গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলা চলাকালে রাফায় আবির্ভাব ঘটেছিল ‘পপুলার ফোর্সেস’-এর মিলিশিয়া নেতা ৩২ বছর বয়সী ইয়াসির আবু শাবাবের। তিনি ইসরায়েলের ভাড়াটে হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। তিনি নিহত হওয়ার পর ঘাসান আল-দুহেইনিকে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার পারিবারিক বিবাদ মেটানোর সময় আবু শাবাব নিহত হওয়ার খবর প্রকাশের কিছুক্ষণ পরই একই সংঘর্ষে আহত আল-দুহেইনিকে অনলাইনে এক ভিডিওতে সামরিক পোশাকে দেখা যায়। এতে দেখা যায়, তিনি তাঁর অধীন মুখোশধারী যোদ্ধাদের মধ্যে হাঁটছেন।

কিন্তু কে এই ঘাসান আল-দুহেইনি? তিনি কি এইমাত্র আবির্ভূত হলেন, নাকি তিনি শুরু থেকেই ছিলেন?

কে এই ঘাসান আল-দুহেইনি

ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম সূত্রগুলো বলছে, ৩৯ বছর বয়সী আল-দুহেইনি দীর্ঘদিন ধরে এই গোষ্ঠীর কার্যত নেতা ছিলেন। যদিও তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা হিসেবে ছিলেন।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, আল-দুহেইনির অভিজ্ঞতা ও বয়স তাঁকে গোষ্ঠীটির পরিচালন প্রধান বানিয়েছিল। ইসরায়েলের প্রকাশ্যে নিয়োগ দেওয়া আবু শাবাব মিলিশিয়া বাহিনীর মুখ হিসেবে কাজ করতেন।

আল-দুহেইনি ১৯৮৭ সালের ৩ অক্টোবর দক্ষিণ গাজার রাফায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তারাবিন বেদুইন উপজাতির সদস্য, যা ফিলিস্তিনের বৃহত্তম উপজাতিগুলোর মধ্যে অন্যতম। আবু শাবাবও এই উপজাতির মানুষ ছিলেন।

আল-দুহেইনি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সাবেক কর্মকর্তা। সেখানে তাঁর পদমর্যাদা ছিল ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট।

পরে আল-দুহেইনি গাজাভিত্তিক একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘জায়শ আল-ইসলাম’-এ যোগ দেন। এ গোষ্ঠীর আদর্শগত সম্পর্ক ছিল আইএসআইএসের সঙ্গে।

আবু শাবাবের পর কি সত্যিই তিনি দায়িত্ব নিলেন

মিলিশিয়া গোষ্ঠীটি গত শুক্রবার তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে আল-দুহেইনিকে তাদের নতুন কমান্ডার হিসেবে ঘোষণা করে।

আল-দুহেইনি হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

গত শনিবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আল-দুহেইনি জোর দিয়ে বলেন, হামাসকে নিয়ে তাঁর কোনো ভয় নেই।

নতুন এই কমান্ডার বলেন, ‘আমি হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় তাদের ভয় পাব কেন? জনগণের স্বাধীনতার জন্য আমি তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করি, তাদের লোকদের গ্রেপ্তার করি, তাদের সরঞ্জাম জব্দ করি।’

গত শুক্রবার এই মিলিশিয়া গোষ্ঠী–সম্পর্কিত ফেসবুক পেজে একটি প্রচারমূলক ভিডিও প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, আল-দুহেইনি সশস্ত্র যোদ্ধাদের একটি দল পরিদর্শন করছেন।

আল-দুহেইনি চ্যানেল ১২-কে বলেন, এই ভিডিও ফুটেজ দেখানোর উদ্দেশ্য ছিল, তাদের নেতার মৃত্যুর পরও ‘পপুলার ফোর্সেস’ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

গোষ্ঠীটির নতুন প্রধান ঘোষণা করেন, ‘আবু শাবাবের অনুপস্থিতি বেদনাদায়ক। তবে এটি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ থামাতে পারবে না।’

