২০১৭ সালের বহুল আলোচিত অভিনেত্রী অপহরণ ও যৌন নির্যাতন মামলার রায় ঘোষণা করলেন এর্নাকুলামের প্রিন্সিপাল জেলা ও দায়রা আদালত। দীর্ঘ ৯ বছরের প্রতীক্ষার পর আদালত প্রধান অভিযুক্ত পালসার সুনিসহ মোট ছয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। তবে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন মালয়ালম অভিনেতা দিলীপ। বিচারক হানি এম ভার্গিস আজ সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত জানান, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অষ্টম অভিযুক্ত দিলীপকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, সুনীল কুমার ওরফে পালসার সুনি, মার্টিন অ্যান্টনি, মাণিকন্দন বি, ভিজিশ ভিপি, সেলিম এইচ ও প্রদীপ—এই ছয়জনকে দোষী ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, অপহরণ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রসহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। দোষী ব্যক্তিদের সাজা ঘোষণা করা হবে ১২ ডিসেম্বর।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অষ্টম অভিযুক্ত দিলীপকে খালাস দেওয়া হয়েছে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবন থেকে ৭ জেলেকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

সুন্দরবন থেকে সাত জেলেকে অপহরণ করেছে জলদস্যুরা। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ মালঞ্চ নদীর হাঁসখালী খাল থেকে ডন বাহিনী পরিচয়ে তাদের অপহরণ করা হয়। এই জেলেদের মুক্তিপণ হিসেবে মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা করে দাবি করা হয়েছে বলে জানান অন্য জেলেরা। 

অপহৃত জেলেরা হলেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের আব্দুল আজিজ (৫০), ইব্রাহিম হোসেন (৪৫), আনারুল ইসলাম (২২), নাজমুল হক (৩৪), শামিম হোসেন (৩৬), আনোয়ার হোসেন (৩২) ও হরিনগর জেলেপাড়ার মুজিবুল হোসেন (৩৫)।

আরো পড়ুন:

সুন্দরবনে ট্রলারডুবি: নিখোঁজ নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

সুন্দরবনে রাসপূজায় যেতে বন বিভাগের ৫ রুট, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

সুন্দরবন থেকে ফেরত আসা জেলে ফজর আলী ও সবুজ মিয়া জানান, সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন থেকে তিনদিন আগে অনুমতি (পাস) নিয়ে কাঁকড়া ধরার জন্য সুন্দরবনে যান জেলেরা। কাঁকড়া শিকারের জন্য তারা মালঞ্চ নদীর বিভিন্ন খালে অবস্থান করছিলেন।

গতকাল রবিবার সকাল ৮টার দিকে তিনটি নৌকায় ১০জন বন্দুকধারী জেলেদের ঘিরে ধরে। প্রতি নৌকা থেকে একজন করে উঠিয়ে নেয় তারা। চলে যাওয়ার সময় একটি নম্বর দিয়ে সেখানে মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তিন দিনের মধ্যে মুক্তিপণ না দিলে অপহৃত জেলেদের হাত-পা ভেঙে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে জলদস্যুরা।

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক বলেন, ‍“বনবিভাগের স্মার্ট পেট্রাল টিমের সদস্যরা সুন্দরবনের ভেতরে রয়েছে। সবকিছু নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মা কারাগারে, বাবা সাগরে, মুক্তি পেয়েও ঠাঁই হলো না পরিবারে
  • সিলেটে পাওনা টাকা নিয়ে তরুণকে অপহরণের পর হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার
  • সুন্দরবন থেকে ৭ জেলেকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি
  • অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজারের ডিসিকে স্মারকলিপি
  • চট্টগ্রামে ৭ বছরের শিশুর নামে মামলা নিল পুলিশ, তিন দিনেও মেলেনি মুক্তি
  • ফতুল্লায় ফের দুই যুবককে অপহরণ ও গুমের অভিযোগ রাজ্জাক বাহিনীর বিরুদ্ধে