বিএনপির সঙ্গে জোট করা এখনো চূড়ান্ত নয়: রাশেদ খান
Published: 8th, December 2025 GMT
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, বিএনপি বা ফ্যাসিবাদবিরোধী অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচনি জোট করার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে আমরা বিএনপিসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করব।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া বাজারে গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
রাশেদ খান বলেন, বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলো একমত হয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে আমরা বিএনপির সঙ্গে এক হয়ে লড়াই করেছি। কাজেই, নির্বাচনে জোট গঠনের বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদ ও বিএনপির মধ্যে আগেও আলাপ-আলোচনা হয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি আমার নির্বাচনী এলাকা ঝিনাইদহ-২ আসনে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা মাঠপর্যায়ে নানাভাবে জরিপ করার চেষ্টা করছি যে, গণঅধিকার পরিষদের জনপ্রিয়তা কেমন হয়েছে? আমরা ভোটের মাঠের বাস্তব চিত্র পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করছি।
বিএনরি সঙ্গে নির্বাচনি জোট হলে করণীয় বিষয়ে রাশেদ খান বলেন, বিএনপির সঙ্গে যদি গণঅধিকার পরিষদের জোট হয়, তাহলে জোটের প্রার্থীদের বিষয়ে বিএনপি তাদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে। বিএনপির কর্মী ও ভোটাররা কীভাবে জোটের প্রার্থীকে সহায়তা করবে, সেটা বিএনপিই পর্যবেক্ষণ করবে। তারেক রহমান কাউকে জোট প্রার্থী ঘোষণার পরে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী সেটার বিরোধিতা করবে বলে আমার বিশ্বাস হয় না। কারণ, আমার নিজ এলাকার বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও আমার হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
ঢাকা/সোহাগ/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনা আমাদের আসন ও টাকা অফার করেছিল: নুরুল হক নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘‘আওয়ামী লীগের আমলে শেখ হাসিনা আমাদের আসন অফার করেছিল, টাকা অফার করেছিল। কিন্তু আমরা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপস করিনি। আমরা ২-৪টি আসনের জন্য কারো সঙ্গে জোট করব না। যদি দেশের প্রয়োজনে জোট করি, তা ন্যায্যতার বিচারে সম্মানজনক আসন সমঝোতার ভিত্তিতে হবে।’’
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে দলীয় প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দিতে স্থানীয় গণঅধিকার পরিষদ এই জনসভার আয়োজন করে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দলের প্রার্থী হয়েছেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে আগাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন তার কার্যক্রম সম্পন্ন করছে। ১১ তারিখ তফসিল ঘোষণা করার কথা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের লড়াকু ও আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ থাকায় যদি কোনো প্রেক্ষাপট তৈরি হয় নির্বাচন পেছানোর, সেটি হয়তো নির্বাচন কমিশন এবং সরকার বিবেচনা করবে। অন্যথায় ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হোক আর এপ্রিলে হোক, নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদ এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। আর দেশের প্রয়োজনে যদি কোনো জোট করে, তাহলে যেসব জায়গায় জনসমর্থন আছে, সেসব আসনকে নিশ্চিত করেই আমাদের জোট হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা দেখতে পাই, কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারা পুরনো ফ্যাসিস্টদের মতোই হুমকি-ধমকি ও আধিপত্য বিস্তারের অপরাজনীতি দেশব্যাপী কায়েম করতে চান। তদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ১৬ বছরের অপশাসন মুহূর্তের মধ্যেই চুরমার হয়ে গেছে। জনগণের প্রতিবাদে নেতারা সীমান্ত দিয়ে, হেলিকপ্টার দিয়ে, নদী-নালা ও খাল-বিল দিয়ে যে যেভাবে পেরেছেন পালিয়ে গেছেন। কেউ জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তাদের পরিণতিও তা-ই হবে। গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন সব রাজনৈতিক দলকে সংযত এবং সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানাই।’’
ঢাকা/পলাশ/রাজীব