আল-দুহেইনি কি হামাসের বিরোধী ছিলেন

আল-দুহেইনিকে হামাস তাদের সবচেয়ে বেশি ‘ওয়ান্টেড’ ব্যক্তিদের তালিকায় রেখেছে। হামাস তাঁর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সঙ্গে সহযোগিতা, ত্রাণ লুট এবং টানেলের পথ ও সামরিক স্থানগুলোর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ এনেছে।

কেন আল-দুহেইনি পিএর নিরাপত্তা বাহিনীর চাকরি ছেড়েছিলেন, সে সম্পর্কে খুব কম তথ্যই জানা যায়।

আল-দুহেইনি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তাঁর নেতৃত্বাধীন মিলিশিয়া গোষ্ঠী রাফার একটি টানেল থেকে হামাসের বেশ কয়েকজন সদস্যকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

আবু শাবাবের গোষ্ঠী দাবি করেছে, এসব ধরপাকড়ের ঘটনা ‘প্রযোজ্য নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুসারে এবং আন্তর্জাতিক জোটের সমন্বয়ে’ পরিচালিত হয়েছিল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আরেকটি পোস্টে দেখা যায়, কয়েকটি মরদেহের পাশে আল-দুহেইনি দাঁড়িয়ে আছেন। ক্যাপশনে লেখা হয়েছিল, তাঁরা হামাসের লোক ছিলেন এবং গোষ্ঠীর ‘সন্ত্রাস দমন’ অভিযানের অংশ হিসেবে তাঁদের ‘নিশ্চিহ্ন’ করা হয়েছে।

হামাস দুবার আল-দুহেইনিকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। এক অভিযানে তাঁর ভাইকে হত্যা করা হয়। অন্য এক অভিযানে রাফার পূর্বে একটি ফাঁদ পাতা ঘর বিস্ফোরিত হলেও আল-দুহেইনি অল্পের জন্য বেঁচে যান।

হামাসের একটি সূত্র জানায়, আল-দুহেইনি ‘নিছক ভাগ্যের জোরে’ বিস্ফোরণ থেকে বেঁচে গেছেন। তবে হামলাকারী ইউনিটের চার সদস্য নিহত এবং অন্যরা আহত হয়েছেন।

‘পপুলার ফোর্সেস’ মিলিশিয়া কী

‘পপুলার ফোর্সেস’ মিলিশিয়া গোষ্ঠীটি প্রথম ২০২৪ সালে আবু শাবাবের নেতৃত্বে পরিচিতি লাভ করে। এ গোষ্ঠীর ১০০ থেকে ৩০০ জন যোদ্ধা রয়েছেন। তারা সরাসরি ইসরায়েলি বাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদের অস্ত্র নিয়ে ইসরায়েলি সামরিক অবস্থান থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে কাজ করে থাকে।

মিলিশিয়া গোষ্ঠীটি প্রধানত পূর্ব রাফায় কারেম আবু সালেম ক্রসিংয়ের কাছে অবস্থান করে। এটিই একমাত্র প্রবেশপথ, যেখান দিয়ে ইসরায়েল বর্তমানে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেয়।

দ্বিতীয় আরেকটি ইউনিট পশ্চিম রাফায় যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের সমর্থিত বিতর্কিত জিএইচএফ ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে অবস্থান করছে। সেখানে ত্রাণ নিতে গিয়ে শত শত ফিলিস্তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

নিরাপত্তা সূত্র আল-জাজিরা আরবিকে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী আবু শাবাবের অস্ত্র সরবরাহের তত্ত্বাবধান করত। আবু শাবাব ‘অপরাধী চক্রের নেতৃত্ব দিতেন, যাঁরা দক্ষিণ গাজার (কারেম আবু সালেম) ক্রসিং থেকে আসা ত্রাণ কনভয়গুলো আটকানো এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালানোর ক্ষেত্রে বিশেষ পারদর্শী।’

