উপকরণ

পাকা টমেটো: ৫০০ গ্রাম

ইলিশের মাথা: ১টি

হলুদগুঁড়া: সিকি চা-চামচ

আদা ও রসুনবাটা: আধা চা-চামচ

মরিচগুঁড়া: সিকি চা-চামচ

রসুনকুচি: ১ টেবিল চামচ

পানি: সাড়ে তিন কাপ

পেঁয়াজকুচি: আধা কাপ

কাঁচা মরিচ: ৪-৫টি

লবণ: স্বাদমতো

চিনি: ১ চা-চামচ

তেঁতুলের ক্বাথ: ২ টেবিল চামচ

সয়াবিন তেল: ৪ টেবিল চামচ

আরও পড়ুনমাশরুম পালং বানাবেন যেভাবে, দেখুন রেসিপি০৬ ডিসেম্বর ২০২৫প্রণালি

ইলিশ মাছের মাথা পরিষ্কার করে কেটে লবণ মেখে রাখুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।

প্যানে ২ টেবিল চামচ তেল গরম করে সিকি কাপ পেঁয়াজ ও মাছের মাথা হালকা সোনালি করে ভেজে নিন।

মাথা উঠিয়ে রেখে তাতে বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে কষান। সামান্য পানি দিয়ে আবার মসলা কষিয়ে নিন।

পাশের চুলায় টমেটো ধুয়ে ৪ টুকরা করে ১ কাপ পানি, আধা চা-চামচ লবণ ও সিকি চা-চামচ হলুদ-মরিচের গুঁড়া দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। নামিয়ে ঠান্ডা করুন।

অন্যদিকে মসলা কষানো হলে ভেজে রাখা ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। সামান্য লবণ ও পানি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।

সেদ্ধ করা টমেটো ১ কাপ পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিন। এবারে কষানো মাছের মাথা তা দিয়ে দেড় কাপ পানি মিশিয়ে রান্না করুন।

দু–একবার ফুটে উঠলে কাঁচা মরিচ ও তেঁতুলের কাঁথ দিন। নেড়ে চিনি দিন।

একটি প্যানে বাকি তেল গরম করে অবশিষ্ট পেঁয়াজ ও রসুনকুচি সোনালি করে ভেজে টমেটোর খাট্টা মিঠায় দিয়ে নাড়ুন।

দু–একবার ফুটে উঠলে নামিয়ে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

স্যুপের মতো এই খাট্টা মিঠা খালিও খাওয়া যাবে।

আরও পড়ুনপালংশাকে ফলি মাছের মাথার রেসিপি০৭ ডিসেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামী-স্ত্রী হত্যা: যোগেশ চন্দ্রকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায়

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় হত্যার শিকার অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় এবং তার স্ত্রী সুবর্ণা রায়ের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাহিমাপুর খিয়ারপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে আনা হয়। 

পারিবারিক আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকাল সাড়ে ৪টায় মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায়কে স্থানীয় রহিমাপুর চাকলা সরকারি প্রাইমারি স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। 

আরো পড়ুন:

গৃহকর্মী বোরকা পরে ঢুকে বের হন স্কুল ড্রেসে

নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে যুবক নিহত, পরিবারের দাবি, পরিকল্পিত হত্যা

গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর খিয়ারপাড়া গ্রামের নিজে বাড়িতে যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) এবং তার স্ত্রী সুর্বণা রায়কে (৬০) কুপিয়ে খুন করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ছেলে সুবেন্দ্র রায় বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।

গার্ড অব অনার দেওয়ার সময় তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোনাব্বর হোসেন, তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক ডা. আলী হোসেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতারা, উপজেলার কর্মরত শিক্ষক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। 

নিহত এ দম্পতির দুই ছেলে রা‌জেশ রায় ও  সুবেন্দ্র রায় তখন উপস্থিত ছিলেন।  তাদের একজন বাংলাদেশ পুলিশে ও অন্যজন র‌্যাব ক্যাম্প জয়পুরহাটে কর্মরত আছেন। 

পরে বাড়ির পাশের শ্মশানে যোগেশ চন্দ্র রায় ও তার স্ত্রী সুবর্ণা রায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

ইউএনও মোনাব্বর হোসেন বলেন, ‘‘নিহত মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। যারা হত্যায় জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’’

ঢাকা/আমিরুল/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