও বুঝতে পারতাম না। মায়ের মুখ থেকে শেখা মাতৃভাষা নিয়েই শহরে পা রেখেছিলাম। হোস্টেলে বাবা যখন রেখে চলে গেলেন, খুব কেঁদেছিলাম। বারবার বলছিলাম, মাকে ছাড়া আমি থাকতে পারব না। বাবা শুনেও না শোনার ভান করছিলেন।

আরও পড়ুন১৩০০ টাকা নিয়ে অচেনা চট্টগ্রাম শহরে পা রেখেছিলাম০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

সেই ছোট্ট বয়সেই নিজের কাজ নিজের করতে হয়েছে। মা-বাবার ওপর তাই খুব অভিমান হতো। ক্লাস এইট-নাইনের দিকে অবশ্য তাঁদের কষ্টটা বুঝতে শিখে গেলাম। তখন আর অভিমান হতো না; বরং মা-বাবার কাছে টাকা চাইতে খুব সংকোচ হতো।

হোস্টেল ফি ছিল ১ হাজার ৮০০ টাকা। এ টাকা দিতেই হিমশিম খেতেন বাবা। এর চেয়ে বেশি কীভাবে চাই! এমন দিনও গেছে, হাতে দু-তিন মাস এক টাকাও ছিল না। তবু মা-বাবার কথা ভেবে কখনো এসব গায়ে মাখিনি। একই জামা সেলাই করে বারবার পরেছি।

বান্দরবানের মেয়ে রুইমোম ম্রো.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌনমিছিল

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌনমিছিল করেছেন দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা। টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ফরহাদ ইকবালের অনুসারী কর্মী-সমর্থকেরা আজ সোমবার দুপুরে এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান থেকে মৌনমিছিলটি বের হয়। পরে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সেখানে এসে শেষ হয়। পরে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।

মিছিল শুরু হওয়ার আগে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, ‘টাঙ্গাইল সদর আসনটি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির দখলে রয়েছে। এবার বহিরাগত প্রার্থী দেওয়ায় আসনটি হাত ছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। হাইকমান্ডকে অনুরোধ করব, এখানে সদরের ছেলেকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সেটাই মেনে নেব।’

আরও পড়ুনপাঁচটিতেই বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবি, সিদ্দিকীরাও আলোচনায় ২৪ নভেম্বর ২০২৫

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সহপ্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক এজাজুল হক, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ, সহসভাপতি হাদিউজ্জামান সোহেল, সহসভাপতি মামুন সরকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সদস্যসচিব তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইল-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন (টুকু)। গত ৪ নভেম্বর প্রথম দফায় বিভিন্ন আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করা হয়। সেদিন টাঙ্গাইলের সাতটি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হলেও টাঙ্গাইল-৫ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। পরে ৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিএনপি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