ইসরায়েলি সংবাদপত্র মারিভ গত জুনে এক প্রতিবেদনে জানায়, আবু শাবাবের গ্যাংকে নিয়োগের পেছনে ছিল ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত। সংস্থাটির প্রধান রোনেন বার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এই গোষ্ঠীকে তালিকাভুক্ত ও সশস্ত্র করার পরামর্শ দেন।

প্রতিবেদেন উল্লেখ করা হয়, তথাকথিত ‘পাইলট প্রকল্পে’ মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে সীমিত ও নজরদারির আওতায় কিছু রাইফেল ও হ্যান্ডগান সরবরাহ করা হয়েছিল।

মারিভ আরও জানায়, রাফার একটি ছোট, নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামাসের বিকল্প হিসেবে একধরনের ‘বিকল্প শাসন’ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে শিন বেত এ কাজ করেছিল।

তবে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা এই গোষ্ঠীকে হামাসের বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প হিসেবে দেখছেন না।

২০২৪ সালের শেষের দিকে জাতিসংঘের অভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদনে আবু শাবাবের নাম আসে। ওই প্রতিবেদনে তাঁকে গাজায় প্রবেশ করা মানবিক সহায়তার পদ্ধতিগত এবং বড় আকারের লুটের মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পপ ল র ফ র স স ল দ হ ইন ক ইসর য় ল র প রক শ র একট ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

আমরা ধর্মকে কখনো ব্যবহার করিনি, করব না: জামায়াতের আমির

‘আমরা ধর্মকে কখনো ব্যবহার করিনি, করব না’—এই দাবি করে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ধর্ম আমাদের চিন্তার অঙ্গ, আমাদের কলিজার অংশ। আমরা ধর্ম নিয়েই কাজ করি, ধর্মকে ব্যবহার করি না।’

কারা ধর্মকে ব্যবহার করেন, সে প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচনের সময় নতুন করে যাঁরা বেশি বেশি নামাজ শুরু করেন, টুপি পরেন, তসবিহ হাতে নিয়ে ঘোরেন, ধর্মকে তাঁরাই বোধ হয় সম্ভবত ব্যবহার করেন। আমরা কিন্তু সারা বছর তসবিহ হাতে নিয়ে ঘুরাই না, তসবিহ বুকে নিয়ে ঘুরাই। আমরা আমাদের কাজগুলো আমাদের বিশ্বাসের আওতায় করতে চাই। এখন যে যেভাবে বোঝেন, এটা তাঁদের ব্যাপার।’

জামায়াত ও তাদের মিত্র দলগুলো ধর্মকে ব্যবহার করছে—বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে এমন ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন শফিকুর রহমান। আজ সোমবার ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দূতাবাসে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

জাতীয় নির্বাচন পেছানোর কোনো শঙ্কা দেখেন কি না– এ প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমরা নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ আছে বলে মনে করি না। এটা উচিত নয় বলে মনে করি। আমরা মনে করি, ফেব্রুয়ারির ঘোষিত সময়সীমার ভেতরে নির্বাচন হওয়াই দেশের জন্য একান্ত প্রয়োজন। এর সামান্য কোনো ব্যত্যয় ঘটলে দেশ দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারও দ্বারাই দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হোক, তা আমরা চাই না। আমরা দল বা ব্যক্তির জন্য রাজনীতি করি না। আমাদের রাজনীতি জনগণের জন্য। কথায় নয়, কাজে আমরা এটার প্রমাণ দিতে চাই।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে রাজনীতিতে কোনো সংকট দেখছেন কি না, জামায়াত আমিরকে এমন প্রশ্ন করেন সাংবাদিকেরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘সুস্থতা-অসুস্থতা আল্লাহ তাআলার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। দেশবাসী তাঁর অসুস্থতার জন্য তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দোয়া করছে। কিন্তু আমিও তো মরব। আমরা কেউ তো চিরদিন থাকব না। আমাদের এই দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হবে। আমাদের বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সমাজের চাকা চলা-অচল হওয়ার সম্পর্ক থাকা উচিত নয়। তবে যাঁর যেটুকু শ্রদ্ধা-ভালোবাসা পাওয়ার, সে যেন সেটা পায় সেদিকে সবার খেয়াল রাখা উচিত।’

আরও পড়ুন’৭১-এ জামায়াত কী কী করেছিল, মনে রাখতে বললেন তারেক রহমান০৭ ডিসেম্বর ২০২৫‘২০০ আসনে জিতলেও জাতীয় সরকার করবে জামায়াত’

ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব কীভাবে হবে, সব মানুষের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত হবে, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান কীভাবে হবে—এসব বিষয়ে জামায়াতের চিন্তাভাবনা জানতে চাওয়া হয় বৈঠকে। জামায়াত নির্বাচিত হলে প্রথম ১০০ দিনে জনগণের প্রতি তাদের কী বক্তব্য বা করণীয় থাকবে, সে ব্যাপারেও জানতে চাওয়া হয়।

‘আমরা বলেছি, আমাদের সবকিছুই ফ্রেম করা আছে। যখন যেটা প্রযোজ্য, সেটা আমরা সামনে রিলিজ (প্রকাশ) করব,’ বলেন জামায়াত আমির।

আরও পড়ুনধর্মের নামে ট্যাবলেট বিক্রি করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার পরিকল্পনা চলছে: সালাহউদ্দিন আহমদ৭ ঘণ্টা আগে

ইইউর প্রতিনিধিরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ দেখতে চান উল্লেখ করে শফিকুল রহমান বলেন, ‘আমরা বলেছি, আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা ও দেশের জনগণের ভালোবাসায় আমরা নির্বাচিত হলে সেই অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশই আমরা গড়ব, ইনশাআল্লাহ। আমরা কোনো দলকেই বাদ দেব না। আমরা দেশের স্বার্থে দারুণভাবে অনুভব করি যে অন্তত আগামী পাঁচটা বছর দেশের স্থিতিশীলতা, অর্থনীতি ফিরিয়ে আনা, সমাজে আইনের শাসন কায়েম করা এবং সমাজ থেকে দুর্নীতিকে নির্মূল করা বা বিদায় দেওয়ার জন্য প্রয়োজন একটি জাতীয় সরকারের। আমরা নির্বাচিত হলে সেই সরকারটাই গঠন করব।’

জামায়াতের সঙ্গে জাতীয় সরকারে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের কাছে দুটি প্রত্যাশার কথাও উল্লেখ করেন শফিকুর রহমান। এগুলো হলো—এক, কেউ নিজে দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতিকে কোনোভাবে প্রশ্রয় দেবেন না; দুই, সবার জন্য সমান বিচার নিশ্চিত করা, এ ব্যাপারে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না করা। কমপক্ষে এই দুটি ব্যাপারে যাঁরা একমত হবেন, তাঁদের নিয়ে সরকার গঠন করতে আগ্রহী জামায়াত। শফিকুর রহমান বলেন, ‘এমনকি আল্লাহর যদি ইচ্ছা হয় যে ২০০ আসনেও আমরা বিজয়ী হয়ে যাই, তারপরও আমরা এটা করব, ইনশাআল্লাহ।’

একই দিনে সাধারণ নির্বাচন ও গণভোট সম্পর্কে জামায়াত আমির ইইউর প্রতিনিধিদের বলেছেন, একই দিনে দুটো নির্বাচন হলে দুটো নির্বাচনই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। ভোটার টার্নওভার কম হতে পারে। সেজন্য জামায়াত দুটো নির্বাচন আলাদা আলাদা করার দাবি জানিয়েছিল বলেও তিনি বৈঠকে উল্লেখ করেন।

এর বাইরে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতির নির্বাচন, দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অভিবাসন, শিক্ষা বিনিময়, অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ইত্যাদি বিষয়েও ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান জামায়াতের আমির।

সম্পর্কিত নিবন্ধ